রাজধানীতে শিশুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মহিলা পরিষদের উদ্বেগ
Published: 14th, May 2025 GMT
রাজধানীতে পাঁচ বছর বয়সী কন্যাশিশুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে তারা।
আজ বুধবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি এ দাবি জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি নির্মম ও নৃশংস সহিংসতার ঘটনা ঘটেই চলেছে। পাঁচ বছর বয়সী কন্যাশিশুর প্রতি এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক। ঘরে-বাইরে নারী-কন্যাশিশুরা ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে। এর ফলে তাঁদের নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির মাধ্যমে নারী এবং কন্যাশিশুর বিরুদ্ধে সহিংসতার বিষয়ে শূন্য সহিঞ্চুতার নীতি গ্রহণ করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে। এ ছাড়া নারীর প্রতি সব ধরনের সহিংসতা ও অপতৎপরতা প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বিজয় সরণির কাছে উড়ালসড়ক-সংলগ্ন ময়লার স্তূপের পাশের নালা থেকে রোজা মনি নামের পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধার হয়। শিশুটির বাবা বিদেশে থাকেন। সম্প্রতি শিশুটির পরিবার রাজধানীর তেজকুনিপাড়ার একটি ভাড়া বাসায় ওঠে।
আরও পড়ুনছোট বোনের বস্তাবন্দী লাশ নালায় খুঁজে পেল ৯ বছরের শিশু১৩ মে ২০২৫পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, গত সোমবার শিশুটি খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। সহিংসতার শিকার শিশুটির পুরো দেহ ঝলসানো, দেহে আঘাত এবং গলায় রশি প্যাঁচানোর দাগ ছিল। হত্যার আগে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
মানুষের ‘দ্বিতীয় ঘুম’এর যুগ সম্পর্কে কতটা জানেন
তেলের বাতি, গ্যাসের বাতি এবং বৈদ্যুতিক বাতি ক্রমে সভ্যতায় যোগ হয়েছে। এর আগে মানুষ প্রাকৃতিক আলোর সঙ্গে মানিয়ে জীবন যাপন করতো। প্রাক-শিল্প যুগের সমাজে ‘দ্বিতীয় ঘুম’-এর অভ্যাস ছিলো মানুষের।
দ্বিতীয় ঘুম বলতে ঐতিহাসিকভাবে প্রচলিত এমন এক ধরনের ঘুমের ধরণকে বোঝায়, যেখানে মানুষ রাতে একটানা আট ঘণ্টা না ঘুমিয়ে ঘুমকে দুটি ভাগে ভাগ করে নিত। একে দ্বি-পর্যায়ের ঘুম বা খণ্ডিত ঘুম বলা হয়। দেখা যেত যে— সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পর মানুষজন বিছানায় যেত এবং প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ঘুমাত।
আরো পড়ুন:
রক্তস্বল্পতা দূর করতে এই শাক খেতে পারেন
টানা ৬ মাস রাতের খাবার দেরিতে খেলে যা হয়
প্রথম ঘুমের পর তারা প্রায় এক ঘণ্টা জেগে থাকত। এই সময়ে বাড়ির হালকা কাজ করা, প্রার্থনা করা, পড়াশোনা করা, প্রতিবেশীদের সাথে গল্প করা বা অন্তরঙ্গ কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার মতো কাজগুলো করতো।
তারা আবার বিছানায় ফিরে যেত এবং ভোরের আলো ফোটা পর্যন্ত আরও ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ঘুমাত, যাকে ‘দ্বিতীয় ঘুম’ বা ‘ভোরের ঘুম’ বলা হত।
গত দুই শতাব্দী ধরে সামাজিক জীবনে আসা পরিবর্তনের কারণে মানুষের দ্বিতীয় ঘুমের অদৃশ্য হয়ে গেছে। যেসব কারণে মানুষ দ্বিতীয় ঘুমের অভ্যাস হারিয়ে ফেলেছে, তার একটি হলো ‘কৃত্রিম আলো ব্যবহার।’
১৭০০ এবং ১৮০০ এর দশকে, প্রথমে তেলের বাতি, তারপর গ্যাসের আলো এবং অবশেষে বৈদ্যুতিক আলো রাতকে আরও ব্যবহারযোগ্য করে তুলেছে। ফলে রাতও মানুষের কাছে জাগ্রত সময়ে পরিণত হতে শুরু করে।
সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পরে ঘুমাতে যাওয়ার পরিবর্তে, মানুষ প্রদীপের আলোতে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেগে থাকতে শুরু করে। জৈবিকভাবে, রাতে উজ্জ্বল আলো আমাদের অভ্যন্তরীণ ঘড়িগুলোকে (আমাদের সার্কাডিয়ান ছন্দ) পরিবর্তন করে এবং কয়েক ঘণ্টা ঘুমের পরে আমাদের শরীরকে জাগ্রত করার প্রবণতা কমিয়ে দেয়।
ঘুমানোর আগে সাধারণ ‘ঘরের’ আলো মেলাটোনিনকে দমন করে এবং বিলম্বিত করে। শিল্প বিপ্লব কেবল মানুষের কাজ করার পদ্ধতিই নয় বরং তারা কীভাবে ঘুমায় তাও বদলে দিয়েছে।
২০১৭ সালে বিদ্যুৎবিহীন মাদাগাস্কান কৃষি সম্প্রদায়ের ওপর করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে লোকেরা এখনও বেশিরভাগ সময় দুই ভাগে ঘুমায়, প্রায় মধ্যরাতে ঘুম থেকে ওঠে।
সূত্র: ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস অবলম্বনে
ঢাকা/লিপি