ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বাহের বানাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাঠে ধান মাড়াই ও খড় শুকানোর প্রতিবাদ করায় প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার এ ঘটনায় আহত হলে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ইউএনওর কাছে এবং থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্র ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাহের বানাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই বাড়ি শাহজাহান মিয়া ও আনিছুল হকের। তারা প্রায়ই বিদ্যালয়ের মাঠ নানা কাজে ব্যবহার করে অপরিচ্ছন্ন রাখেন। এতে শিক্ষার্থীদের সমাবেশ ও খেলাধুলায় সমস্যা হচ্ছিল। চলতি বোরো মৌসুমে বিদ্যালয় খোলা থাকা অবস্থায় প্রায় ১৫ দিন ধরে দুটি পরিবার মাঠে ধান মাড়াই ও খড় শুকানোর কাজ করছে। বারবার নিষেধ করলেও তারা শোনেননি।

আজ প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে গিয়ে শ্রেণিকক্ষের বারান্দায় ধানের আঁটির স্তূপ পান। এ ছাড়া মাঠজুড়ে খড় শুকানোর পাশাপাশি যত্রতত্র স্তূপ দেখেন। কোথায় শিক্ষার্থীদের প্রাত্যহিক সমাবেশ করাবেন, সে চিন্তা করে তিনি শাহজাহান ও আনিছুলকে ডেকে বলতেই তারা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। দু’জনই প্রধান শিক্ষককে গালাগালের পাশাপাশি মারধর শুরু করেন। এ সময় তাঁর চিৎকারে লোকজন এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে শাহজাহান ও আনিছুলের মোবাইল ফোনে কল দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। নান্দাইল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল: মধু

বলিউড অভিনেত্রী মধু শাহ। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মধু নামেই পরিচিত। মনি রত্নম নির্মিত ‘রোজা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। নব্বই দশকে একটি সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন মধু, যা ভীষণ তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

কয়েক দিন আগে নিউজ১৮-কে সাক্ষাৎকার দেন মধু। এ আলাপচারিতা তিনি বলেন, “আজকাল সিনেমায় যে ধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখা যায় এটি তেমন ছিল না। এটি ঠোঁটে খোঁচা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিল। সত্যি এটি আমার খারাপ লেগেছিল।”

চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল। তা জানিয়ে মধু বলেন, “শুটিং শুরু করার আগে আমাকে চুমু খেতে বলা হয়। কিন্তু তার আগে এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। এ নিয়ে যখন প্রশ্ন করি, তখন তারা আমাকে পাশে নিয়ে গিয়ে কথা বলে। তারা আমাকে ব্যাখ্যা করে, এই দৃশ্যটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই কারণেই আমি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করি। কিন্তু এটা ছিল আমার করা সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ।”

চুম্বন দৃশ্যে যখন অভিনয় করেন, তখন মধুর বয়স ছিল ২২ বছর। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যটির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সিনেমায় দৃশ্যটি অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য পরিচালকের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। আমি এটি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কেবল বয়সের দিক দিয়ে নয়, আমি সবদিক থেকেই তখন খুব ছোট ছিলাম। এখনকার ২২-২৪ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা ভীষণ চালাক। কিন্তু ২২ বছর বয়সে আমি খুব বোকা ছিলাম।”

১৯৯৬ সালে দীপা মেহতা নির্মাণ করেন ‘ফায়ার’ সিনেমা। এতে শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমা পর্দার ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে মধুর ধারণা বদলে দিতে শুরু করে। এ তথ্য উল্লেখ করে মধু বলেন, “আমি বলছি না, পর্দায় চুম্বন করা খারাপ। ‘ফায়ার’ সিনেমায় যখন শাবানাজির মতো অভিনেত্রীর অভিনয় দেখি, তখন আমার মনে হয়েছিল সত্যি তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেলেছেন, যা আমি তখন করতে পারিনি। আমি সেই সব শিল্পীদের প্রশংসা করি, যারা মাথা ন্যাড়া করতে পারেন বা সিনেমায় সমকামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন।”

১৯৯১ সালে তামিল ভাষার সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মধু। একই বছর ‘ফুল আউর কাঁটা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। হিন্দি সিনেমায় পা রেখেই নজর কাড়েন। ৫৬ বছরের মধু অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। তবে প্রতি বছরে দুই একটা সিনেমায় দেখা যায় তাকে। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ