ইএমএমআইআর আফ্রিকান-ইউরোপিয়ান স্কলারশিপ
মূলত ইউরোপিয়ান-আফ্রিকান অভিবাসী ও আন্তঃসাংস্কৃতিক সম্পর্কের বিষয়ে মাস্টার্স করতে চাইলে ইরাসমাস মুন্ডাস প্রোগ্রামের স্কলারশিপ পাওয়া যাবে। ইএমএমআইআর স্কলারশিপ আফ্রিকার তিনটি ও জার্মানির একটিসহ মোট চারটি ইউরোপীয় সংস্থা দ্বারা পরিচালিত হয়। এটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি, ভাতা ও ভ্রমণ ব্যয় সুবিধা দেওয়া হয়।
https://www.
ইউনিভার্সিটি অব স্টুটগার্ট স্কলারশিপ
অনগ্রসর দেশের নাগরিক এবং জার্মানিতে পড়তে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য স্টুটগার্ট বিশ্ববিদ্যালয় দুটি মাস্টার্স প্রোগ্রাম- ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্ল্যানিং এবং ইন্টিগ্রেটেড আরবান প্ল্যানিং অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডিজাইন অফার করে। যে কোনো একটিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের জন্য দেওয়া হবে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ। তবে এ জন্য অবশ্যই প্রাসঙ্গিক বৈজ্ঞানিক ও পেশাদার অভিজ্ঞতার পাশাপাশি নতুন জ্ঞান এবং দক্ষতা প্রয়োগ করার সক্ষমতা থাকতে হবে। এই স্কলারশিপে প্রতি মাসে পাওয়া যাবে ৭৫০ ইউরো। প্রোগ্রাম চলাকালীন দেওয়া হবে রাউন্ডট্রিপ পরিবহন খরচ, গবেষণা বৃত্তি, ভাড়া পরিশোধ বৃত্তি এবং স্বাস্থ্য বীমা।
https://www.
uni-stuttgart.de/en/study/
living-in-stuttgart/finances/
হেনরিক বোল
ফাউন্ডেশন
স্কলারশিপ
প্রতি বছর জার্মানির হেনরিক বোল ফাউন্ডেশন প্রায় এক হাজার স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও ডক্টরাল শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ প্রদান করে। যে কোনো বিষয়ে অধ্যয়নরত বিভিন্ন দেশের ও সংস্কৃতির শিক্ষার্থীরা স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারেন। এ ছাড়া, সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়, ফলিত বিজ্ঞানবিষয়ক বিশ্ববিদ্যালয় বা যে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা স্কলারশিপের জন্য যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হন।
https://www.boell.de/en/scholarships
ক্যাড জার্মানি রিসার্চ ফেলোশিপ প্রোগ্রাম
অনুন্নত দেশ বা ক্যাথলিক খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের স্নাতক শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের জন্য এই স্কলারশিপ দেওয়া হয়। আপনি যদি স্নাতকোত্তর বা ডক্টরাল প্রোগ্রাম বা গবেষণা ইনস্টিটিউটে অধ্যয়ন করতে চান, তাহলে এই স্কলারশিপ বাড়তি সুবিধা দিতে পারে। ক্যাড স্কলারশিপ রিটার্ন ফ্লাইট, ভিসা ব্যবস্থা, একাডেমিক টিউশন, বিশ্ববিদ্যালয় ফি, ব্যক্তিগত ফি এবং অন্যান্য অনেক খরচ কভার করে।
https://www.kaad.de/en/
stipendien/stipendienprogramm-1
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে
জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।
আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ‘জরুরি সভায়’ এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।
তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে। এসব সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল