ফিল্ড মার্শাল হলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির
Published: 20th, May 2025 GMT
পাকিস্তান সরকার সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে পদোন্নতি দিয়ে ফিল্ড মার্শাল করেছে। এর মধ্য দিয়ে ৬০ বছরের মধ্যে পাকিস্তানে সামরিক বাহিনীর কোনো জেনারেল ফিল্ড মার্শাল হলেন। এর আগে পাকিস্তানের স্বৈরশাসক জেনারেল আইয়ুব খান নিজেকে ফিল্ড মার্শাল হিসেবে পদোন্নতি দিয়েছিলেন। অন্যদিকে দেশটির বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জাহির আহমেদ বাবর সিধুকে তার মেয়াদ শেষেও দায়িত্ব অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। খবর বিবিসির
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অপারেশন বানিয়ান মারসুসে তার সাহসী নেতৃত্ব, দেশটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং শত্রুদের পরাজিত করতে উচ্চমানের কৌশলের কারণে জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনিরকে পদোন্নতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের সময় পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে যে অভিযান পরিচালনা করে তার নাম দেওয়া হয়েছিলো ‘অপারেশন বানিয়ান মারসুস’।
এই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে ফেডারেল মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেছে, চিফ অব আর্মি স্টাফ জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির অনুকরণীয় সাহস, সংকল্প ও সশস্ত্র বাহিনীর যুদ্ধ কৌশল ও প্রচেষ্টার পূর্ণ সমন্বয়ের মাধ্যমে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং অতুলনীয় নেতৃত্বের জন্য সেনাপ্রধানকে ধন্যবাদ। পাকিস্তান সত্যের যুদ্ধে ঐতিহাসিক জয় অর্জন করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, অসাধারণ সামরিক নেতৃত্ব, সাহস ও বীরত্ব, পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডগত সংহতি রক্ষা এবং শত্রুর বিরুদ্ধে সাহসী প্রতিরক্ষার স্বীকৃতি হিসেবে মন্ত্রিসভা জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল র্যাংক দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করলো।
পাকিস্তানের আইএসপিআর জানিয়েছে, ফিল্ড মার্শাল র্যাংক পাওয়ার পর মুনির ‘এই সম্মান পুরো জাতি, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী বিশেষ করে সামরিক বেসামরিক শহীদ ও গাজীদের উৎসর্গ’ করার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার আস্থার জন্য কৃতজ্ঞ, যার জন্য লাখ লাখ আসিম তাদের জীবন উৎসর্গ করে। এটা কোন ব্যক্তির সম্মান নয়, বরং পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী ও পুরো জাতির সম্মান।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে
জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।
আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ‘জরুরি সভায়’ এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।
তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে। এসব সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল