সিনেমার শুরুটা হয় লিমাকে (ফারজানা বুশরা) দিয়েই। বন্ধুদের সঙ্গে মজা করছেন একটা গ্ল্যামারাস মেয়ে। তবে দ্রুতই খুনের দায়ে অভিযুক্ত হন লিমা। তখন দেখা যায় তাঁর ভিন্ন রূপ। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর যখন জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন, তখন তিনি ভেঙে পড়েন। দুই দৃশ্যে লুক বদলের সঙ্গে সঙ্গে শরীরী ভাষা, কথা বলার ঢং—সবই আলাদা। তবে দুটি দৃশ্যেই বেশ ভালোভাবে উতরে গেছেন বুশরা। এ প্রসঙ্গ দিয়েই শুরু হলো আলাপ। প্রথম সিনেমাতেই এমন বহুমাত্রিক আর ধূসর একটি চরিত্রে রাজি হলেন? ‘ঠিক এটাই আমাকে আকর্ষণ করেছিল। লিমা বাইরে থেকে সাধারণ, ভেতরে তার গভীরতা অসীম। শুরুটা তো সবাই চেনা-পরিচিত চরিত্র দিয়ে করে, কিন্তু আমি ভেবেছি, ভিন্ন কিছু দিয়ে পথচলা শুরু করাই বরং বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে। তাই এমন চরিত্রের সুযোগ পেয়ে একমুহূর্তও ভাবিনি, লুফে নিয়েছি,’ বললেন বুশরা।

ফারজানা বুশরা। শিল্পীর সৌজন্যে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইয়াবা লুটের অভিযোগ: বিএনপির তিন নেতার পদ স্থগিত

কক্সবাজারের রামুতে ইয়াবা লুটের ঘটনায় বিএনপি, যুবদল ও শ্রমিক দলের তিন নেতার পদ স্থগিত করা হয়েছে। অন্যদিকে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়কও স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মো. নুরুল কবির, রাজারকুল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দানু মিয়া ও রাজারকুল ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রমিক দলের সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইলের পদ স্থগিত করা হয়েছে।  

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার রামু উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার বাবু সমকালকে বলেন, সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে স্ব স্ব সংগঠনের পক্ষ থেকে তিনজনের পদ স্থগিত করা হয়েছে। 

এদিকে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সানাউল্লাহ সেলিম স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।

পোস্টে সেলিম বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল রামু উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলাম। কারণ, সম্প্রতি ষড়যন্ত্র ও রাজনৈতিক রোষানলের শিকার হয়ে আমার সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনের মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে, যা দিন দিন আমাকে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করছে। তাই আমি এ সিদ্ধান্ত নিলাম। সুখে থাক প্রাণের সংগঠন ছাত্রদল, ভালো থাকুক সুবিধাবাদীরা।’

তবে তিনি ইয়াবা লুটে নিজের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেন, স্থানীয় রাজনৈতিক বিরোধকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

জানা যায়, কক্সবাজারের রামুতে ৩০ হাজার ইয়াবা লুটের একটি ঘটনা নিয়ে সম্প্রতি একাধিক অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। 

অভিযোগ উঠেছে, ছাত্রদল নেতা সানাউল্লাহ সেলিমের নেতৃত্বে ইয়াবার চালানটি লুট করা হয়। লুট করা ইয়াবা বিক্রির ২৮ লাখ টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন স্থানীয় ছাত্রদল ও বিএনপির ২৩ নেতাকর্মী। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বিএনপি নেতা বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালানটি আনা হচ্ছিল। এটির গন্তব্য ছিল রামু উপজেলা সদরের মন্ডল পাড়ার বাসিন্দা মনিরের বাড়ি। তবে রাস্তায় রাজারকুল ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাঞ্জেগানা এলাকায় চালানটি লুট হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘চালানটি প্রথমে স্থানীয় কাট্টাইল্যা পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। ৩০ হাজার ইয়াবার বাজার মূল্য অনেক বেশি হলেও মাত্র ২৮ লাখ টাকায় বিক্রি করে ২৩ জনের মধ্যে ভাগাভাগি করা হয়েছে। ভাগে ছাত্রদল আহ্বায়ক সানাউল্লাহ সেলিম একাই ১০ লাখ এবং অন্যান্য দলীয় ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ৮-১০ হাজার থেকে ২-৩ লাখ টাকা করে পেয়েছেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের তিন নেতার সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বুধবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর তাদের পদ স্থগিত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৈয়বুর রহমান বলেন, ইয়াবার চালান লুটের ঘটনাটি শুনেছি, খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ