সেক্টর ভিত্তিক শ্রমিকদের ভিন্ন ভিন্ন বেতন কাঠামো নির্ধারণ করার দা‌বি জা‌নি‌য়ে‌ছে আমার বাংলা‌দেশ পা‌র্টি (এবি পার্টি)।

বৃহস্পতিবার (১ মে) আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সেগুনবা‌গিচায় এবি পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ দা‌বি জানান।

এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) দিদারুল আলমের সভাপ‌তি‌ত্বে, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শাহ আব্দুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব‌্য রা‌খেন পা‌র্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, এবিএম খালিদ হাসান, নারী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফারাহ নাজ সাত্তার, কেন্দ্রীয় নেতা আবু রাইয়ান রছি,  আজিজা সুলতানা, প্রহরী সমিতির সভাপতি রিপন মাহমুদ, সহকারী দপ্তর সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, নারী উন্নয়ন বিষয়ক সহ সম্পাদক শাহিনুর আক্তার শিলা, নারী নেত্রী রাশিদা আক্তার মিতু, যাত্রাবাড়ী থানার আহ্বায়ক আরিফ সুলতান।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.

) দিদারুল আলম ব‌লেন, “ধনী গরীবের বৈষম্য ভেঙে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা আমাদের স্বপ্ন। প্রতি বছরই সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন সবাই ঢাক ঢোল পিটিয়ে ১ মে শ্রমিক দিবস পালন করে। দিন শেষে আমাদের শ্রমিক ভাই-বোনদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন ঘটে না। কাজেই দিবস উদযাপনের ঊর্ধ্বে উঠে শ্রমিকদের সত্যিকারের ভাগ্যোন্নয়নে আমাদের কাজ করতে হবে।”

অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা বলেন, “সেক্টরভিত্তিক শ্রমিকদের আলাদা আলাদা পারিশ্রমিক নির্ধারণ করাতে হবে। প্রতিদিন শ্রমিকদের লড়াই শুরু হয় ভোরবেলায় হাতে হাতুড়ি, কাঁধে শাবল, পিঠে বস্তা তাদের কোনো ছুটির দিন নেই, নেই ঘড়ির কাঁটার হিসেব। শ্রমই যাদের জীবনের ধ্রুবতারা, তারা আমাদের সমাজের নীরব সৈনিক। ১ মে, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস, এটি শুধুই একটি দিন নয় যেটি কেবল উৎসবের, বরং এটি কৃতজ্ঞতা জানানোর দিন।”

এবিএম খালিদ হাসান বলেন, “মে দিবস যেমন বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়ে শ্রমিকরা নিজেদের অধিকার বুঝিয়ে নিয়েছিল, ঠিক তেমনি বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের দেশের ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে জুলাই অভ্যুত্থান ঘটে। শ্রমিকদের সাথে মালিকপক্ষ প্রতিনিয়ত আয়নাবাজি করছে। এই আয়নাবাজি বন্ধ করতে সরকারকে কঠোর হতে হবে,” বলে মন্তব্য করেন তিনি।

উপস্থিত ছিলেন ঢাকা  মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সেলিম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব বারকাজ নাসির আহমাদ,  সফিউল বাশার, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা) শাহজাহান ব্যাপারি, সহ প্রচার সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, সহ দপ্তর সম্পাদক শরন চৌধুরী, মশিউর রহমান মিলু, যুবপার্টির দপ্তর সম্পাদক আমানুল্লাহ সরকার রাসেল, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ সম্পাদক স্থপতি আবুল কালাম মাহমুদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য হাজরা মেহজাবিন, পল্টন থানা সদস্য সচিব আব্দুল ওয়াদুদ মোল্লা রনি।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র ব ষয়ক সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেট নগরে প‌্যাডেলচা‌লিত রিকশা ভাড়া ন্যূনতম ২০, সর্বোচ্চ ১০০ টাকা

সিলেট নগরে প্যাডেলচালিত রিকশার ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করে খসড়া তা‌লিকা প্রকাশ করেছে মহানগর পুলিশ। তালিকা অনুযায়ী ন্যূনতম ভাড়া ২০ টাকা ও সর্বোচ্চ ১০০ টাকা ধরা হয়েছে। প্রস্তাবিত নতুন ভাড়া ২০২৭ সা‌ল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

আজ সোমবার সকালে মহানগর পু‌লিশের ক‌মিশনার আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী স্বাক্ষ‌রিত গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সিলেট শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে যাতায়াতের জন্য নতুন করে প্রস্তাবিত রিকশা ভাড়ার হার নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভাড়ার তালিকা প্রণয়নের সময় নগরের রাজনীতিক, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, চাকরিজীবী, ছাত্র-ছাত্রী, প্যাডেল রিকশা সমিতি, সাধারণ জনগণের প্রতি‌নিধিদের মতামত নেওয়া হয়েছে।

এর আগে ২০১৫ সালে সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ প‌্যাডেলচা‌লিত রিকশা ভাড়ার তালিকা ‌নির্ধারণ করে‌ছিল। তবে ওই ভাড়া তা‌লিকা শুরু থেকে মেনে নেন‌নি রিকশাচালকেরা। এর ১০ বছর পর পু‌লিশের পক্ষ থেকে রিকশা ভাড়া পু‌ন‌র্নির্ধারণ করা হয়েছে।

পুন‌র্নির্ধা‌রিত প্রস্তাবিত ভাড়া তালিকায় দেখা গেছে জিন্দাবাজার মোড় (পয়েন্ট) থেকে লামাবাজার, মিরাবাজার, আম্বরখানা, ভাতালিয়া পর্যন্ত ৩০ টাকা। সুবিদবাজার, পাঠানটুলা, ঈদগাহ, শেখঘাট পর্যন্ত ৪০ টাকা। শিবগঞ্জ, ওসমানী মেডিকেল পর্যন্ত ৫০ টাকা। বালুচর, টিলাগড়, বাগবাড়ি, চৌকিদেখি, পাঠানটুলা, মদিনা মার্কেট পর্যন্ত ৬০ টাকা।

কোর্ট পয়েন্ট থেকে টিলাগড় পর্যন্ত ৬০ টাকা। শিবগঞ্জ, নতুন ব্রিজ ৪০ টাকা। মিরাবাজার ও যতরপুর ৩০ টাকা। উপশহর (এ, বি, সি, ডি, ই, এফ, জি, এইচ, আই, জে, কে ব্লক) ৫০ টাকা। নতুন ব্রিজ হয়ে দক্ষিণ সুরমা বাস টার্মিনাল ৭০ টাকা। রেলও‌য়ে স্টেশন, গোপশহর মকন দোকান, গোয়াবাড়ি, আখালিয়া ‌বি‌জি‌বি ক্যাম্প গেট, ভাঙ্গাটিকর, টুলটিকর, মিরাপাড়া পর্যন্ত ৮০ টাকা। ঝেরঝেরিপাড়া, শিবগঞ্জ সোনাপাড়া, ইলেকট্রিক সাপ্লাই, উত্তর কাজীটুলা, গোয়াইটুলা, আম্বরখানা, মাহিমপুর, দর্শন দেউরী, সুবিদবাজার, ভাতালিয়া, ওসমানী মেডিকেল, কুমারপাড়া (ঝরনারপাড়) ৫০ টাকা। দর্জিবন্দ, শাহী ঈদগাহ, লেচুবাগান, হাউজিং এস্টেট, লন্ডনী রোড ও পাঠানটুলা, বাগবাড়ি, বর্ণমালা পয়েন্ট, এতিম স্কুল, নবাব রোড (শেখঘাট পিচের মুখ, কলাপাড়া ডহর), ঘাসিটুলা বেতেরবাজার, আম্বরখানা, কলবাখানী, মেন্দিবাগ, সাদাটিকর ৫০ টাকা। জল্লারপাড়, তোপখানা ২০ টাকা।

এ ছাড়া কোর্ট পয়েন্ট থেকে নতুন ব্রিজ হয়ে কদমতলী, লাউয়াই, বিসিক শিল্পনগরী, বরইকান্দি, চৌকিদেখি, লাক্কাতুরা, শাপলাবাগ ৭০ টাকা। কাজীটুলা, রাজারগলি, শাহজালাল দরগাহ গেট, মিরের ময়দান, শেখঘাট, রিকাবীবাজার, দাড়িয়াপাড়া, মির্জাজাঙ্গাল, পশ্চিম কাজিরবাজার, ছড়ারপার, কুমারপাড়া পয়েন্ট, মিরাবাজার আগপাড়া, সোবহানীঘাট, চালিবন্দর ৩০ টাকা। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস গেট ৯০ টাকা। কুমারগাঁও বাস টার্মিনাল ১০০ টাকা। খোজারখোলা, সরকারি কলেজ ছাত্রাবাস, বালুচর, বাদাম বাগিচা, মদিনা মার্কেট, কানিশাইল খেয়াঘাট, পীর মহল্লা কুশিঘাট ৬০ টাকা।

আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে সুবিদবাজার, শাহী ঈদগাহ, কাজীটুলা ২০ টাকা। মদিনা মার্কেট, পাঠানটুলা, চৌকিদেখি ৩০ টাকা। লাক্কাতুরা, মিরাবাজার, নয়াসড়ক ৪০ টাকা। শিবগঞ্জ ৬০ টাকা। টিলাগড়, উপশহর (এবিসি পয়েন্ট), নতুন ব্রিজ ৬০ টাকা।

শিবগঞ্জ পয়েন্ট থেকে টিলাগড়, সেনপাড়া, খরাদিপাড়া ২০ টাকা। নতুন ব্রিজ, বালুচর ৩০ টাকা। ঈদগাহ ৫০ টাকা। আম্বরখানা, লামাবাজার, শেখঘাট ৬০ টাকা। পাঠানটুলা, মদিনা মার্কেট, ওসমানী মেডিকেল, হুমায়ুন রশীদ চত্বর, শেখঘাট, সুবিদবাজার ৭০ টাকা এবং কদমতলী বাস টার্মিনাল ৮০ টাকা।

দক্ষিণ সুরমা কিনব্রিজ থেকে রেলগেট ২০ টাকা। হুমায়ুন রশীদ চত্বর, টেকনিক্যাল, পর্যন্ত লাউয়াই ৩০ টাকা। শিববাড়ি ও গোটাটিকর পর্যন্ত ৪০ টাকা। বরইকান্দি ও আলমপুর পর্যন্ত ৫০ টাকা এবং মকন দোকান পর্যন্ত ৭০ টাকা।

বিজ্ঞপ্তিতে নির্ধারিত রুটের বাইরে যাতায়াতের ক্ষেত্রে প্রতি ১০০ গজের জন্য অতিরিক্ত ১০ টাকা ভাড়া প্রযোজ্য হবে। তবে নির্ধারিত রুটে উল্লিখিত নয় এমন নিকটবর্তী গন্তব্যে যাত্রীর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ১০ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া যাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ