চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে মাদক, দখলবাজি ও জনদুর্ভোগের প্রতিবাদ করায় দশম শ্রেণির ছাত্র রিফাতকে (১৭) হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে উপজেলার মগধরা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জামসেদুর রহমানের ছেলে।  বাবা জামসেদুর সন্দ্বীপ উপজেলা শ্রমিকদলের ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও মগধরা ইউনিয়ন বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক।

সাংবাদিকদের দেওয়া এক লিখিত বিবৃতিতে জামসেদর রহমান অভিযোগ করেন, ‘অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় সারিকাইত ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী রাজুর নেতৃত্বে আমার ছেলে দশম শ্রেণির ছাত্র রিফাতের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়। তারা ৪ ঘণ্টা ছেলেকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। রাজু বাহিনীর হামলায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে রিফাত মৃত্যুবরণ করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সারিকাইত ইউনিয়ন থেকে বহিরাগতরা মগধরা ইউনিয়নে অবৈধ ব্যবসা করতো। আমার ছেলে মাদক, অবৈধ মাটি কাটা, দখলবাজি ও জনদুর্ভোগের প্রতিবাদ করতো। এসব নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি ১৮ মে ইউএনও’র কাছে একটি অভিযোগ দেওয়ার   পরদিন ১৯ মে রাজু বাহিনী আমার ছেলেকে হত্যা করে।,

স্থানীয়রা জানান, ১৯ মে সন্ধ্যা ৮টায় জামসেদুর রহমানের ছেলে রিফাতের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে রিফাতের ওপর হামলা হয়। প্রথমে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে তার মৃত্যু হয়।

সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম সফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, আমরা খবর পেয়ে আহত রিফাতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হত য

এছাড়াও পড়ুন:

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে

জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।

আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ‘জরুরি সভায়’ এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।

তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে। এসব সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ