‘বাংলাদেশের মানুষকে বলব, ধৈর্য ধরুন’
Published: 27th, April 2025 GMT
দেখতে দেখতে জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হিসেবে মাস ছয়েক হয়ে গেল ফিল সিমন্সের। প্রথমে তাঁর সঙ্গে চুক্তি ছিল চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত। পরে সেটা বাড়ানো হয়েছে ২০২৭ পর্যন্ত। চুক্তি নবায়নের পর জিম্বাবুয়ে সিরিজটাই ছিল প্রথম পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় আপাতত ‘ফেল’ ফিল সিমন্স ও তাঁর শিষ্যরা।
সিরিজ শুরুর আগে তিনি ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন বারবার বলেছেন নতুন কিছু করার কথা। কিন্তু সিলেট টেস্টে নতুন কিছুর দেখা মেলেনি, হারই জুটেছে। প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বাজে খেলেছে বাংলাদেশ দল। ফলে সমালোচনার তিরে বিদ্ধ হচ্ছে দল। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে জেতাটাই যেখানে গত প্রায় এক দশকে অভ্যাসের মতো হয়ে গিয়েছিল, সেখানে এমন পারফরম্যান্সে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়াটাই স্বাভাবিক।
এই অবস্থায় আজ চট্টগ্রাম টেস্টের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে সিমন্স বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষকে বলব, ধৈর্য ধরুন। আমি জানি, এখানে খেলাটার প্রতি এবং বাংলাদেশের ভালো করার ব্যাপারে আবেগটা কেমন। তবে আমি আপনাদের ধৈর্য ধরতে অনুরোধ করব। কারণ, আমরা ঠিক কাজটা করার চেষ্টা করছি, যাতে ভালো খেলতে পারি, সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।’
আপাতত যা মনে হচ্ছে, ভালো করতে হলে সবার আগে ব্যাটসম্যানদের জেগে উঠতে হবে। কিন্তু সেই লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না মোটেও। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেট টেস্টে ১৯১ রানেই অলআউট হয়ে গিয়ে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসেই পিছিয়ে গিয়েছিল ৮২ রানে। পরের ইনিংসে আশা জাগিয়েও ২৫৫ রানে থামে বাংলাদেশ। সিলেটে প্রথম ইনিংসই বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিয়েছিল বলে মনে করেন সিমন্স।
সিমন্স তবু আশাবাদী। তাঁর কথা, ‘আমরা ইতিবাচক টেস্ট ক্রিকেট খেলতে চাই। শুধু ঠেকিয়ে ঠেকিয়ে ২০০ রান করার চিন্তা নেই। আপনারা বারবার বলছেন, পরিবর্তনের কথা। আমরা যেখানে যেতে চাই, তার জন্য কিছুটা সময় লাগবেই।’
আপাতত ব্যাটসম্যানদের প্রতি সিমন্সের বার্তা, ‘কিছু বাজে শট ছিল, কিছু সফট ডিসমিসাল হয়েছে। সামনে এগোনোর পথে এসব জায়গায় উন্নতি করতে হবে। এক–দুই–তিন টেস্ট ম্যাচে এটা হবে না।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মঙ্গলবার কুয়াকাটায় রাস উৎসব, গঙ্গা স্নান বুধবার
প্রায় ২০০ বছর ধরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মদনমোহন সেবাশ্রম মন্দির ও কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরে পৃথক আয়োজনে রাস উৎসব পালন করে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এবছরও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে হবে এ উৎসব। রাস উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ায় বসছে ৫ দিনব্যাপী মেলা।
কলাপাড়ায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শেষ সময়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে মন্দিরের আঙ্গিনাসহ রাধা ও কৃষ্ণের ১৭ জোড়া প্রতিমা।
মঙ্গলবার পূর্ণিমা তিথিতে রাত ৯টা ২২ মিনিটে অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে রাস পূজার আনুষ্ঠানিকতা। পরের দিন বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে এ তিথি শেষ হবে। সেদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটা সৈকতে গঙ্গা স্নান করবেন পুণ্যার্থীরা। এর পর মন্দিরের আঙ্গিনায় রাধা-কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা দর্শন করবেন তারা। তাই, দুই মন্দিরেই ১৭ জোড়া প্রতিমা বানানো হয়েছে। প্যান্ডেল সাজানোর কাজ শেষ। চলছে লাইটিং ও সাজসজ্জার কাজ।
এ উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ার মন্দির প্রাঙ্গণ, কুয়াকাটার মন্দির প্রাঙ্গণ ও সৈকতে অস্থায়ীভাবে বসছে শতাধিক পোশাক, প্রসাধনী, খেলনা ও গৃহস্থালী সামগ্রীর দোকান। কুয়াকাটায় তিন দিনব্যাপী উৎসব হলেও কলাপাড়ায় এ উৎসব চলবে পাঁচ দিন। এসব দোকানে অন্তত ৩০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রির আশা করছেন আয়োজকরা।
কলাপাড়ার শ্রী শ্রী মদনমোহন সেবাশ্রমের রাস উদযাপন কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার হাওলাদার বলেছেন, আজকের মধ্যেই আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। হিন্দু ধর্মালম্বীদের এ উৎসব হলেও এখানে ৫ দিনব্যাপী মেলায় সব ধর্মের মানুষের আগমন ঘটে। আমাদের মন্দির প্রাঙ্গণে অন্তত ৭০টি দোকান বসেছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে রাস উৎসব সম্পন্ন হবে।
কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন মন্ডল বলেছেন, আগামীকাল রাতভর মন্দির প্রাঙ্গণে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলবে। পরদিন সকালে গঙ্গা স্নান হবে। লাখো পুণ্যার্থীর আগমনের আশা করছি আমরা। বুধবারও গঙ্গা স্নান হবে। উৎসব উপলক্ষে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউসার হামিদ বলেছেন, রাস উৎসব উপলক্ষে কুয়াকাটায় ১ লাখ পুণ্যার্থী সমাগমের আশা করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।
ঢাকা/ইমরান/রফিক