উত্তরায় বাসে হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে মানববন্ধন
Published: 29th, April 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্ষণিকা বাস ও শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময় বক্তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাবির বাস ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িতদের সনাক্তসহ এর পেছনে ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করার দাবি জানান।
আরো পড়ুন:
ঢাবির ৪০ শতাংশ শিক্ষক আন্তর্জাতিক মানের: উপাচার্য
ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে সিঙ্গাপুর হাইকমিশনের সাক্ষাৎ
ঢাবির লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম মাহমুদ বলেন, “সারা বাংলাদেশের আন্দোলনে ছাত্রদের বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগ্রামকে পুঁজি করে একটি কুচক্রী মহল একে অপরের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিতে চায়। উত্তরায় শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন করছিল, তারা ন্যায়ের পক্ষে ছিল। কিন্তু একটি কচক্রী মহল কৌশলে তাদের ঢাবি শিক্ষার্থীদের ওপর লেলিয়ে দিয়েছে।”
তিনি বলেন, “কিছু ইনফ্লয়েঞ্চার এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের কনটেন্টের উপর ভিত্তি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি সারা বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। ফলে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষণিকা বাস ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।”
শিক্ষার্থী হাসিব আল ইসলাম বলেন, “কিছু দুর্বৃত্ত এবং কিশোর গ্যাংয়ের সন্ত্রাসীরা ছাত্রদের আন্দোলনে প্রবেশ করে ঢাবির বাসে হামলা করে চালক ও শিক্ষার্থীদের আহত করেছে। একটি কুচক্রী মহল সারা দেশে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে ঐক্য গড়ে উঠেছে, তা নষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ এ হামলা। এটি কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সম্পর্কের ফাটল ধরাতেই এ হামলা।”
তিনি বলেন, “জুলাইয়ে গড়ে ওঠা ঐক্যকে যারা ভাঙতে চাচ্ছে, তাদের সনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। গণ-অভ্যুত্থানের আট মাস হয়ে গেলেও প্রশাসন জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। এ হামলার দায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এড়াতে পারেন না। দ্রুত আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থার উন্নতি করে ক্ষণিকা বাসে হামলার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এতে বিলম্ব হলে ঢাবি শিক্ষার্থীরা এর উপযুক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত আছে।”
দুপুরে রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবহনকারী ক্ষণিকা বাসে ভাঙচুর চালায় একদল শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় বাসের ড্রাইভারসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ক ষ র থ দ র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন
ফতুল্লার লালপুর পৌষাপুকুর পাড় এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ী সমাধানের জন্য মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
আগামী দুই দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে সড়ক অবরোধ সহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে মানববন্ধন থেকে। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী ঢাকা-নারায়নগঞ্জ পুরাতন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। এতে করে ঢাকা-নারায়নগঞ্জ পুরাতন সড়কের উভয় পাশে যানবাহন বন্ধ হয়ে যানজটের সৃস্টি হয়।
বুধবার সকাল ১০ টার দিকে ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুস্ঠিত হয়। ১১ টার দিকে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ঘটনাস্থলে এসে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা হয়েছে। তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন আজ দুপুরের পর এলাকাবাসীর সাথে নির্বাহী কর্মকর্তা কথা বলবেন তাদের সমস্যার কথা শুনবেন এবং দ্রুতই তা সমাধানের জন্য কাজ করবেন।
এ সময় লালপুর পৌষাপুকুরপাড় পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মোসলেম উদ্দিন মুসা বলেন জলাবদ্ধতার কারনে মুসুল্লিরা নামাজ পরতে পারছেনা,কর্মজীবিরা কাজে যেতে পারছেনা,স্কুল -কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীরা তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছেনা,নোংরা পানির কারনে ঘরে ঘরে পরিবারের সদস্যরা অসুস্থ হয়ে পরেছে।
আমাদের কে আশ্বাস করেছিলো সেনাবাহিনী কতৃক যে পাম্প বসানো হয়েছিলো সেটা চালু হলে আমাদের দ্ঃূক কস্ট লাঘব হবে। কিম্ত সে পাম্প চালু হলেও আমাদের কস্ট শেষ হয়নি। সেই পাম্প আমাদের কোন কাজে আসেনি।
আমরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারক লিপি দিয়েছি তারা এসে দেখেও গেছে কিন্ত আজো সমস্যার সমাধান করা হয়নি। বিগত সরকারের আমলে তখনকার চেয়ারম্যান, এমপি সাহেবের নিকট গিয়েছি। শামীম ওসমান এসে দেখে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে। তা শুধু কথার কথাই ছিলো। কিন্ত কোন কাজে আসেনি।
ইউপি সদস্য মাঈনুদ্দিন জানায়, দীর্ঘদন যাবৎ আমরা এই সমস্যা আছি। মৃত মানুষের লাশ পযন্ত দাফন করতে পারছিনা। মসজিদের ভিতরে পানি নামাজ পরতে পারছিনা। রাস্তায় বের হতে পারছিনা।
আমাদের কোরবানী ঈদে পশু কোরবানী দিতে হয় ছাদের ওপরে নতুবা অন্য এলাকায় গিয়ে। এ সব কিছুই সরকারের সকল বিভাগের কর্মরত কর্তার জানে। কিন্ত শুধু আশ্বাস পেয়ে গেছি। কোন সমাধান পাইনি তাই আজ বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামতে হয়েছে আমাদেরকে।
আমরা দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতার কবলে রয়েছি। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন। ফতুল্লায় এতো উন্নয়ন হয়, কিন্তু লালপুর পৌষাপুকুর পাড়ের জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ী কোন সমাধান হচ্ছেনা। আমরা চাই এই জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ী সমাধান হোক।
ব্যবসায়ী হাবিব জানায়, আমাদের সমস্যা দীর্ঘদিনের। হাসিনা সরকারের আমলে আমাদের কোন কাজ হয় নাই। আমরা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে স্মারক লিপি দিয়েছি। কিন্ত কোন কাজ হয়নি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি কোন প্রকার টেক্স আর দিবোনা।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, লালপুর- পৌষাপুকুরপাড় পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আঃ বারী, আজাদুর রহমান আজাদ,আলামিন বাগ পঞ্চায়েতের সাধারণ সম্পাদক রফিক, লালপুর আলামিন বাগ পঞ্চায়েতের সভাপতি মো. জনি, শামীম।