প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যোগ দিতে কাতার ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল)  স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ২৫ মিনিট) ভ্যাটিকান শহরের উদ্দেশ্যে হোহ থেকে রওনা হন তিনি।

কাতারের প্রটোকল প্রধান ইব্রাহিম বিন ইউসুফ আবদুল্লাহ ফখরু দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে বিদায় জানান।

আরো পড়ুন:

কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

কাতারে ড.

ইউনূস: পৃথিবীর জন্য আশার বাতিঘর হতে চায় বাংলাদেশ

প্রধান উপদেষ্টার ফেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা দুপুর ২টা ১৫মিনিটে (ইতালি সময়) রোমে পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সেখানে ইতালিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং ভ্যাটিকান সিটিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তাকে স্বাগত জানাবেন।

ইতালিতে পৌঁছার এক ঘণ্টা পর প্রধান উপদেষ্টা শুক্রবার বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে পোপ ফ্রান্সিসের মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

ভ্যাটিকান সিটির পবিত্র ভিকার জেনারেল তার পরম শ্রদ্ধেয় কার্ডিনাল মৌরো গাম্বেত্তি সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে প্রধান উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলকে আনুষ্ঠানিক শুভেচ্ছা জানাবেন।

শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৩০মিনিটের দিকে প্রধান উপদেষ্টা আবার সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেবেন।

প্রধান উপদেষ্টা রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা) লিওনার্দো দা ভিঞ্চি রোম ফিউমিসিনো বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়ে পরদিন সোমবার (২৮ এপ্রিল)  ভোরে ঢাকায় পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

ঢাকা/হাসান/রাসেল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।

নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ