অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, কোনোরকম পক্ষপাত করবেন না। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করাই হবে এই সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। নইলে নানা রকম সংকট আসবে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মহান মে দিবস ও প্রাসঙ্গিক বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
 
মান্না বলেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলন মনে করিয়ে দিয়েছিল, এবার বদলাতে হবে। কিন্তু কেউ মনে করছে, এই সরকার কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন করতে পারবে, কেউ মনে করছে– কিছুই হবে না। অনেক ক্ষেত্রেই পুলিশের আচরণ আগের মতো। সচিবালয়ে এখনও স্বৈরাচার সরকারের দোসরদের দাপট চলছে। গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলনকারীদের নামে দুর্নীতির অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। 

তিনি বলেন, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান লতিফুর রহমান এসেই ছয় ঘণ্টায় প্রশাসন রদবদল করেন। এই সরকার তেমন কিছুই করতে পারল না কেন? ৯ মাসে সরকার সংস্কার প্রক্রিয়া শুরুই করতে পারেনি।

মান্না বলেন, প্রফেসর ইউনূস সব কথা বিদেশিদের সঙ্গে বলেন। দেশের কারও সঙ্গে বলেন না। করিডোর নিয়ে কিছুই পরিষ্কার করেননি। কেউ বলছেন আগে বিচার, পরে নির্বাচন। মনে রাখতে হবে, পলিটিক্স ইজ দা কমান্ডার অব দা সোসাইটি।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিন্নুর চৌধুরী দিপু, মোফাখখারুল ইসলাম নবাব প্রমুখ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র র

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধবিরতিতে কাতারের ‘কূটনৈতিক বিজয়’

তেহরান থেকে আলজাজিরার সাংবাদিক আলী হাশেম লিখেছেন, এটা স্পষ্ট যে গত রাতে (২৩ জুন) কাতারের আল উদেইদ সামরিক ঘাঁটিতে হামলার বিষয়ে ইরান আগেই কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছিল।

ইরান জোর দিয়ে বলছে, কাতারের সঙ্গে তাদের ভ্রাতৃসুলভ ও গভীর সম্পর্ক রয়েছে এবং এই হামলা কাতার রাষ্ট্রকে লক্ষ্য করে ছিল না।

তবু কাতারের দৃষ্টিতে এটি তাদের সার্বভৌমত্বে আঘাত; এ কারণেই দোহার পক্ষ থেকে যে নিন্দা জানানো হয়েছে এবং তা যৌক্তিক।

আরো পড়ুন:

ন্যাটোর হেগ সম্মেলন: থাকছেন কারা? আলোচ্যসূচিতে প্রধান্য কীসে কীসে

কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এনপিটি চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসতে পারে ইরান

আলী হাশেম লিখেছেন, কাতার এই সংঘাতে মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করেছে এবং ইসরায়েল-ইরান সংঘাত নিরসনে সাহায্য করেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, আল উদেইদে হামলা সত্ত্বেও কাতার শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা পালন করেছে।
এটি অবশ্যই কাতারের জন্য আরেকটি কূটনৈতিক বিজয়।

অবশ্য আল উদেইদে ইরানের হামলার জন্য আবার নিন্দা জানিয়েছেন কাতারেন প্রধানমন্ত্রী। 

কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল থানি দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই নিন্দা জানান। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সফররত লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাওয়াফ সালাম।

শেখ মোহাম্মদ সোমবার রাতে (২৩ জুন) কাতারে অবস্থিত আল উদেইদ বিমানঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে একে ‘অগ্রহণযোগ্য কার্যক্রম’ বলে অভিহিত করেন।

তিনি বলেন, “কাতার রাষ্ট্রের ওপর হামলা একটি অগ্রহণযোগ্য কাজ, বিশেষ করে যখন কাতার পরিস্থিতি শান্ত করতে সক্রিয় কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।”

তিনি আরো জানান, দোহা এই হামলায় ‘আচমকা বিস্মিত’ হয়েছে। কারণ ইরানকে তারা প্রতিবেশী ও ঘনিষ্ঠ দেশ হিসেবে দেখে।

শেখ মোহাম্মদ কাতারের সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করে বলেন, “তারা হামলা প্রতিহত করেছে। ইরান যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে, তার সবকটি প্রতিরোধ করা হয়েছে, শুধু একটি ব্যতীত।”

ঢাকা/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের দাবি জামায়াতের
  • ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধবিরতিতে কাতারের ‘কূটনৈতিক বিজয়’