খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক হাসান মাহমুদ সাকিকে লাঞ্ছনার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মোবারক হোসেন নোমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

মঙ্গলবার (১৩ মে) রাত ১০ টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সোনাডাঙা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম।

অভিযুক্ত নোমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ডিসিপ্লিনের ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী।

এর আগে, শনিবার (৩ মে) বিকালে অনুষ্ঠিত ২৩১তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত তথ্য, উপাত্ত ও সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। একই সঙ্গে তাকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রবেশে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা এবং তার স্নাতক ডিগ্রির সনদপত্র সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ২মে সন্ধ্যায় খুবির পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের পাশে তিনি শারীরিকভাবে আঘাত করেন এই শিক্ষকের উপর। ঘটনার পরপরই তা ক্যাম্পাসজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। 

ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা শনিবার (৩ মে) গভীর রাতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।

ঢাকা/নুরুজ্জামান/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সর্বজনীন পেনশনে আসছে বেশ কিছু নতুন সিদ্ধান্ত

সর্বজনীন পেনশন স্কিম গতিশীল করতে বেশ কিছু নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এসব সিদ্ধান্তের প্রচারণা কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে সোশ্যাল মিডিয়া (ফেসবুক) এবং ইউটিউবে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হবে। নুতন সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে প্রবাসীদের জন্য চালু করা প্রবাস স্কিমের সর্বনিম্ন মাসিক চাঁদার হার ২ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ১ হাজার টাকা করা হবে। সেইসঙ্গে বেসরকারি চাকরিজীবীদের মাসিক সর্বোচ্চ জমার পরিমাণ ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকা করা হবে। পাশাপাশি একজন চাঁদাদাতা পেনশনযোগ্য বয়সে উপনীত হওয়ার পর আগ্রহী হলে তাকে তার মোট জমা করা অর্থের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ অর্থ এককালীন আর্থিক সুবিধা হিসেবে দেওয়ার সুযোগ রাখা হবে। 

বুধবার জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পর্ষদের দ্বিতীয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন পেনশন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। পেনশন কর্তৃপক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে।

 সভায় অন্যান্য সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে একজন চাঁদাদাতা পেনশনযোগ্য বয়সে উপনীত হওয়ার পর আগ্রহী হলে তাকে তার মোট জমা করা অর্থের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ অর্থ এককালীন আর্থিক সুবিধা হিসেবে দেওয়ার সুযোগ রাখা হবে। প্রবাস এবং প্রগতি পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণকারী অনেকের মাসিক আয় তুলনামূলকভাবে অনেক কম হওয়ায় এ দুটি স্কিমে সর্বনিম্ন মাসিক চাঁদার হার দুই হাজার টাকার পরিবর্তে এক টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়। প্রগতি পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে একটি অংশের মাসিক আয় বেসরকারি খাতের কর্মকর্তাদের গড় মাসিক আয়ের তুলনায় বেশি হওয়ায় তাদের সুবিধায় মাসিক সর্বোচ্চ জমার পরিমাণ ১০ হাজার টাকার পরিবর্তে ১৫ হাজার টাকায় উন্নীত করা হবে।

আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবা চুক্তির আওতায় নিয়োজিত সেবাকর্মীদের প্রগতি পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্তকরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ ইন্টারন্যাশনাল সোশ্যাল সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসএসএ) সদস্যপদ গ্রহণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারবে। পেনশন স্কিমে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য গৃহীত প্রচার কার্যক্রম জোরদারের লক্ষ্যে সোশ্যাল মিডিয়া (ফেসবুক) এবং ইউটিউবে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হবে। পাশাপাশি টেলিভিশনের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান, টকশো ও আন্তর্জাতিক ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচারের সময় বিজ্ঞাপন প্রচার ও পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের চলমান প্রচার কার্যক্রম জোরদার করা হবে। সর্বজনীন পেনশন স্কিমের ইসলামিক ভার্সন চালুর বিষয়টি পরীক্ষা করে পরবর্তী সভায় উপস্থাপন করার সিদ্ধান্ত হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ