ম্যাচের তখন ১২ মিনিট। হঠাৎ করে গ্যালারি থেকে মাঠের দিকে ঝরতে শুরু করে ইউরো নোটের বৃষ্টি। দুই দলের খেলোয়াড়েরা হতবাক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। সব নোটই ৫০০ ইউরোর। এভাবে ৬০০০০ নোট গ্যালারি থেকে ছুড়ে মারা হয়েছে।

নোট ছুড়ে মারার সময় সমর্থকেরা স্লোগান দিতে থাকেন—রোনালদো বাড়ি যাও! গতকাল বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যাচে এই কাজ করেছেন ভায়াদোলিদের সমর্থকেরা। রোনালদো বলতে তাঁরা বাড়ি ফিরে যেতে বলেছেন ক্লাবের সভাপতি ও একাংশের মালিক কিংবদন্তি ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার রোনালদো নাজারিওকে।

৫০০ ইউরোর ৬০০০০ নোট কেন ছুড়ে মেরেছেন সমর্থকেরা? ৫০০ ইউরোর ৬০০০০ নোট মানে ৩ কোটি ইউরো। ভায়াদোলিদের মালিকানা ৩ কোটি ইউরোতে ২০১৮ সালে কিনেছিলেন রোনালদো। সেই পরিমাণ অর্থ তাঁকে ফেরত দিতে চেয়েছে সমর্থকেরা।
রোনালদোর বিরুদ্ধে পুরো প্রতিবাদ-পর্বটিই ছিল প্রতীকী। ৫০০ ইউরোর নোটগুলো আসল ছিল না। সেগুলো ছাপানো হয়েছে রোনালদোর একটি ছবি দিয়ে। এক পাশে লেখা ছিল ‘রোনালদো গো হোম।’

নকল সেই নোট মাঠ থেকে সরাতে হিমশিম খেতে হয়েছে মাঠকর্মীদের। এর জন্য কিছু সময় খেলা বন্ধও ছিল। পরে শুরু হওয়া ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। বাজার কাছে এই হারের আগেই অবশ্য লা লিগা থেকে অবনমন হয়েছে ভায়াদোলিদের। লিগ শেষ হতে পাঁচ ম্যাচ বাকি থাকতেই দল দ্বিতীয় বিভাগে নেমে যাওয়ার কারণেই রোনালদোর বিরুদ্ধে এমন প্রতিবাদ করেছেন সমর্থকেরা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ৫০০ ইউর র

এছাড়াও পড়ুন:

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে

জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।

আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ‘জরুরি সভায়’ এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।

তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে। এসব সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ