চবির অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতা চেয়েছে শিবির
Published: 17th, May 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসন সুবিধায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছে শাখা শিবির। একইসঙ্গে এ সুবিধা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতা দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
শনিবার (১৭ মে) সাড়ে ১২টায় এ নিয়ে ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দেন শাখা শিবিরের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী।
পোস্টে তিনি বলেন, “চবি আয়তনে দেশের সর্ববৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু এখানে আবাসনের ব্যবস্থা আছে মাত্র ১৮% শিক্ষার্থীর। বাকি ৮২% শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।”
আরো পড়ুন:
সরকার জবি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়েছে: ইউজিসি চেয়ারম্যান
জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গণঅনশন চলছে
তিনি বলেন, “আমরা চাই, দ্রুত সময়ের মধ্যে শতভাগ আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। শতভাগ আবাসন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতা দিতে হবে।”
পোস্টের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাইজিংবিডি ডটকমকে তিনি বলেন, “পূর্ণাঙ্গ আবাসন সুবিধা এবং এটি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতার বিষয়টি আমাদের সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত। দ্রুত এ বিষয়ে আমরা কর্মসূচি জানাব।”
ঢাকা/মিজান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে
জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।
আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ‘জরুরি সভায়’ এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।
তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে। এসব সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল