রাঙামাটির বাঘাইছড়ি পৌরসভার মুসলিম ব্লক বাজারে ভয়াবহ আগুনে প্রায় ৩০ দোকান পুড়ে গেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়দের ধারণা, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তারা জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার বৃহত্তর মুসলিম ব্লক বাজারের একটি কাপড়ের দোকানে আগুন লাগে। এতে আগুনের লেলিহান শিখা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যে ৩০টি কাঁচা দোকান ঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
জানা যায়, উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকায় আগুন নেভাতে বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনদের যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এতে আনুমানিক দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীদের দাবি।
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ন কবির জানান, মুসলিম ব্লক বাজারে আগুনে ২৭ থেকে ৩০টির মতো দোকানঘর পুড়ে গেছে। স্থানীয়দের ধারণা, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অথবা কাপড় ইস্ত্রির দোকান থেকে এ আগুনের সূত্রপাত ঘটতে পারে।
প্রসঙ্গত, উপজেলাটিতে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকায় আগুন লাগলে নেভানোয় বেগ পেতে হয়। ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। ২০১৮ সালে ফায়ার স্টেশন নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হলেও দীর্ঘ ৭ বছরেও নির্মাণ কাজ শুরু করা যায়নি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আগ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ঝগড়া থেকে দেয়ালে মাথা ঠোকা, সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে আনলেন প্রতিবেশী
বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত প্রেম-বিচ্ছেদের একটি হলো ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খানের সম্পর্ক। প্রেমের সূচনা হয়েছিল পর্দার আড়ালেই, কিন্তু আলোচনায় আসে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির মাধ্যমে। ছবির রোমান্স যেন বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল। অথচ সেই রূপকথার প্রেমই কিছুদিনের মধ্যে রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর শুধু ব্যক্তিজীবন নয়, কর্মজীবনেও কঠিন আঘাত সহ্য করতে হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকে।
প্রতিবেশীর চোখে সেই সময়
বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তি প্রহ্লাদ কাক্কর ছিলেন ঐশ্বরিয়ার ঘনিষ্ঠজন। ঐশ্বরিয়ার মায়ের একই ভবনে থাকতেন তিনি। সম্পর্কের শুরুর দিক থেকে ক্যারিয়ারের উত্থান—সবকিছু কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তাঁর মতে, সালমান ছিলেন ভীষণ আক্রমণাত্মক। ঐশ্বরিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইতেন। প্রহ্লাদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সালমান খুবই আক্রমণাত্মক ছিলেন। আমি একই ভবনে থাকতাম, সবকিছু শুনতাম-দেখতাম। ঝগড়া, চিৎকার, এমনকি দেয়ালে মাথা ঠোকা…এগুলো নিয়মিত ছিল। সম্পর্ক আসলে অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছিল, শুধু ঘোষণাটা পরে এসেছে। বিচ্ছেদটা সবার মধ্যে স্বস্তি এনেছিল—ঐশ্বরিয়ার, তাঁর বাবা-মায়ের, এমনকি সালমানেরও।’