ব্যাংক ও শেয়ারবাজার খোলা থাকবে আগামীকাল শনিবার
Published: 16th, May 2025 GMT
সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও আগামীকাল শনিবার দেশের সব সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় ও শাখা খোলা থাকবে। ফলে সব ধরনের লেনদেন করতে পারবেন গ্রাহকেরা। এ ছাড়া অন্যান্য কর্মদিবসের মতো শেয়ারবাজারেও স্বাভাবিক লেনদেন চালু থাকবে। সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত শেয়ারবাজারে লেনদেন হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ গত সপ্তাহে আলাদাভাবে এমন নির্দেশনা জারি করে। এতে বলা হয়, কাল শনিবারের পাশাপাশি আগামী ২৪ মে শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ব্যাংক ও শেয়ারবাজার খোলা থাকবে। সরকারি নির্দেশে পবিত্র ঈদুল আজহায় টানা ১০ দিন ছুটি কার্যকর করতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত ৬ মে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১০ দিন ছুটির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী ৫ জুন থেকে ছুটি শুরু। টানা ১০ দিন ছুটি থাকবে। অর্থাৎ ছুটি শেষ হবে ১৪ জুন। উপদেষ্টা পরিষদে আরও সিদ্ধান্ত হয়, ঈদের ছুটি শুরুর আগে ১৭ ও ২৪ মে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবার সব সরকারি অফিস খোলা থাকবে। এর অংশ হিসেবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ য় রব জ র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে
জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।
আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ‘জরুরি সভায়’ এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।
তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে। এসব সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল