পাকিস্তান সরকার সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে পদোন্নতি দিয়ে ফিল্ড মার্শাল করেছে। এর মধ্য দিয়ে ৬০ বছরের মধ্যে পাকিস্তানে সামরিক বাহিনীর কোনো জেনারেল ফিল্ড মার্শাল হলেন। এর আগে পাকিস্তানের স্বৈরশাসক জেনারেল আইয়ুব খান নিজেকে ফিল্ড মার্শাল হিসেবে পদোন্নতি দিয়েছিলেন। অন্যদিকে দেশটির বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জাহির আহমেদ বাবর সিধুকে তার মেয়াদ শেষেও দায়িত্ব অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। খবর বিবিসির

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অপারেশন বানিয়ান মারসুসে তার সাহসী নেতৃত্ব, দেশটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং শত্রুদের পরাজিত করতে উচ্চমানের কৌশলের কারণে জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনিরকে পদোন্নতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়েছে।

সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের সময় পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে যে অভিযান পরিচালনা করে তার নাম দেওয়া হয়েছিলো ‘অপারেশন বানিয়ান মারসুস’।

এই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে ফেডারেল মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেছে, চিফ অব আর্মি স্টাফ জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির অনুকরণীয় সাহস, সংকল্প ও সশস্ত্র বাহিনীর যুদ্ধ কৌশল ও প্রচেষ্টার পূর্ণ সমন্বয়ের মাধ্যমে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং অতুলনীয় নেতৃত্বের জন্য সেনাপ্রধানকে ধন্যবাদ। পাকিস্তান সত্যের যুদ্ধে ঐতিহাসিক জয় অর্জন করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, অসাধারণ সামরিক নেতৃত্ব, সাহস ও বীরত্ব, পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডগত সংহতি রক্ষা এবং শত্রুর বিরুদ্ধে সাহসী প্রতিরক্ষার স্বীকৃতি হিসেবে মন্ত্রিসভা জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল র‍্যাংক দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করলো।

পাকিস্তানের আইএসপিআর জানিয়েছে, ফিল্ড মার্শাল র‍্যাংক পাওয়ার পর মুনির ‘এই সম্মান পুরো জাতি, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী বিশেষ করে সামরিক বেসামরিক শহীদ ও গাজীদের উৎসর্গ’ করার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার আস্থার জন্য কৃতজ্ঞ, যার জন্য লাখ লাখ আসিম তাদের জীবন উৎসর্গ করে। এটা কোন ব্যক্তির সম্মান নয়, বরং পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী ও পুরো জাতির সম্মান।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

‘অন্যদিন...’ মুক্তি পাচ্ছে ১১ জুলাই

প্রায় দুই বছর ধরে সার্টিফিকেশন (সেন্সর) বোর্ডে আটকে থাকার পর দর্শকের সামনে আসছে ‘অন্যদিন...’। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছবির পরিচালক কামার আহমাদ সাইমন জানান, জুলাইকে উৎসর্গ করে সিনেমাটি ১১ জুলাই মুক্তি পাচ্ছে। ছবিটি প্রযোজনা করেছেন সারা আফরীন।

পরিচালক কামারকে উদ্ধৃত করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘একটা ছবিকে গায়েব করা মানে একজন নির্মাতাকে গুম করে দেওয়া।’ ২৪ সালের জুলাইয়ের আগে অন্যদিন… দেখানোয় নিষেধাজ্ঞা ছিল। তাই ঠিক করেছিলাম, এরপর আর কোনো ছবিই বানাব না। কিন্তু জুলাই এসে সব ওলট-পালট করে দিল। বিগত রেজিমের জন্য ছবিটা প্রফেটিক হয়ে যাওয়ায় তারা আটকে দিয়েছিল অন্যদিন…। অথচ এখন আবার জুলাই এল বলেই অন্যদিন… দেখানো যাচ্ছে। সে জন্য আমরা ঠিক করি, জুলাইকে উৎসর্গ করে এই জুলাইয়েই মুক্তি দেব অন্যদিন…।’

২০২৩ সালের মে মাসে সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডে (বর্তমানে সার্টিফিকেশন বোর্ড) জমা পড়েছিল। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নির্বাচনী পরিবেশ ও রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলায় ছবিটি নিয়ে আপত্তি তুলেছিল বিগত সরকার। এর পর থেকে ছবিটি আটকে ছিল। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সেন্সর বোর্ডের ইতি ঘটিয়ে ২০২৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড’ গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ বছরের মার্চে ছবিটি সার্টিফিকেশন সনদ পেয়েছে।
২০১৭ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবের সিনফন্দেশিওনে ছিল ‘অন্যদিন...’। ছবিটির জন্য ২০১৬ সালে লোকার্নোর পিয়াতজা গ্রান্দায় বাংলাদেশের প্রথম কোনো নির্মাতা হিসেবে ‘ফিচারড ডিরেক্টর’-এর সম্মাননা পান কামার আহমাদ সাইমন, সেই সঙ্গে ফ্রান্স থেকে আর্তে ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজও পেয়েছেন।

আরও পড়ুনপ্রায় দুই বছর আটকে থাকার পর জুলাইয়ে মুক্তি পাচ্ছে ‘অন্যদিন...’২৪ জুন ২০২৫

২০২১ সালে বিশ্বের প্রথম সারির উৎসবগুলোর অন্যতম প্রধান ইডফার মূল প্রতিযোগিতায় আমস্টারডামের তুসান্সকি থিয়েটারে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়েছিল সিনেমাটির। ২০২২ সালে উত্তর আমেরিকার অন্যতম উৎসব ক্যামডেন থেকে শ্রেষ্ঠ ফিচার ছবির জন্য হ্যারেল অ্যাওয়ার্ডসহ বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছে সিনেমাটি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘অন্যদিন...’ মুক্তি পাচ্ছে ১১ জুলাই