নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নে ইয়াছিন আরাফাত শাকিলকে (২৬) গুলি করে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। 

বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেগমগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাবীবুর রহমান। 

হাবীবুর রহমান জানান, নিহত শাকিলের বাবা মো.

সোলাইমান খোকন বাদী হয়ে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টার দিকে হত্যা মামলা করেন। মামলার এজাহারে গ্রেপ্তার তিনজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

কালীগঞ্জে ‘পেরেক’ মেরে হত্যা 

নাতনিকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় নানাকে কুপিয়ে হত্যা

গ্রেপ্তাররা হলেন, উপজেলার ধীতপুর গ্রামের মোরশেদ আলম (২৫), জীবন (২৪) ও মনির হোসেন (২২)। তাদের মধ্যে দুইজনকে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার পর মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যজনের অবস্থার গুরুতর হওয়ায় পুলিশ পাহারায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যদের যৌথ টিম ইউনিয়নেন গঙ্গাবর বাজারের পাশের পরিত্যক্ত ডোবার পাশের ঝোঁপ থেকে সেমি অটোমেটিক একটি পিস্তল এবং পিস্তরের সঙ্গে থাকা একটি খালি ম্যাগাজিন উদ্ধার করে। এর আগে ঘটনার পরপরই সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাতে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যদের যৌথ টিম ঘটনাস্থল থেকে এক রাউন্ড তাজা গুলি ও এক রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করে।

গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের গঙ্গাবর বাজার থেকে ৮-৯ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী লাবিব নামে এক তরুণকে অপহরণের চেষ্টা করে। এ সময় ইয়াছিন আরাফাত শাকিলসহ কয়েজন মিলে সন্ত্রাসীদের বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা শাকলকে গুলি করে হত্যা করে। এ সময় অস্ত্রের আঘাতে শাকিলের ছোট ভাই মোজাম্মেল হোসেন শুভর মাথা ফাঁটিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় লোকজন তিন যুবককে ধরে গণপিটনির পর পুলিশে সোপর্দ করে। 

ঢাকা/সুজন/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য

এছাড়াও পড়ুন:

নোয়াখালীর চৌমুহনীতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, আটক ৫

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী শহরে ঝটিকা মিছিল করেছেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে তাঁরা চৌমুহনী রেললাইন সড়ক থেকে মিছিল বের করেন। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল শিহাব নিজের ফেসবুকে ঝটিকা মিছিলটি লাইভ প্রচার করেন। পরে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ মিছিলে অংশগ্রহণকারী পাঁচজন নেতা-কর্মীকে আটক করে।

ফেসবুকে প্রচার করা ভিডিও পর্যবেক্ষণ করে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিকেলে পৌনে চারটার দিকে উপজেলার চৌমুহনী রেলস্টেশন এলাকা থেকে মিছিলটি বের করা হয়। মিছিলটি রেললাইনের পশ্চিম পাশের সড়ক দিয়ে রেলগেট হয়ে শহরের ব্যস্ততম ফেনী-চৌমুহনী মহাসড়কে ওঠে। মিছিলকারীদের হাতে ‘হটাও ইউনূস, বাঁচাও দেশ, শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’ লেখা ব্যানার ছিল। ২৫ থেকে ৩০ জন কিশোর ও তরুণ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। মিছিলটি মহাসড়কের প্রায় ২০০ গজ অতিক্রম করে শহরের হাসান সড়কের মাথায় গিয়ে শেষ হয়।

জানতে চাইলে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ঝটিকা মিছিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান লিটন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, মিছিলকারীদের ধরতে অভিযান চলছে। তিনি নিজেই অভিযানে ব্যস্ত আছেন। এখন পর্যন্ত (সন্ধ্যা সাতটা) পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সবাই চিহ্নিত। গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নোয়াখালীতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিলের ঘটনায় মামলা, আসামি ৪৩
  • নোয়াখালীর চৌমুহনীতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, আটক ৫