নেদারল্যান্ডসের এনএল বৃত্তি, ৫ হাজার ইউরোসহ নানা সুবিধা
Published: 30th, April 2025 GMT
নেদারল্যান্ডস বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নের জন্য একটি বৃত্তি আছে। এর নাম ‘এনএল স্কলারশিপ’। আগে এটি হল্যান্ড স্কলারশিপ নামে পরিচিত ছিল। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য আবেদন চলছে। স্কলারশিপটি নেদারল্যান্ডসের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় পরিচালিত হয়। এই বৃত্তিতে দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা যায়। বাংলাদেশসহ বিশ্বের নানা দেশের শিক্ষার্থীরা এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয় অনুযায়ী আবেদনের সময়ের ভিন্নতা রয়েছে।
বিদেশে যাঁরা পড়াশোনা করতে চান, তাঁদের অনেকেরই অন্যতম পছন্দের দেশ নেদারল্যান্ডস। দেশটি ইউরোপের প্রায় সব দেশের রাজধানীর সঙ্গে সংযুক্ত। জার্মানি ও বেলজিয়ামের নিকটতম প্রতিবেশী দেশ নেদারল্যান্ডস। দেশটিতে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীরা প্রতিবেশী দেশগুলোতেও কাজের সুযোগ পেয়ে থাকেন।
আরও পড়ুনচেক প্রজাতন্ত্রে উচ্চশিক্ষা: স্কলারশিপ—সপ্তাহে ২১.৫ ঘণ্টা কাজসহ নানা সুযোগ২৪ আগস্ট ২০২৪
ইংরেজির ব্যাপক প্রচলন, ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি, সহজে বসবাসের অনুমতি মেলা, কোর্স বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বৈশ্বিক মানদণ্ডের কারণেও দেশটির প্রতি আগ্রহ অনেক শিক্ষার্থীর। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বৃত্তিতে অর্থায়ন করে। বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
সুযোগ-সুবিধা—
এনএল বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা ৫ হাজার ইউরো করে পান।
ফাইল ছবিউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
নেতানিয়াহু অঞ্চলজুড়ে আগুন লাগাতে চাইছেন: ইরানের প্রেসিডেন্টকে এরদোয়ান
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পুরো মধ্যপ্রাচ্যে আগুন লাগাতে চাইছেন বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, নেতানিয়াহু ইরানে হামলা চালিয়ে পারমাণবিক আলোচনায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছেন। গতকাল শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে এক ফোনালাপে এরদোয়ান এ কথাগুলো বলেছেন।
এরদোয়ানের দপ্তরের দেওয়া এক বিবৃতি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানি প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান বলেছেন, গাজায় হওয়া জাতিগত হত্যার ঘটনা থেকে বিশ্বের দৃষ্টি সরাতে ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ইরানি প্রেসিডেন্ট ছাড়াও সৌদি আরব, পাকিস্তান, জর্ডান ও মিসরের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গেও কথা বলেছেন এরদোয়ান। ইসরায়েল-ইরান সংঘাত এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি।
শনিবার সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান সতর্ক করে বলেন, নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েলই এখন এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। তুরস্ক সরকারের যোগাযোগবিষয়ক দপ্তরের বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
দপ্তরের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, এরদোয়ান মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। সিসিকে এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েলের হামলা গভীরভাবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন করেছে। আইনের তোয়াক্কা না করার যে মনোভাব নেতানিয়াহুর মধ্যে দেখা গেছে তা বিশ্বের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকির।
এরদোয়ান আরও সতর্ক করেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বরং পুরো বিশ্বের নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।