পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বেড়ে যায় রেফ্রিজারেটর কেনার চাহিদা। কিন্তু বাজারে গিয়ে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শো-রুম ঘুরে যাচাই-বাছাই করে রেফ্রিজারেটর কেনার সময় ও সুযোগ হয়ে ওঠে না অনেকের। তাই দেশের শীর্ষস্থানীয় সব ব্র্যান্ডের রেফ্রিজারেটর একসঙ্গে দেখে পছন্দ করার সুযোগ এসেছে আবারও।

‘মানসম্পন্ন রেফ্রিজারেটর, সতেজ খাবার; ঝামেলাহীন প্রতিদিন, সুস্থ থাকুক পরিবার’ স্লোগানে আজ বুধবার (২১ মে) থেকে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী অনলাইন রেফ্রিজারেটর মেলা।

চতুর্থবারের মতো এই মেলার আয়োজন করেছে প্রথম আলো ডটকম। এবারের মেলায় ব্যাংক পার্টনার ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি এবং পাওয়ার্ড বাই এমইপি গ্রুপ।
এবারের আয়োজনে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রয়েছে রেফ্রিজারেটর প্রস্তুতকারক ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান স্যামসাং ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশ, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি, ইলেক্ট্রোমার্ট লিমিটেড (কনকা), সিঙ্গার-বেকো, র‍্যাংগস ইলেকট্রনিকস লিমিটেড (সনি-র‍্যাংগস), ট্রান্সকম ডিজিটাল, স্মার্ট ইলেকট্রনিকস লিমিটেড (সনি-স্মার্ট) এবং মিনিস্টার হাইটেক পার্ক ইলেকট্রনিকস লিমিটেড।
সাত দিনব্যাপী এবারের অনলাইন মেলায় রেফ্রিজারেটর প্রদর্শনের পাশাপাশি থাকবে বিশেষ ছাড় ও অফারে রেফ্রিজারেটর কেনার সুযোগ। এ ছাড়া বাংলাদেশে রেফ্রিজারেটরের বাজার, দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রেফ্রিজারেটরের বৈশিষ্ট্য, দরদাম, চলতি অফার, নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের রেফ্রিজারেটর নিয়ে জনপ্রিয় তারকাদের রিভিউ ভিডিওসহ নানা আয়োজন থাকবে।

২১ মে থেকে শুরু হওয়া অনলাইন রেফ্রিজারেটর মেলা চলবে ২৭ মে ২০২৫ পর্যন্ত। বিস্তারিত জানা যাবে refrigeratormela.

pro ওয়েবসাইটে।

তিন দিনব্যাপী অফলাইন আয়োজন

অনলাইনের পাশাপাশি দ্বিতীয়বারের মতো অফলাইনেও আয়োজন করা হয়েছে রেফ্রিজারেটর মেলা। আগামীকাল বৃহস্পতি থেকে রাজধানীর তেজগাঁও-গুলশান লিংক রোডে অবস্থিত আলোকি কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে তিন দিনব্যাপী রেফ্রিজারেটর মেলা। চলবে প্রতিদিন বেলা ২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।

এ আয়োজনে থাকবে দেশি-বিদেশি সেরা রেফ্রিজারেটর ব্র্যান্ডগুলোর স্টল, জনপ্রিয় তারকাদের উপস্থিতি, একাডেমিশিয়ান ও ইন্ডাস্ট্রি-এক্সপার্টদের অংশগ্রহণে ইন্ডাস্ট্রি ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন সেশন, স্ট্যান্ডআপ কমেডি, বিশেষ ক্রোড়পত্র ইত্যাদি। থাকছে র‍্যাফেল ড্রতে মেগা পুরস্কার ফ্রিজ, ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা বিমান টিকিট ও স্মার্টফোনসহ আকর্ষণীয় পুরস্কার। এ ছাড়া মেলা চলাকালীন প্রতিদিন সন্ধ্যা ছয়টার উপস্থিত দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে হবে ‘ইনস্ট্যান্ট র‍্যাফেল ড্র’। বিজয়ীরা পাবেন বিশেষ পুরস্কার।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জামালপুর শহরে সামান্য বৃষ্টিতেই ঘরে ঢোকে পানি, দুই শতাধিক পরিবারের ভোগান্তি

জামালপুর শহরের হাটচন্দ্রার পলাশতলা এলাকায় দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা দ্রুত নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ বুধবারবেলা দুইটার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি পালন করেন ভুক্তভোগী বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, জলাবদ্ধতায় দুই শতাধিক পরিবার চরম দুর্ভোগে আছেন।

‘পলাশতলার সর্বস্তরের জনগণ’-এর ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন। জামালপুর শহরের হাটচন্দ্রা রেলক্রসিংয়ের সামনে পলাশতলা এলাকাটির অবস্থান। জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ মহাসড়ক থেকে একটি সংযোগ সড়ক এলাকাটির দিকে ঢুকেছে। ভুক্তভোগী বাসিন্দাদের ভাষ্য, বর্ষা মৌসুমে তাঁদের বানভাসির মতো বসবাস করতে হয়। এলাকার সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনপ্রতিনিধি ও পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়েও কোনো লাভ হয়নি। এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চান তাঁরা।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, এলাকাটিতে সামান্য বৃষ্টি হলে আঙিনা উপচে কয়েকটি ঘরে পানি ঢোকে। পানি মাড়িয়ে যাবতীয় কাজ সারতে হয়। যেকোনো কাজে বাইরে গেলে নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি মাড়িয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। ফলে তাঁরা পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রায় চার বছর ধরে এমন অসহনীয় জলাবদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে তাঁদের বসবাস করতে হচ্ছে।

শহিদুল্লাহ নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, গত চার বছর ধরে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার বানভাসির মতো বসবাস করছেন। জলাবদ্ধতার সমস্যা নিয়ে বহুবার পৌরসভাসহ স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। দীর্ঘ সময় ধরে পানি থাকায়, অনেকের হাত-পায়ে পানিবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে।

দ্রুত সময়ের মধ্যে পলাশতলার জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন জামালপুর পৌরসভার প্রশাসক এ কে এম আবদুল্লাহ-বিন-রশিদ। তিনি বলেন, ‘ওই এলাকায় আমি নিজে গিয়ে দেখে আসছি। যেসব স্থানে পানি আটকে আছে, সেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই এলাকার পানি সরাতে ইতিমধ্যে পৌরসভার অন্য কর্মকর্তারা কাজ করছেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ