ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে পুতিনকে সোমবার ফোন করবেন ট্রাম্প
Published: 18th, May 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেনে রক্তপাত বন্ধের বিষয়ে কথা বলতে সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলবেন। এরপর তিনি ইউক্রেনের নেতা ভ্লাদিমির জেলেনস্কি এবং ন্যাটো জোটের নেতাদের সঙ্গেও কথা বলবেন। খবর আল জাজিরা, বিবিসির
শনিবার সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ফোনালাপটি স্থানীয় সময় ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে এবং এরপর তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ন্যাটোভুক্ত কয়েকটি দেশের নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন। ট্রাম্প তাদেরকে যুদ্ধ বন্ধের কথা বলবেন।
ট্রাম্প বলেন, আশা করি, এটি একটি ফলপ্রসূ দিন হবে। এদিন আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি সংঘটিত হবে। তিনি আরও বলেন, একটি অত্যন্ত হিংসাত্মক একটি যুদ্ধ, এটি কখনও শুরু হওয়া উচিত ছিল না। তবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শেষ হবে।
ট্রাম্পের ঘোষণা এমন এক সময় এল যখন রাশিয়া ও ইউক্রেন শুক্রবার ইস্তাম্বুলে আলোচনায় বসেছিল। কিন্তু সেই আলোচনা থেকে কোনো ফল আসেনি। যদিও তারা বন্দী বিনিময়ে সম্মত হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র ইউক র ন বলব ন
এছাড়াও পড়ুন:
ডিএমসি মোড়ে ঢাবি শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতের চেষ্টা
চায়ের দোকানে বাকবিতণ্ডা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলের এক ছাত্রকে ছুরিকাঘাতের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ডিএমসি) মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। তবে তিনি সরে যাওয়ায় তার গায়ে লাগেনি। পরে অভিযুক্ত যুবক পালিয়ে যান।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের মো. তানজীন। তিনি ফজলুল হক হলের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক ছাত্র। অন্যদিকে অভিযুক্ত রুবেল মোল্লা ডিএমসি মোড়ের একটি ভ্রাম্যমাণ সাইকেল গ্যারেজে কাজ করেন।
শুক্রবার ঘটনার বিষয়ে তানজীন সমকালকে বলেন, ডিএমসি মোড়ে মো. আলমের চায়ের দোকানে তিনিসহ বন্ধুরা মিলে চা খেতে যান। সেখানে রুবেল মোল্লাকে চা ভালো হয়নি বলে আলমের সঙ্গে দীর্ঘসময় ঝগড়া করতে দেখে তিনি বাঁধা দেন। কথার এক পর্যায়ে রুবেল তাকে বলেন, আমি খুনের আসামি। আমি কিন্তু খুন করবো তোদেরকে। এ কথা বলে সে চলে যায়।
তানজীম আরও বলেন, একটু পরে রুবেল হঠাৎ করে একটি চাকু নিয়ে এসে আমাকে ছুরি মারার চেষ্টা করে। তবে এ সময় অন্যদের চিৎকারের শব্দে আমি সরে যাই। এরপর সে সবাইকে ছুরি দিয়ে আঘাতের চেষ্টা করে। পরে ডিএমসি মোড়ের নির্মাণাধীন গেটের উপরে উঠে মসজিদের ছাদ দিয়ে পালিয়ে যায়। আমরা তাকে আর খুঁজে পাইনি। পরে ভ্রাম্যমাণ সাইকেল গ্যারেজটি শিক্ষার্থীরা ভেঙ্গে দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
চায়ের দোকানদার আলম বলেন, ‘সে চা চেয়েছিল। চা দেওয়ার পরে সে ফেলে দিয়ে বলে, আবার বানা। আবার বানিয়ে দেওয়ার পরে সে বলে, চা খাব না। চা আগের থেকেও খারাপ বানাইছস। এরপর সে চায়ের বিল দেওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু করে। এ সময় চায়ের কাপ ভাঙতে গেলে ভাইরা বাঁধা দেয়। এরপরেই সে হুট করে ছুরি নিয়ে মারতে আসে।’
ঘটনার পরে শিক্ষার্থীরা প্রক্টরিয়াল টিমকে ফোন করলে তারাও আসেন। এ বিষয়ে শাহবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে মামলার ঝামেলা এবং নিরাপত্তার শঙ্কায় শুক্রবার সকালে অভিযোগটি তুলে নিয়েছেন বলে জানান তানজীন।
তিনি বলেন, মামলা করলে উকিল নিয়ে আমাকে ছুটতে হবে। এর আগেও আরেকটি ঘটনায় নিজেকেই দৌঁড়াতে হয়েছে। আর ওই ছেলে একটা ভবঘুরে, সে মাদকাসক্ত ছিল। এখন হয়ত আমার চেহারা মনে নাই, তবে পরে আমাকে চিনলে হয়ত আবার আক্রমণ করতে পারে।
তানজীন বলেন, আমি প্রশাসনকে বলবো, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। ডিএমসি মোড়ে তিন হলের ছেলেরা আড্ডা দেয়। এখানে একটা নিরাপত্তা বক্স স্থাপন করা জরুরি। পুরো ক্যাম্পাসে ভবঘুরে, মাদকাসক্তরা ঘুরে বেড়ায়। এটি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।
জানতে চাইলে প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, জানার পরপরই প্রক্টরিয়াল টিমকে পাঠিয়েছি। কালকে থেকেই ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হবে। আমাদের শিক্ষার্থীদেরও আহ্বান জানাবো সতর্ক থাকার জন্য। বিশেষত রাতে বের হওয়ার সময়।
গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে ক্যাম্পাসসংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সাম্যকে হত্যা করা হয়।