ওজন কমানোর জন্য অনেকেই খাবার গ্রহণ করার ক্ষেত্রে প্রথমেই কার্বোহাইড্রেটকে বাদ দিয়ে দেন। এতে যে কত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে আর দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হয়, জানেন?

ডা. ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ ‘হেল্থ এডুকেশন অ্যান্ড প্রোমশন’ কে দেওয়া এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘গবেষণায় দেখা গেছে যারা কম কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করছেন- ভাত খাচ্ছেন না, বা রুটি খাচ্ছেন না তাদের নানা রোগের উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে। শুধু মাত্র ফলফ্রুট, মাছ, মাংস খেয়ে যারা কিটো ডায়েট করেন বা দুই, তিনটা ডিম খেয়ে দিন পার করে দেন- তাদের মধ্যে কিন্তু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায় ৫২ শতাংশ। এবং স্ট্রোকে মৃত্যু ঝুঁকি ৫০ শতাংশ বেড়ে যায়।’ 

‘কিটো ডায়েট করলে খাদ্যনালীতে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা ৩৫ শতাংশ বেড়ে যায়। তবে এই তথ্য বেশিরভাগ মানুষ জানেন না। তারা শুধুমাত্র জানেন যে, এই খাবারটা বাদ দিলে ওজন কমবে, এই খাবারটা বাদ দিলে ডায়াবেটিস কমবে। কিন্তু এর ফলে যে দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা তৈরি হবে, সেটা নিয়ে আলোচনা কম হয়।’—যোগ করেন ডা.

ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ

আরো পড়ুন:

গবি ক্যান্টিনে ফের দুরবস্থা, স্থায়ী সমাধান দাবি

‘আর্টিফিশিয়াল টিআর’ ব্যবহার না করেও চোখের শুষ্কতা কমাবেন কীভাবে

ডা. ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ আরও বলেন, ‘‘কিটো ডায়েটের ফলে কিডনী নষ্ট হয়। অনেক সময় দেখা যায় যে, প্যানক্রিয়াটাইটিস হচ্ছে। কিটো ডায়েটকারীদের অনেকের কিডনী ইনজুরি হতে শুরু করে এরপর হাসপাতালে এসে ভর্তি হয়।’’ 

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

৯ কোটি টাকা অনুদান পাচ্ছে ৩২টি চলচ্চিত্র

২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৩২টি চলচ্চিত্রকে মোট ৯ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ১২টি এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ২০টি। প্রত্যেকটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য ৭৫ লাখ টাকা এবং প্রত্যেকটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুদান দেওয়া হবে ২০ লাখ টাকা। 

মঙ্গলবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব শারমিন আখতারের সই করা পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। 

অনুদান দেওয়ার জন্য মনোনীত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘রবিনহুডের আশ্চর্য অভিযান’, ‘মায়ের ডাক’, ‘জুলাই’, ‘রূহের কাফেলা’, ‘পরোটার স্বাদ’, ‘খোঁয়ারি’, ‘জীবন অপেরা’, ‘জলযুদ্ধ’, ‘কবির মুখ’, ‘কফিনের ডানা’, ‘নওয়াব ফুজুন্নেসা’ এবং ‘জুঁই’।

অনুদানের জন্য মনোনীত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো- ‘মন্দ-ভালো’, ‘ফেলানী’, ‘ঝুঁকির মাত্রা’, ‘জীবনের গান’, ‘হু হ্যাজ মেইড আস ফ্লাই’, ‘ভরা বাদর’, ‘১২৩০’, ‘বৃন্দারাণীর আঙুল’, ‘একটি সিনেমার জন্য’, ‘দাফন’, ‘সাঁতার’, ‘মাংস কম’, ‘গগন’, ‘অতিথি’, ‘বোবা’, ‘অদ্বৈত’, ‘আশার আলো’, ‘গর্জনপুরের বাঘা’, ‘হোয়ার দ্য ওয়াটার স্লিপস’ এবং ‘অপসময়’।

সম্পর্কিত নিবন্ধ