কেজিতে ৮ টাকা কমলো বীজ আলুর দাম, হতাশ চাষি
Published: 30th, April 2025 GMT
প্রতি কেজি বীজ আলু উৎপাদনে খরচ হয়েছে ৩০ টাকা। বিএডিসি বীজ বিভাগ দাম নির্ধারণ করেছে ২৭ টাকা। তাতে কেজিপ্রতি লোকসান হচ্ছে ৩ টাকা। এতে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়তে হবে। কথাগুলো বলছিলেন শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগর এলাকার আমিনুল ইসলাম। তিনি বিএডিসির নির্ধারিত বীজ আলু চাষি।
আমিনুল ইসলামসহ বিএডিসির বীজ আলু চাষিরা গতবারের দাম ঠিক রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান। তারা মঙ্গলবার বগুড়া বিসিক বিএডিসির বীজ আলুর হিমাগারের সামনে মানববন্ধন করেন। একই দাবিতে বুধবার স্মারকলিপি দেন। তারা বলছেন, দাম কমানো অযৌক্তিক। এতে উৎপাদন খরচ ও কৃষকের শ্রমের ন্যায্যতা বজায় থাকবে না। তাই এবার চাষিদের কাছ থেকে ৪০ টাকায় বীজ আলু নেওয়া হোক।
বিএডিসি বীজ আলু বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বগুড়ায় ৩২ জন ও জয়পুরহাটের ১৬ জন চাষির কাছ থেকে বীজ আলু কেনা হয়। আলু লাগানো থেকে শুরু করে জমি থেকে তোলা পর্যন্ত ওই চাষিদের ক্ষেত পর্যবেক্ষণ করা হয়। সেখান থেকে বাছাই করা আলু নেওয়া হয় বীজের জন্য। ৫৮ জন কৃষকের কাছ থেকে ৩০০ টন বীজ আলু কেনা হয়।
চাষিদের পক্ষে বেলাল আকন্দ বলেন, সার, বীজ, কীটনাশকসহ সব কিছুর দাম বেড়েছে। বিজ আলু উৎপাদনে কেজিপ্রতি ৩০ টাকা খরচ হয়েছে। অথচ বিক্রি করতে বলা হচ্ছে ২৬ থেকে ২৮ টাকায়। এদিকে গত মৌসুমে বিএডিসি আমাদের কাছে বীজ বিক্রি করেছে ৪৫-৪৬ টাকা দরে। এবার তারা ৬২ টাকা নেবে। আমাদের উৎপাদিত বীজ লোকসানে বিক্রি করতে বলা হচ্ছে। আবার কিনতে গেলে বেশি দাম নেওয়া হচ্ছে। এটা স্ববিরোধিতা।
বিএডিসি আলু বীজ বিভাগের বগুড়ার উপপরিচালক কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম বলেন, চাষির দাবি কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি