পিরোজপুরে বাবার সঙ্গে অভিমান করে কিশোরী নিখোঁজ
Published: 10th, May 2025 GMT
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় আমেনা আক্তার নামে ৭ম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রী চার দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। এ ব্যাপারে ওই ছাত্রী মা মরিয়ম বেগম ( ৮ মে) বৃহস্পতিবার মঠবাড়িয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্রী আমেনা আক্তার উপজেলার ধানীসাফা গ্রামের আল আমিন তালুকদারের মেয়ে। আমেনা আক্তার পাশের ভান্ডারিয়া উপজেলার দক্ষিণ জুনিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্রী।
মা মরিয়ম বেগম জানান, তার মেয়ে আমেনা আক্তার তেলিখালী সমন্বিত শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে আবাসিক থেকে দক্ষিণ জুনিয়া দাখিল মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে করে। গত বুধবার ( ৭ মে) শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে মাদ্রাসায় যাওয়ার কথা বলে বের হয়। পরে সেখান থেকে মঠবাড়িয়ার ধানীসাফায় নিজ গ্রামের বাড়িতে আসে। বাড়িতে বাবার সঙ্গে মনোমালিন্য হয়। পরে মেয়ে রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর থেকে কোনো খোঁজ পাচ্ছি না।
নিখোঁজ আমেনা আক্তারের মামা লোকমান হোসেন জানান, তার ভাগ্নে নিখোঁজের পর থেকে তারা আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছেন। গত চার দিনে সন্ধান না পাওয়ায় তার পরিবার দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন পার করছে। মোবাইল ফোন ব্যবহার না করায় আমেনা কোথায় কোন অবস্থায় আছে, জানতে পারছেন না।
মঠবাড়িয়া থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তাকে উদ্ধারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকা/তাওহিদুল/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
ময়মনসিংহ নগরীতে ছুরিকাঘাতে আরিফ মিয়া (৪০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বলাশপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত আরিফ মিয়া একই এলাকার আব্দুল কাদিরের ছেলে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সাখাওয়াত হোসেন সাগর। তিনিও ওই এলাকার সুরুজ আলীর ছেলে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) শফিক উদ্দিন বলেন, “পূর্ব শত্রুতার জেরে আরিফকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আরিফের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
আরো পড়ুন:
স্ত্রী-কন্যার সামনেই যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
বাড়িতে ঢুকে ছুরিকাঘাত, ৬ দিন পর মৃত্যু
নিহত আরিফের ভাতিজা দিদার বলেন, “আনুমানিক ৯ জুন রাতে আমার চাচা আক্রাম হোসেন বাড়ি ফিরছিলেন। রাস্তায় ছিনতাইকারী সাখাওয়াত হোসেন সাগর আমার চাচার পথরোধ করে ছুরি ঠেকিয়ে ৩৫ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন রেখে দেয়। বিষয়টি জানার পর ১১ জুন আমরা চাচা আরিফকে নিয়ে সাগরের বাড়িতে যাই। সেখানে গেলে সাগর চাচা আরিফকে ছুরিকাঘাত করে। পরে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দিলে তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন।”
তিনি আরো বলেন, “এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। পরে স্থানীয়দের অনুরোধে সালিশে বিষয়টি মিমাংসা হওয়ার কথা ছিল। রবিবার সন্ধ্যায় সাখাওয়াত হোসেন সাগরের সঙ্গে আমার চাচা আরিফের কথা কাটাকাটি হয়। এরই এক পর্যায় সাখাওয়াত হোসেন সাগর ছুরি দিয়ে চাচার বুকে আঘাত করেন। ঘটনাস্থলেই চাচা মারা যান।”
দিদার অভিযোগ করেন, “সাখাওয়াত হোসেন সাগর পেশাদার ছিনতাইকারী ও ইয়াবা কারবারি। আমার চাচা আরিফসহ সাখাওয়াত হোসেন সাগর চারজনকে হত্যা করেছে। আমি তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।”
ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মো. শিবিরুল ইসলাম বলেন, “অভিযুক্তের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা আছে কিনা, যাচাই করতে হবে। আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”
ঢাকা/মিলন/মাসুদ