পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে মারা গেলেন সাবেক কাউন্সিলর
Published: 1st, May 2025 GMT
পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর কামাল হোসেন (৫৫) মারা গেছেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরীর দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন কামাল হোসেন। তবে পুলিশ বলছে, তারা কামাল হোসেনকে ধরতে সেখানে যাননি। গিয়েছিলেন অন্য কাজে।
নগরীর দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা কামাল হোসেন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ছিলেন। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় আত্মগোপনে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
কামাল হোসেনের ছেলে সোহান হোসেন শাকিল বলেন, রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে দ্রুত সিঁড়ি বেয়ে ছাদে উঠতে যান। সিঁড়িতেই অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান।
নগর পুলিশের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম জানান, কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। রাতে তিনি মারা গেছেন।
ওসি আরও বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ একটি কাজে গিয়েছিল। তবে সেখানে কামাল হোসেন আছেন কিনা তা জানতো না। পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন। তার পরিবার লাশ দাফনের কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, তিনি রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে বিএনপির রাজনীতি করলেও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সরকারি দলের রাজনীতিতে যুক্ত হন। তবে তার দলীয় কোনো পদ ছিল না। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর তার নামে চারটি মামলা হয়। তখন থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের
নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা
স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।
ঢাকা/রূপায়ন/বকুল