সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘পলিটিক্যাল কাউন্সিল’ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ ছাড়া দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার, নিবন্ধন বাতিল এবং রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে ২ মে ঢাকায় সমাবেশ করবে তরুণদের এই দল।

শনিবার রাজধানীতে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে চতুর্থ সাধারণ সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। দলের আহ্বায়ক মো.

নাহিদ ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সদস্যসচিব আখতার হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেন। দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সভায় একটি ‘পলিটিক্যাল কাউন্সিল’ গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই কাউন্সিল সংগঠনের সব নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। পলিটিক্যাল কাউন্সিলের নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে একটি ‘নির্বাহী কাউন্সিল’ গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে দলের গঠনতন্ত্র প্রণয়নে পাঁচ বা ততোধিক সদস্যের সমন্বয়ে একটি গঠনতন্ত্র প্রণয়ন টিম গঠনের সিদ্ধান্ত সাধারণ সভায় নেওয়া হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এই টিমকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দলের খসড়া গঠনতন্ত্র প্রণয়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সভায় আওয়ামী লীগের দলগতভাবে বিচার, নিবন্ধন বাতিল এবং রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আগামী ২ মে এনসিপি ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে একই দাবিতে ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গঠন র স এনস প গঠন ক

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা, নির্বাচন ২৭ নভেম্বর

প্রতিষ্ঠার দুই দশক পর প্রথমবারের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৭ নভেম্বর এই বহুল প্রত্যাশিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আরো পড়ুন:

টানা ৩০ ঘণ্টা অনশনে তিন জবি শিক্ষার্থী অসুস্থ

‘নভেম্বরে সম্পূরক বৃত্তির আশ্বাস দিয়েছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন গঠন ও কার্যক্রম শুরু হবে। কমিশন পরবর্তী ১১ দিনের মধ্যে তফসিল প্রস্তুত ও ঘোষণা করবে। এছাড়া কমিশন ধাপে ধাপে নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

এর মধ্যে থাকবে— জকসু নির্বাচন নীতিমালা ও আচরণবিধি প্রণয়ন; ছাত্র সংগঠন, সাংবাদিক সংগঠন ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে মতবিনিময়; ভোটার তালিকা প্রণয়ন, খসড়া প্রকাশ ও সংশোধন; চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ; মনোনয়নপত্র জমা, যাচাই-বাছাই ও আপত্তি নিষ্পত্তি; প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ ও প্রচারণা কার্যক্রম।

সবশেষে ২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ, একই দিনে অফিসিয়াল ফলাফল প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।

২০০৫ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। দীর্ঘ আন্দোলন, দাবি-দাওয়া ও শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে অবশেষে প্রথমবারের মতো জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করলো প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংবিধি ও বিধি অনুযায়ী রোডম্যাপের প্রতিটি ধাপ বাস্তবায়িত হবে।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা, নির্বাচন ২৭ নভেম্বর
  • প্রকৌশল পেশাজীবীদের দাবি পূরণে উপাচার্য-অধ্যক্ষদের সঙ্গে আগামীকাল বৈঠক
  • এক সপ্তাহের মধ্যে জকসু নির্বাচনের রূপরেখাসহ ৫ দাবি গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের