এবারের বাজেটে যেভাবে জনতার স্বর শোনা যাবে
Published: 2nd, May 2025 GMT
কর ফাঁকি দিতে চান অনেকেই। কিন্তু করদাতাদের অর্থ দেশের কাজে ‘সহিহ কায়দায় নিজের এখতিয়ারে’ নিতেও জানেন না অনেক ভদ্রলোক। যেমনটা জানতেন না পতিত সরকারের অধিকাংশ সংসদ সদস্যরা। কারণ, ‘সরকার কা মাল দরিয়া মে ঢাল’—এর ইতিহাস এ দেশে বেশ সমৃদ্ধ।
তাহলে দিনদুপুরে রাষ্ট্রীয় তহবিলের আশপাশে থাকা ‘ভূতের’ মেরে দেওয়া থেকে জনগণের টাকা রক্ষা ও দেশবাসীর সর্বোত্তম কল্যাণে ব্যবহারের উপায় কী?
আইন প্রণয়নের পর বাজেট তৈরি যাঁদের প্রধান দায়িত্ব, সেই এমপি সাহেবদের বাদ দিয়ে এ কাজ হওয়ার নয়। কেননা এই কর্তৃত্ব তাঁদেরই; যদি তাঁরা সত্যিই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন।
অথচ রাষ্ট্রের আয়-ব্যয়ের হিসাব–নিকাশের স্বচ্ছতা, জবাবদিহি নিশ্চিতে বরাবরই ততটা আগ্রহী দেখা যায়নি তাঁদের, যেন নিজেদের জীবনেও তাঁদের কখনো সংসার চালাতে হয়নি।
আমরা আদিম যুগে নেই বলে আয়–ব্যয় ছাড়া আধুনিক বিশ্বের যেকোনো পরিবার অচল। তবু এই পরিবারের চেয়ে আরেকটু বড় পরিসরে ভাবতে গেলেই আমাদের কী যে সংগ্রাম, ন্যায়নিষ্ঠভাবে কাজ করতে কত যে জটিলতা!
১৮ কোটি মানুষের মধ্যে অনেকের পকেট থেকে আসা অর্থ এবং তাঁদের নামে ও পক্ষে ব্যয় করার প্রক্রিয়াও একটি বড় সংসার পরিচালনার মতো কাজ, যাকে কেতাবি ভাষায় বলে জাতীয় বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
পরিবারে রোজগার ও ব্যয়ের কর্তৃত্ব সাধারণত একই অভিভাবকের হাতে থাকে। কিন্তু সরকারের অর্থ সংগ্রহকারী ও ব্যয়কারীরা এর মালিক নন, তাঁরা খাদেম। জাতীয় রাজস্বের জিম্মাদার প্রতিষ্ঠান অর্থ মন্ত্রণালয়কে সমাজের সাংঘর্ষিক গোষ্ঠী, শ্রেণির স্বার্থকে মেলাতে হয় অঙ্ক (বরাদ্দ) ও সাহিত্য (সুন্দর বক্তব্য) দিয়ে।
রাষ্ট্রের প্রশাসনিক ব্যয় নির্বাহ, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং সামাজিক সুরক্ষার প্রয়োজনে মানুষের কাছ থেকে আয়কর, মূল্য সংযোজন কর (মূসক), শুল্ক ও অন্যান্য রাজস্ব হিসেবে অর্থ সংগ্রহ করেন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা এবং এই কর আরোপ ও ব্যয়ের খতিয়ান নির্ধারণ এবং অনুমোদন দেওয়ার দায়িত্ব সংসদ সদস্যদের। রাষ্ট্রপতি সংসদের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের কাছে এই মঞ্জুরি দাবি পেশ করে থাকেন।
পরিসংখ্যানভিত্তিক উন্নতির আরেক মানদণ্ড, মোট দেশজ আয় বা জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে খুব বেশি লাভ হয় না, যদি না প্রবৃদ্ধির সুফল গণমানুষের কাছে পৌঁছায়। তাই পরিবর্তিত বাংলাদেশে সম্পদ বণ্টনের যে নতুন আয়োজন প্রয়োজন হবে, তার ইঙ্গিত থাকা উচিত ২০২৫-২৬-এর বাজেটেই।কিন্তু ধারাবাহিকভাবে আমাদের বাজেট হয়ে দাঁড়িয়েছে একটি আমলাতান্ত্রিক কর্মযজ্ঞ, যা আসলে একটি রাজনৈতিক দলিল, নির্বাচনের আগে দেওয়া ইশতেহারের প্রতিফলন হওয়ার কথা ছিল। সেই প্রক্রিয়ায় প্রশাসনিক কর্মকর্তা, কর্মচারীদের কর্তব্য দক্ষতার সঙ্গে করণিক সমর্থন জোগানো।
আগে প্রত্যেক সংসদ সদস্যের নিজের এলাকার উন্নয়ন ভাবনা থেকে কিছু কর্মসূচি ও বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করার নৈতিক বাধ্যবাধকতা থাকলেও কৌশলগত, আর্থিক ও প্রশাসনিক বিষয়ে জ্ঞান এবং ক্ষেত্রভেদে সরকারি ব্যবস্থায় সমর্থনের অভাবে তাঁদের ভূমিকা তুচ্ছই রয়ে যেত।
তাই জুন মাস–কেন্দ্রিক বাজেটের মৌসুম এলে নতুন বাজেটে কী অন্তর্ভুক্ত হবে এবং বিদায়ী অর্থ বছরের কর সংগ্রহ এবং বরাদ্দকৃত টাকাপয়সা ছাড় ও ব্যয় কত দ্রুত সম্পন্ন করা যাবে, তা নিয়ে প্রশাসনিক তোড়জোড় শুরু হতো।
কীভাবে কত টাকার আয়–ব্যয়ের হিসাব মহান সংসদে উপস্থাপন করা হবে, এর সপক্ষে কীভাবে আলোচনা হবে এবং ‘হ্যাঁ জয়যুক্ত হয়েছে’ বলে কীভাবে তা পাস করা হবে, তা নির্বাহী কর্তৃপক্ষের খবরদারির মধ্যেই পড়ে থাকত।
প্রাক্-বাজেট পরামর্শ সভা বা সংসদে উপস্থাপিত আর্থিক বিবৃতির প্রস্তাব নিয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটিতে আলোচনার অন্যতম দিক ছিল শ্রেণিস্বার্থে করারোপ বা প্রকল্প গ্রহণের জন্য দর-কষাকষি।
জন-আকাঙ্ক্ষাকে বাজেট প্রস্তাবে রূপান্তর, নানা গোষ্ঠী ও সেক্টরের প্রতিনিধিদের মধ্যে তর্কবিতর্ক এবং সংসদ সদস্যদের মধ্যে পুরোনো সংবিধানের ধারা ৭০-এর দলীয় নিয়ন্ত্রণ এড়িয়ে স্বাধীন, উন্মুক্ত আলোচনার কোনো আয়োজনও করা হয়নি। তাই বলে ভবিষ্যতে করা যাবে না, এমন তো নয়।
অন্তত এবারের পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা। সংসদবিহীন সময়ে কিন্তু একটি সহনশীল, মুক্ত পরিবেশে বাজেট প্রণয়নের দায়িত্ব পড়েছে একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসনের ওপর। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়, নৈশকালীন ভোটে বা ডামি নির্বাচনে জয়ী সংসদ সদস্যদের কোনো প্রাসঙ্গিকতা নেই এ জামানায়।
বাংলাদেশে দুই দফা প্রত্যক্ষ সামরিক শাসনামলে (১৯৭৫-৭৯ ও ১৯৮২-৮৬) সাতটি; ১৯৯৬-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে একটি, ২০০৭-২০০৮ সালে ‘ওয়ান ইলেভেন’ প্রশাসনের দুটি এবং এবারের বাজেটটি বাদে বাকি ৪২টি বাজেটই হয়েছে সংসদ কার্যকর থাকার সময়ে।
তাতেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাজেট প্রণয়ন, বৈধতা প্রদান ও বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া গণতান্ত্রিক চরিত্র ধারণ করেনি।
বরং ফ্যাসিবাদী হাসিনা আমলে তাঁর আজ্ঞাবহ সংসদ যা খুশি তা-ই অর্থ বরাদ্দ ও আর্থিক নীতির পক্ষে আইন পাস করে। এতে বিচার বিভাগ সহযোগী ভূমিকা নেয় এবং নির্বাহী বিভাগ রাষ্ট্রের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় কৈফিয়তের সংস্কৃতিকে জাদুঘরে পাঠিয়ে চুরিতন্ত্রকে স্বাভাবিক কার্যপ্রণালি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
যাহোক, গণমুখী ও ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উপযোগী একটি দিকনির্দেশনামূলক বাজেট তৈরির ঐতিহাসিক সুযোগ এসেছে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সামনে।
অন্য তিনটি (১৯৯৬-৯৭, ২০০৭-০৮ ও ২০০৮-০৯) ব্যতিক্রমী বাজেটের চেয়ে এটি আরও আলাদা এ অর্থে যে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের রয়েছে পরিবর্তন আনার বিপ্লবী ম্যান্ডেট।
সুতরাং একটি নতুন ধারার সূত্রপাত করতে পারে এই অন্তর্বর্তী বাজেট। এই উত্তরণে একটি সংসারের ধারণার বিস্তার ঘটতে পারে সমাজ ও রাষ্ট্রে এবং শক্তিশালী কিন্তু দরদি রাষ্ট্র কার্যকর প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দাঁড়াতে পারে সহস্র পরিবারের পাশে।
নমুনা হিসেবে বলা যায়, স্বাস্থ্যঝুঁকি, দুর্ঘটনা বা দুর্যোগের মতো যেসব কারণে মানুষ ঋণগ্রস্ত বা সম্পদহীন হয়ে পড়ে, সেগুলো মোকাবিলায় সুদমুক্ত ঋণ ও বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে সুরক্ষাবলয় তৈরি হলে নতুন দারিদ্র্য রোধ এবং সমাজে প্রতিশ্রুতিশীল মানুষদের সর্বস্বান্ত হওয়া থেকে রক্ষা করা যেতে পারে।
নতুন প্রজন্মের জন্য নতুন কর্মসূচি ও প্রকল্পে (যেমন ট্যালেন্ট হান্ট, উদ্যোক্তা তৈরি এবং ইউনূসের সামাজিক ব্যবসা) প্রসারে প্রণোদনা দেওয়া হলে জুলাই-আগস্ট ২০২৪ বিপ্লবের শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতিও যথাযথ সম্মান দেখানো হবে।
ছাত্র এবং সদ্য পাস করা তরুণদের ব্যাপক অংশগ্রহণে দেশে বিশেষ অর্থনৈতিক ও কর সমীক্ষার মাধ্যমে জাতীয় সম্পদ, সম্ভাবনা ও যৌক্তিক পরিমাণ রাজস্ব পাওয়ার উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশনা থাকতে পারে আগামী বাজেটে।
এতে কম বয়সেই নাগরিকেরা কর প্রদান ও এর সর্বোত্তম ব্যবহার এবং উন্নয়ন ও নিজেদের দায়িত্বের বিষয়ে সচেতন হওয়ার সুযোগ পাবেন এবং নিজেদের পরার্থপরতায় নিয়োজিত করার তাগিদ অনুভব করবেন।
দেড় দশকের ফ্যাসিবাদী শাসনে ছিন্নভিন্ন হওয়া সামাজিক আবরু বা ‘সোশ্যাল ফেব্রিক’ জোড়া দিতে হলে সমাজের সব শ্রেণি–পেশার মানুষের শান্তিতে বাঁচা ও জীবনযাপনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে হবে রাষ্ট্রকে।
সেই উদ্দেশ্যে উচ্চশিক্ষিত নাগরিক, সামাজিক রোল মডেল বা প্রবাসী গুণীজনদের শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়নে কাজে লাগানোর সুযোগ আছে।
জাতীয় কল্যাণে বিশেষায়িত জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনে মেধাবী তরুণদের দেশে বা বাইরে প্রণোদনা এবং অনেককে ঘরে ফেরাতে বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া বাঞ্ছনীয়।
মানুষের মেধা-মনন, সম্ভাবনা ও ব্যক্তির অধিকার উপেক্ষা করে শেখ হাসিনার আওয়ামী শাসনে জোর দেওয়া হয় ইট, কাঠ, বালু, সিমেন্ট এবং সংখ্যাতাত্ত্বিক কাগুজে উন্নয়নে, যার চূড়ান্ত প্রতিক্রিয়া আমরা দেখেছি জাতীয় সম্পদ লুটপাটে, আকাশছোঁয়া বৈষম্যে, অবশেষে গণরোষে তাঁর পতন ও পলায়নে।
পরিসংখ্যানভিত্তিক উন্নতির আরেক মানদণ্ড, মোট দেশজ আয় বা জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে খুব বেশি লাভ হয় না, যদি না প্রবৃদ্ধির সুফল গণমানুষের কাছে পৌঁছায়। তাই পরিবর্তিত বাংলাদেশে সম্পদ বণ্টনের যে নতুন আয়োজন প্রয়োজন হবে, তার ইঙ্গিত থাকা উচিত ২০২৫-২৬-এর বাজেটেই।
একই সঙ্গে করদাতাদের অর্থ যাতে দুর্নীতির কারণে বেহাত না হয় এবং বাজেট বরাদ্দের অর্থকে পুঁজি করে কেউ যেন কমিশন বা ঘুষবাণিজ্য না করতে পারে, সে রকম পদক্ষেপ এ বাজেটে থাকা জরুরি।
আমরা হয়তো বিশ্বাস করছি না, দীর্ঘমেয়াদি, ন্যায়ভিত্তিক করনীতি, স্থিতিশীল অর্থনীতি, কল্যাণ রাষ্ট্র, সামাজিক ন্যায়বিচার ও পারস্পরিক সহযোগিতার সমাজ প্রতিষ্ঠা করেই কেবল মুদ্রাস্ফীতি বা কোনো অর্থনৈতিক আঘাত থেকে মানুষকে রক্ষা করা সম্ভব। অধ্যাপক ইউনূসের বাজেট দর্শনে এর প্রতিফলন কাম্য।
খাজা মাঈন উদ্দিন, সাংবাদিক
[email protected]
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রব দ ধ সরক র র প রণয়ন পর ব র আর থ ক বর দ দ ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা, নির্বাচন ২৭ নভেম্বর
প্রতিষ্ঠার দুই দশক পর প্রথমবারের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৭ নভেম্বর এই বহুল প্রত্যাশিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
টানা ৩০ ঘণ্টা অনশনে তিন জবি শিক্ষার্থী অসুস্থ
‘নভেম্বরে সম্পূরক বৃত্তির আশ্বাস দিয়েছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন গঠন ও কার্যক্রম শুরু হবে। কমিশন পরবর্তী ১১ দিনের মধ্যে তফসিল প্রস্তুত ও ঘোষণা করবে। এছাড়া কমিশন ধাপে ধাপে নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
এর মধ্যে থাকবে— জকসু নির্বাচন নীতিমালা ও আচরণবিধি প্রণয়ন; ছাত্র সংগঠন, সাংবাদিক সংগঠন ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে মতবিনিময়; ভোটার তালিকা প্রণয়ন, খসড়া প্রকাশ ও সংশোধন; চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ; মনোনয়নপত্র জমা, যাচাই-বাছাই ও আপত্তি নিষ্পত্তি; প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ ও প্রচারণা কার্যক্রম।
সবশেষে ২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ, একই দিনে অফিসিয়াল ফলাফল প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।
২০০৫ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। দীর্ঘ আন্দোলন, দাবি-দাওয়া ও শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে অবশেষে প্রথমবারের মতো জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করলো প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংবিধি ও বিধি অনুযায়ী রোডম্যাপের প্রতিটি ধাপ বাস্তবায়িত হবে।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী