শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৯ ধারায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার উপাদান রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। 

শুক্রবার বিকেলে ঝিনাইদহের শৈলকুপা নতুন বাজারে বণিক সমিতির আয়োজনে সর্বস্তরের নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গণহত্যাকারী, খুনি ও ফ্যাসিস্ট একটি দল। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, জুলাই বিপ্লবে তারা দুই হাজার মানুষকে খুন করেছে। ৩০ হাজার মানুষকে পঙ্গু করেছে। এর পেছনে একমাত্র আওয়ামী লীগের অবদান রয়েছে। ফলে শেখ মুজিবের রেখে যাওয়া কালো আইনে সরকার চাইলে দলটিকে নিষিদ্ধ করতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘গত ১৭ বছরে বাংলাদেশে ৭০০ মানুষকে খুন করা হয়েছে। সাড়ে চার হাজার মানুষ বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছে। ৬০ লাখ মানুষের নামে গায়েবি মামলা করা হয়েছে। এই যখন অবস্থা, তখন সবকিছু মানবতাবিরোধী অপরাধ বলে গণ্য হবে। বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগের বিচার করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবেই, ইনশাআল্লাহ।’

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা বিএনপি সভাপতি আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন বাবর ফিরোজ, পৌর বিএনপি সভাপতি আবু তালেব মিয়া, সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা ঠান্ডু, সিনিয়র সহসভাপতি মিজানুর রহমান বাবলু, বণিক সমিতির সভাপতি আবু সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর সবুর খানসহ অনেকে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

শেরেবাংলা নগরে ছুরিকাঘাতে তরুণ খুন

রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় ছুরিকাঘাতে এক তরুণ খুন হয়েছেন। তাঁর নাম অমিত হাসান (২২)। তিনি পেশায় একজন চা–দোকানি। আজ বুধবার ভোর ৪টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের সড়কের পদচারী–সেতুর নিচে এ খুনের ঘটনা ঘটে।

নিহত অমিতের মামা ফারুক হাসান প্রথম আলোকে বলেন, শেরেবাংলা নগর এলাকায় অমিত হাসানের চায়ের দোকান আছে। দোকান বন্ধ করে বাসায় ফেরার পথে আজ ভোর ৪টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের সড়কের পদচারী–সেতুর নিচে একটি দোকানে তিনি খিচুড়ি খাচ্ছিলেন। এ সময় চার থেকে পাঁচজন লোক গিয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে অমিতের কাছ থেকে টাকা, সোনার চেইন ও মুঠোফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।

ফারুক হাসান আরও বলেন, ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত অবস্থায় অমিতকে প্রথমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সকালে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ১০টায় অমিতের মৃত্যু হয়। তিনি বলেন, যাঁরা অমিতকে হত্যা করেছেন, তাঁদের সঙ্গে পূর্বশত্রুতা ছিল। এর জেরেই অমিতকে হত্যা করা হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, নিহত অমিত হাসানের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশকে জানানো হয়েছে। তারা পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ