‘‘ওয়েব সিরিজে এর আগেও অভিনয় করেছি। এবারই প্রথম বড় ক্যানভাসের ‘গুলমোহর’ সিরিজে অভিনয়ের সুযোগ হয়েছে। এটি মূলত পারিবারিক সমস্যার গল্পের সিরিজ। নিজের অভিনীত চরিত্রটি নিয়ে আপাতত কিছু না বলা গেলেও আমি খুব আশাবাদী কাজটি নিয়ে। অনেক অপেক্ষা ছিল সিরিজটি নিয়ে। অবশেষে এটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। অপেক্ষার প্রহর ফুরোলো।’’ 

নিজের অভিনীত ওয়েব সিরিজ নিয়ে এভাবে বললেন অভিনেত্রী ও মডেল সারিকা সাবাহ। সৈয়দ আহমেদ শাওকী পরিচালিত আট পর্বের এ সিরিজটি আগামী ১৫ মে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পাবে।  এ সিরিজটির মাধ্যমে বেশ বিরতির পর সাবাহর কোনো ওয়েব সিরিজ মুক্তি পেতে যাচ্ছে ওটিটিতে। 

সিরিজটি সম্পর্কে সাবাহ আরও বলেন, ‘সিরিজটি মুক্তি পাবে, এটি ভেবে আমি বেশ নার্ভাস। জানি না কেমন হবে। দর্শক-প্রতিক্রিয়ার পর বোঝা যাবে কেমন অভিনয় করেছি। নির্মাতা শাওকী ভাই বেশ যত্ন নিয়ে সিরিজটি নির্মাণ করেছেন। আমিও আমার চরিত্রে সর্বোচ্চ শ্রম দিয়েছি। চেষ্টা করেছি চরিত্রটি যথাযথভাবে ফুটিয়ে তুলতে। এ সিরিজটির মাধ্যমে দর্শক অন্য এক সারিকা সাবাহকে আবিষ্কার করবেন। আশা করছি, এটি প্রচারে এলে দর্শকের ভালো লাগবে।’ 

গুলমোহর সিরিজটিতে কাজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘গুলমোহরে কাজের আগে শাওকী ভাই সম্পর্কে এত প্রশংসা শুনেছি, এ কারণে তাঁর সঙ্গে কাজের প্রতি আলাদা একটা লোভ ছিল। শুটিংয়ের পুরো জার্নিটা আমার জন্য ছিল লার্নিং প্রসেস। এখানে অনেক গুণী শিল্পীর সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ হয়েছে। দারুণ একটি টিম ছিল। অভিনয় জীবনে নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছি, কিন্তু এই সিরিজের মতো চরিত্র একটিও পাইনি। আমার নিজের চেয়ে ম্যাচিউরড একটি চরিত্র। চরিত্রটিতে অনেক বাঁক আছে। এতে অভিনয়ের জন্য আমাকে ওজন কমাতে হয়েছে। যখন এতে অভিনয় করি তখন বুঝতে পারিনি চরিত্রটা কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। 
অভিনয় শেষ হলে বুঝতে পেরেছি, এটি কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল আমার জন্য। মনিটরে কাজ দেখে মনে হয়েছে কিছু একটা করেছি। শুটিং শেষে সবার সঙ্গে আড্ডা দিয়েছি। শুধু আমি নই, সবাই কাজটি করে তৃপ্ত।’ 

এদিকে সারিকা সাবাহ আপাতত নাটকে অভিনয় করছেন না। তবে জানান, আবারও তিনি শিগগিরই নতুন নাটকে কাজ শুরু করবেন। হাতে বেশ কিছু চিত্রনাট্য জমেছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করছেন। সর্বশেষ সারিকাকে ‘দুই জোনাকির গল্প’, ‘ঈদ কার্ড’, ‘মি অ্যান্ড মাই এক্স’ নাটকে দেখা গেছে।

নাটকগুলোতে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। এতে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছেন সোহেল মণ্ডল, জোভান ও তৌসিফ মাহবুব। আপাতত নাটকে অভিনয় না করলেও বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করছেন তিনি। সারিকা সাবাহ জানান, এরইমধ্যে প্রচারে আসা তাঁর কিছু বিজ্ঞাপন দর্শকের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। একটি হলো শঙ্খ দাশগুপ্তর নির্দেশিত ‘ভিম লিকুইডার’ ও অন্যটি সাবরিনা আইরিনের ‘বিকাশ’-এর বিজ্ঞাপন। 

মুহম্মদ মুস্তাফা কামাল রাজের ফ্যামিলি ক্রাইসিসে ‘ঝুমুর’ চরিত্রটি দিয়ে নিজের জাত চিনিয়েছেন সারিকা সাবাহ। এতে অভিনয় করার পরই তাঁকে সবাই ঝুমুর নামেই ডাকছেন। এটি একজন অভিনয়শিল্পীর জন্য বড় পাওয়া বলে জানালেন এই অভিনেত্রী। এরপর তাঁকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। ভালো গল্পনির্ভর চলচ্চিত্রে কাজের ইচ্ছা রয়েছে সাবাহর। জনপ্রিয়তার মোহে গা ভাসানো নয় বরং কাজের মধ্য দিয়ে দর্শক-মনে দাগ কাটতে চান তিনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চর ত র র জন য স র জট

এছাড়াও পড়ুন:

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে

জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।

আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ‘জরুরি সভায়’ এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।

তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে। এসব সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ