Samakal:
2025-05-18@12:18:24 GMT

দুবাই থেকে দেশে ফিরছেন নাসুম

Published: 18th, May 2025 GMT

দুবাই থেকে দেশে ফিরছেন নাসুম

সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে আবারও যোগ দিয়েছেন রিশাদ হোসেন ও নাহিদ রানা। ভিসা সমস্যার কারণে তিন দিন দুবাই বিমানবন্দরে আটকে থাকা এই দুই ক্রিকেটারের সব জটিলতা অবশেষে কেটে গেছে। ফলে জরুরি বিকল্প হিসেবে দুবাই পাঠানো নাসুম আহমেদকে দেশে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

সফরের শুরুতেই বিপাকে পড়েন লেগ স্পিনার রিশাদ ও পেসার নাহিদ। বৈধ ভিসার অভাবে দুবাই বিমানবন্দরে থাকতে হয় তাদের। পরিস্থিতি সামাল দিতে শুক্রবার বিকেলে দ্রুত বিকল্প হিসেবে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাঠানো হয়।

বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান ও বোর্ড পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম গণমাধ্যমে জানান, ‘ভিসা জটিলতার কারণে আমরা নাসুমকে পাঠিয়েছিলাম। এখন যেহেতু রিশাদ ও নাহিদ দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছে, তাই নাসুমকে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।’

বর্তমানে বাংলাদেশ দল সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলছে দুই ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজ। রিশাদ ও নাহিদ দ্বিতীয় ম্যাচের আগেই দলের প্রস্তুতিতে যোগ দেওয়ায় নাসুমকে রাখার প্রয়োজন হচ্ছে না। তাই তাকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। 

নাসুম আহমেদকে আমিরাতে পাঠানোর আগে তিনি ছিলেন সিলেটে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সঙ্গে। নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে চার দিনের প্রথম ম্যাচে না খেললেও দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামার সম্ভাবনা আছে তার। সে লক্ষ্যে রোববারই দেশে ফেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে তার জন্য।

নাজমুল ফাহিম বলেন, ‘নাসুমকে দ্রুত সিলেটে পাঠানো হবে, যাতে বাংলাদেশ 'এ' দলের হয়ে দ্বিতীয় চার দিনের ম্যাচে অংশ নিতে পারে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন স ম আহম দ আম র ত

এছাড়াও পড়ুন:

সাভারে চোর সন্দেহে যুবককে গাছে বেঁধে নির্যাতন

ঢাকার সাভারে চোর সন্দেহে অভিজিৎ দে (৩৪) নামে এক যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে তিন ঘণ্টাব্যাপী নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। শনিবার (১৭ মে) বিকেল ৫টার দিকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাকে ধরে নিয়ে যায় কয়েকজন যুবক। পরে রাস্তার পাশের মেহগনি গাছে বেঁধে মারধর করেন তারা।

রাত ৮টার দিকে সাভার মডেল থানা পুলিশ ওই যুবককে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। 

পুলিশ জানিয়েছে, অভিজিৎ চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা কমল কান্তি দে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাসপাতালে আশ্রয় নেয়ায় এক রোগীর স্বজন তাকে চোর সন্দেহে মারধর শুরু করেন এবং স্থানীয় যুবকদের হাতে তুলে দেন। এরপর তাকে গাছে বেঁধে মারধরের পাশাপাশি শরীরে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয়া হয় এবং পরনের লুঙ্গিতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। ঘটনার বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানা পুলিশকে কিছু জানায়নি বলে অভিযোগ করেছেন সাভার থানার ওসি মো. জুয়েল মিয়া।

ঘটনাস্থল থেকে যুবককে উদ্ধার করেন এসআই চম্পক বড়ুয়া। তিনি বলেন, ‘‘গণমাধ্যমকর্মীদের তথ্যের ভিত্তিতে আমরা ওই যুবককে উদ্ধার করেছি। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। ঘটনার তদন্ত চলছে এবং কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।’’

হাসপাতালের দায়িত্বরত জরুরি মেডিকেল অফিসার (ইএমও) ডা. আবিদুর রহমান জানান, বিষয়টি সম্পর্কে কেউ তাদের জানায়নি। 

ঢাকা/সাব্বির/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ