ভারতীয় বাংলা সিনেমার দাপুটে অভিনেতা শুভেন্দু চ্যাটার্জির যোগ্য উত্তরসূরি শাশ্বত চ্যাটার্জি। ব্যক্তিগত জীবনে মহুয়া চ্যাটার্জির সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন শাশ্বত। এ দম্পতির একমাত্র গুণবতী কন্যা হিয়া চ্যাটার্জিও বড় হয়ে গেছেন।
দাদু ও বাবার পথ অনুসরণ করে চলচ্চিত্রে পা রাখতে যাচ্ছেন হিয়া। পরিচালক রাহুল মুখার্জি নির্মাণ করছেন ‘মন মানে না’ শিরোনামের সিনেমা। এর মাধ্যমে রুপালি পর্দায় অভিষেক হবে শাশ্বত কন্যার। তবে এতদিন হিয়াকে শোবিজ অঙ্গনে দেখা যায়নি বললেই চলে।
শাশ্বতের স্ত্রী মহুয়া পেশায় একজন শিক্ষক। তাদের কন্যা হিয়া লা মার্টিনা কলকাতা স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করেন। এরপর সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। হিয়া বলেন, “২০২৩ সালে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেছি। তারপর টানা দুই বছর বেণীদির (দামিনী বেণী বসু) কাছ থেকে অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নিই। প্রথম সিনেমায় আমাকে দর্শকদের কতটা ভালো লাগবে জানি না। কিন্তু মন দিয়ে কাজটা করার চেষ্টা করব।”
ছিপছিপে গড়নের হিয়া নাচেও বেশ পারদর্শি। শুভেন্দু, শাশ্বতর পর হিয়া হতে যাচ্ছেন বংশের তৃতীয় প্রজন্মের অভিনয়শিল্পী। হিয়া বলেন, “বাবা (শাশ্বত) বা দাদুর (শুভেন্দু) হাঁটুর যোগ্যও আমি নই। চাপ তো অনুভব করছি-ই। অনেক বড় দায়িত্ব। আমি পরিশ্রম করছি।”
শাশ্বতর মেয়ে বলে কোথাও কোনো বিশেষ সুযোগসুবিধা পাননি? এ প্রশ্নে অনেকেরই। সব সংশয় দূর করে হিয়া চ্যাটার্জি বলেন, “আলাদা সুযোগসুবিধা! কোনো প্রশ্নই ওঠে না। আসলে কয়েক বছর আগেও সোশ্যাল মিডিয়ার এত বাড়বাড়ন্ত ছিল না। তাই অনেকেই জানত না শাশ্বতর মেয়ে দেখতে কেমন। তাই বিশেষ সুযোগ পাওয়ার কোনো প্রশ্নই ছিল না।”
ছোটবেলা থেকেই অভিনেত্রী চেয়েছেন হিয়া। সেই ইচ্ছা পূরণের উদ্দেশ্যে নতুন যাত্রা শুরু। হিয়া বলেন, “ছয় মাস বয়স থেকে বাবার সঙ্গে সিনেমার সেটে যাই। সেই ছোটবেলা থেকে অভিনয় মাধ্যমটার সঙ্গে আমার পরিচয়। যখন থেকে আমার জ্ঞান হয়েছে তখন থেকে জানি আমি অভিনয়ই করব।”
হিয়া বেশ কিছু বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছেন। তবে অভিনেত্রী হওয়াই তার মূল লক্ষ্য। হিয়া বলেন, “আমি বেশ কিছু মডেলিংয়ের কাজও করেছি। কিন্তু অভিনেত্রী হওয়াই লক্ষ্য।”
বাবা শাশ্বত কী হিয়াকে পরামর্শ দেন? এ প্রশ্নের জবাব শুনলে হতাশ হবেন যে কেউ! হিয়া বলেন, “বাবা কোনো ধরনের পরামর্শ দেওয়ায় বিশ্বাসী নন। আমাকে বলেন, ‘মাঠে নেমে খেলা শিখতে হবে।’ যদিও বাবা হিসেবে অবশ্যই পাশে থাকবেন। তাই এই যাত্রা পুরোটাই আমার একার।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানের নিঃশর্ত আত্মসমর্পন চান ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ইরানের নিঃশর্ত আত্মসমর্পন চান। মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার জি-৭ সম্মেলন থেকে ওয়াশিংটনে ফিরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একের পর এক পোস্ট দেওয়া শুরু করেন ট্রাম্প।
সর্বশেষ পোস্টে তিনি বলেছেন, “ইরানের নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ।”
এর আগে আরেকটি পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি কোথায় আছেন তা জানে যুক্তরাষ্ট্র। তবে তাকে হত্যা করা হবে না।
তিনি বলেছেন, “আমরা ঠিক জানি তথাকথিত সর্বোচ্চ নেতা কোথায় লুকিয়ে আছেন। তিনি একটি সহজ লক্ষ্য, কিন্তু সেখানে নিরাপদ - আমরা তাকে বের করে (হত্যা!) করব না, অন্তত আপাতত নয়। কিন্তু আমরা বেসামরিক নাগরিক বা আমেরিকান সেনাদের উপর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে চাই না। আমাদের ধৈর্য শেষ হয়ে যাচ্ছে।”
এর কয়েক মিনিট আগে আরেকটি পোস্টে ট্রাম্প লিখেছিলেন, “ইরানের আকাশসীমার উপর এখন আমাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আছে।”
ঢাকা/শাহেদ