গাজীপুরের শ্রীপুরে মাদকাসক্ত ছেলেকে হত্যার কথা জানিয়ে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছেন মোহাম্মদ আলী (৭০) নামের এক বাবা। আজ বুধবার সকাল আটটার দিকে শ্রীপুর মডেল থানায় এ ঘটনা ঘটে।

শ্রীপুর থানা-পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, থানায় এসে মোহাম্মদ আলী জানান যে তিনি তাঁর ছেলে মো. আনোয়ার হোসেনকে (২৮) ধারালো বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন। পরে পুলিশ তাঁর বাড়িতে গিয়ে ঘরের ভেতর থেকে আনোয়ারের মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা বটি জব্দ করা হয়।

শ্রীপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শামীম আক্তার বলেন, মোহাম্মদ আলীর বক্তব্যের ভিত্তিতে প্রহলাদপুরের ওই বাড়িতে গ্রাম পুলিশ পাঠানো হয়। সেখান থেকে আনোয়ার হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, আনোয়ার হোসেন মাদকাসক্ত হয়ে পরিবারের সদস্যদের ওপর নিয়মিত নির্যাতন চালাতেন। তিনি বিয়ে করেননি। দুই বছর মালয়েশিয়া ও চার বছর সৌদি আরবে থাকার পর এক বছর আগে দেশে ফেরেন এবং মাদকে জড়িয়ে পড়েন।

আনোয়ারের মামা আবদুল জলিল বলেন, মাদকাসক্ত অবস্থায় আনোয়ার প্রায়ই পরিবারের লোকজনকে মারধর করতেন। মাদক কেনার টাকা না পেলে বাবা-মাকে শারীরিক নির্যাতন করতেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতেও বাবাকে মারধর করেন তিনি।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মো.

শহীদ উল্লাহ বলেন, আনোয়ার হোসেন নেশার কারণে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন। আত্মীয়স্বজন অনেকবার তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও কোনো লাভ হয়নি।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, মোহাম্মদ আলী থানায় এসে ছেলেকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁকে আটক করা হয়েছে এবং আইনি প্রক্রিয়া চলছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: থ ন য় এস কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

পাশাপাশি খোঁড়া হচ্ছে মা-ছেলের কবর, সেই দৃশ্য কাঁদাচ্ছে এলাকার মানুষকে

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে কেনেন একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা। সেটি চালিয়ে স্ত্রী আর দুই সন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে যাচ্ছিলেন জিয়া উদ্দিন (২৭)। সঙ্গে ছিল তাঁর এক চাচাতো ভাই। পথে নিয়ন্ত্রণ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বালুবোঝাই একটি পিকআপ ভ্যান অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন জিয়া উদ্দিনের চাচাতো ভাই সাইফুল ইসলাম (১৬)। জিয়া উদ্দিন, তাঁর স্ত্রী ফারজানা আক্তার (২৩), মেয়ে মাহমুদা কায়সার (৮) ও ছেলে মানারুল ইসলামকে (৩) গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জিয়া উদ্দিনের স্ত্রী ফারজানা আক্তার ও ছেলে মানারুল ইসলাম।

গতকাল শনিবার বেলা তিনটার দিকে মিরসরাই উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের চিনকিরহাট এলাকায় ঘটে এই সড়ক দুর্ঘটনা। এরপর রাত আটটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জিয়া উদ্দিনের স্ত্রী ফারজানা আক্তার ও ছেলে মানারুল ইসলাম মারা যান। জিয়া উদ্দিন উপজেলার কাটাছড়া ইউনিয়নের বামন সুন্দর এলাকার দোস্ত মোহাম্মদের ছেলে। তাঁর শ্বশুরবাড়ি উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ অলিনগর এলাকায়।

আহত জিয়া উদ্দিনের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখনো চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে জিয়া উদ্দিনকে। সেখানে চিকিৎসাধীন তাঁর মেয়ে মাহমুদা কায়সারের অবস্থাও শঙ্কাজনক। এর মধ্যেই তিনজনের লাশ দাফনের প্রস্তুতি চলছে পারিবারিক কবরস্থানে। পাশাপাশি খোঁড়া হয়েছে ফারজানা আক্তার ও তাঁর ছেলে মানারুলের কবর।

কাটাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলেয়া বেগম বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় বামন সুন্দর এলাকার মা-ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে মা-ছেলের জন্য পাশাপাশি কবর খোঁড়ার দৃশ্য দেখে স্বজন ও প্রতিবেশীদের চোখ সিক্ত হচ্ছে। অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।

সড়ক দুর্ঘটনায় পুত্রবধূ, নাতিসহ পরিবারের তিন সদস্যকে হারিয়ে আহাজারি করছেন বিবি হালিমা। আজ সকালে

সম্পর্কিত নিবন্ধ