তুচ্ছ ঘটনায় বেরোবি শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত, আটক ২
Published: 5th, May 2025 GMT
রংপুর শহরের একটি কোচিং সেন্টারের ভিতরে বাইক রাখতে নিষেধ করায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
আহত আসাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি লালমনিরহাট জেলার আদিতমারিতে।
আটকরা হলেন, শামীম ও সাঈদ মুস্তাকিম। এর মধ্যে সাঈদ মুস্তাকিম রংপুর মহানগরীর ১৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ।
জানা গেছে, রবিবার (৪ মে) রংপুর চেকপোস্ট কেরানি পাড়ায় অবস্থিত রেডিয়ান্ট কোচিং সেন্টারের ভিতরে মোটরসাইকেল রাখতে নিষেধ করায় ভুক্তভোগী আসাদকে মারধর ও ছুরিকাঘাত করেন স্থানীয় ৮-১০ জন যুবক। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিচার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের আশ্বাসে মধ্যরাতে আন্দোলন স্থগিত করেন।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম আশিক বলেন, “কেরানীপাড়ার রেডিয়ান্ট কোচিংয়ে বাইক রাখা নিয়ে তুচ্ছ ঘটনায় এলাকার টোকাই নেশাখোর পোলাপান আসাদকে মারধর ও ছুরির আঘাত করে। এমন কি আসাদের বউকে পর্যন্ত ছাড় দেয়নি তারা। তার বউয়ের গায়েও হাত তোলে।”
তিনি বলেন, “এ রকম টোকাই, চাঁদাবাজদের হাতে প্রতিনিয়ত অনেকেই নির্যাতনের শিকার হয়। এদের এখনই রুখে দিতে না পারলে এরা আরো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। আমরা চাই এদের অতিদ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।”
ভুক্তভোগী আসাদ বলেন, “তাদের আমি বলি, আপনারা কোচিং সেন্টারে বাইক রাখেন, আমাদের সমস্যা হয়। এ কথা বলার পর ৮-১০ জন আমার উপর হামলা করে। এক পর্যায়ে তারা আমাকে ছুরিকাঘাত করে। পরে আমার জুনিয়রসহ অনেকে আমাকে মেডিকেলে নিয়ে আসে।”
প্রত্যক্ষদর্শী আসাদের স্ত্রী বলেন, “আমি এসে দেখি ও (আসাদ) বাঁচার জন্য দৌড়াদৌড়ি করছে। সে অন্যপাশে গেলে তারা খুঁজে বের করে আবারও মারধর শুরু করে। আমি বাঁচানোর চেষ্টা করলে তারা আমাকেও আঘাত করে। আমি মাটিতে পড়ে গিয়ে শরীরের দুই পাশে আঘাত পেয়েছি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ফেরদৌস রহমান বলেন, “গতকালই (রবিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞতনামাদের আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উপাচার্য স্যার সার্বক্ষণিক খোঁজ নিচ্ছেন। আহত শিক্ষার্থীর সব খরচ বিশ্ববিদ্যালয় গ্রহণ করেছে। হামলাকারী যেই হোক, যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় পাবে না।
এদিকে, সোমবার (৫ মে) ভোরে এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করে নগরীর কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, “আটক দুইজনের নাম শামীম ও সাঈদ মুস্তাকিম। তাদের মধ্যে সাঈদ রাজনীতির সাথে জড়িত।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঘ ত কর ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
তুচ্ছ ঘটনায় বেরোবি শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত, আটক ২
রংপুর শহরের একটি কোচিং সেন্টারের ভিতরে বাইক রাখতে নিষেধ করায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
আহত আসাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি লালমনিরহাট জেলার আদিতমারিতে।
আটকরা হলেন, শামীম ও সাঈদ মুস্তাকিম। এর মধ্যে সাঈদ মুস্তাকিম রংপুর মহানগরীর ১৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ।
জানা গেছে, রবিবার (৪ মে) রংপুর চেকপোস্ট কেরানি পাড়ায় অবস্থিত রেডিয়ান্ট কোচিং সেন্টারের ভিতরে মোটরসাইকেল রাখতে নিষেধ করায় ভুক্তভোগী আসাদকে মারধর ও ছুরিকাঘাত করেন স্থানীয় ৮-১০ জন যুবক। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিচার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের আশ্বাসে মধ্যরাতে আন্দোলন স্থগিত করেন।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম আশিক বলেন, “কেরানীপাড়ার রেডিয়ান্ট কোচিংয়ে বাইক রাখা নিয়ে তুচ্ছ ঘটনায় এলাকার টোকাই নেশাখোর পোলাপান আসাদকে মারধর ও ছুরির আঘাত করে। এমন কি আসাদের বউকে পর্যন্ত ছাড় দেয়নি তারা। তার বউয়ের গায়েও হাত তোলে।”
তিনি বলেন, “এ রকম টোকাই, চাঁদাবাজদের হাতে প্রতিনিয়ত অনেকেই নির্যাতনের শিকার হয়। এদের এখনই রুখে দিতে না পারলে এরা আরো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। আমরা চাই এদের অতিদ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।”
ভুক্তভোগী আসাদ বলেন, “তাদের আমি বলি, আপনারা কোচিং সেন্টারে বাইক রাখেন, আমাদের সমস্যা হয়। এ কথা বলার পর ৮-১০ জন আমার উপর হামলা করে। এক পর্যায়ে তারা আমাকে ছুরিকাঘাত করে। পরে আমার জুনিয়রসহ অনেকে আমাকে মেডিকেলে নিয়ে আসে।”
প্রত্যক্ষদর্শী আসাদের স্ত্রী বলেন, “আমি এসে দেখি ও (আসাদ) বাঁচার জন্য দৌড়াদৌড়ি করছে। সে অন্যপাশে গেলে তারা খুঁজে বের করে আবারও মারধর শুরু করে। আমি বাঁচানোর চেষ্টা করলে তারা আমাকেও আঘাত করে। আমি মাটিতে পড়ে গিয়ে শরীরের দুই পাশে আঘাত পেয়েছি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ফেরদৌস রহমান বলেন, “গতকালই (রবিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞতনামাদের আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উপাচার্য স্যার সার্বক্ষণিক খোঁজ নিচ্ছেন। আহত শিক্ষার্থীর সব খরচ বিশ্ববিদ্যালয় গ্রহণ করেছে। হামলাকারী যেই হোক, যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় পাবে না।
এদিকে, সোমবার (৫ মে) ভোরে এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করে নগরীর কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, “আটক দুইজনের নাম শামীম ও সাঈদ মুস্তাকিম। তাদের মধ্যে সাঈদ রাজনীতির সাথে জড়িত।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী