‘মরার পর’ বিশ্রাম নিতে চান ব্রুনো ফার্নান্দেজ
Published: 2nd, May 2025 GMT
ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ৬৬৩ ম্যাচ খেলেছেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ। চোট বা অসুস্থতার কারণে ১৩ বছরের পেশাদার ক্যারিয়ারে মিস করেছেন মাত্র ৬ ম্যাচ। এই পরিসংখ্যান রীতিমতো অবিশ্বাস্যই বটে। চলতি মৌসুমের পরিসংখ্যানও অনেকটা একই রকম।
২০২৪–২৫ মৌসুমে এখন পর্যন্ত চোটের কারণে কোনো ম্যাচ মিস করেননি ফার্নান্দেজ। প্রিমিয়ার লিগে ৩৪ ম্যাচের ৩৩টিতেই ছিলেন স্কোয়াডে। ৩২ ম্যাচে ছিলেন শুরুর একাদশে এবং একটিতে মাঠে নেমেছেন বেঞ্চ থেকে
ইউরোপা লিগে ১৩ ম্যাচের মধ্যে ১২টিতেই শুরুর একাদশে ছিলেন ফার্নান্দেজ। নিষেধাজ্ঞার কারণে খেলা হয়নি এক ম্যাচ। আর যেগুলোয় মাঠে ছিলেন, শুধু একটি ম্যাচে ৮১ মিনিটে তুলে নেওয়া হয় তাঁকে, আর বাকি সব ম্যাচে ছিলেন শেষ পর্যন্ত। এ ছাড়া এফএ কাপ ও লিগ কাপে ছয় ম্যাচের প্রতিটিতে খেলেছেন তিনি। এই ছয় ম্যাচের একটিতে বদলি নেমে ২৮ মিনিট খেলেছেন এই পর্তুগিজ তারকা। বাকি সব ম্যাচে পুরো সময় মাঠে ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুনপ্রিমিয়ার লিগে ‘বাতিল’ ইউনাইটেড–টটেনহামই এখন ইউরোপে ফাইনালের পথে১৩ ঘণ্টা আগেসব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৫২ ম্যাচে ৪,৪৯১ মিনিট মাঠে ছিলেন ফার্নান্দেজ। ফিটনেস সমস্যা ও ক্লান্তিতে ভেঙে পড়ার এই যুগে এমন পরিসংখ্যান যেকোনো খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রেই ঈর্ষণীয়। তবে শারীরিকভাবে ফিট থাকার পাশাপাশি মানসিকভাবেও ফার্নান্দেজ বেশ শক্তিশালী, ভিন্ন এক ধাতুতে গড়া। ‘ক্লান্তি’ শব্দটি যেন তাঁর অভিধানেই নেই।
ব্রুনো ফার্নান্দেজের উদ্যাপন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
১১ নাটক নিয়ে শিল্পকলায় চলছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ নাট্যোৎসব’
জুলাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত ১১ দলের ১১টি নতুন প্রযোজনা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ নাট্যোৎসব’। জাতীয় নাট্যশালায় গত ৩১ জুলাই শুরু হওয়া এই নাট্যোৎসব চলবে ৮ আগস্ট পর্যন্ত। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত এ উৎসবে নাট্যরূপে উঠে আসছে ইতিহাস, আন্দোলন ও সময়ের গল্প।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন গতকাল শুক্রবার জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয় ‘শুভঙ্কর হাত ধরতে চেয়েছিল’। তীরন্দাজ রেপার্টরি প্রযোজিত নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় দীপক সুমন। গতকালই ছিল এ নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মঞ্চস্থ নতুন এ নাটক নিয়ে আলোচনা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে উল্লেখযোগ্য দর্শকের উপস্থিতি ছিল। দর্শকদের অনেকেই বলছেন, এই নাটকে যেন এক নাগরিকের নির্জনতা, এক প্রেমিকের না-পাওয়া, এক বিপ্লবীর বিষণ্নতা আর এক সাধারণ মানুষের অসহায়তা একসূত্রে বাঁধা পড়েছে।