শরীরে ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি হলে বুঝবেন কীভাবে?
Published: 22nd, May 2025 GMT
শরীরে বিভিন্ন অংশের কাজ পরিচালনার জন্য ভিটামিন এবং খনিজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিনগুলির মধ্যে একটি হল ভিটামিন বি১২। য়ুক্তরাষ্ট্রের ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য অনুযাযী, এটি এমন একটি ভিটামিন যা আপনার শরীরের স্নায়ু কোষ এবং রক্তকণিকা সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি আপনার শরীররে ডিএনএ তৈরিতেও সহায়তা করে।
শরীর ভিটামিন বি১২ তৈরি করে না। এর জন্য ভিটামিন বি ১২ সমৃদ্ধ খাবার এবং পানীয় গ্রহণ করতে হবে। শরীর যদি খাবার থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি ১২ না পায় বা শোষণ করতে না পারে তখন শরীর এই ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দেয়। দীর্ঘদিন ধরে এই ঘাটতি পূরণ না হলে শারীরিক, স্নায়বিক এবং মানসিক সমস্যার কারণ হতে পারে। শরীরে ভিটামিন বি১২ এর ঘাটতি হলে কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। যেমন-
ক্লান্তি এবং দুর্বলতা
ভিটামিন বি১২ লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যা সারা শরীরে অক্সিজেন বহন করতে সাহায্য করে। এর অভাবে সুস্থ লোহিত রক্তকণিকা কম হতে পারে, রক্তাল্পতা দেখা দিতে পারে। তখন শরীরে ক্লান্তি, দুর্বলতা এবং শক্তির ঘাটতি দেখা দেয়।
ফ্যাকাশে ত্বক
শরীরে ভিটামিন বি ১২ কম থাকলে লোহিত রক্তকণিকা গঠনকে প্রভাবিত করতে পারে, যার ফলে সেগুলি আরও সহজে ভেঙে যায়। এর ফলে ত্বক এবং চোখের সাদা অংশ ফ্যাকাশে বা সামান্য হলুদ দেখায়।
স্নায়ুর সমস্যা
বি১২ স্নায়ুর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এর অভাবে স্নায়ুর ক্ষতি হতে পারে। পরবর্তীতে হাত, পা বা পায়ে জড়তা দেখা দেয়। স্নায়ুর প্রতিরক্ষামূলক আবরণ (মায়েলিন) ব্যাহত হওয়ার কারণে এমনটা হয়।
মুখের ঘা
ভিটামিন বি১২ এর অভাবে জিহ্বার প্রদাহ হতে পারে এর ফলে জিহ্বা লাল হয়ে যায়, ফোলাভাব দেখা দেয়। এই ভিটামিনের ঘাটতি হলে মুখের ঘা বা জ্বালাপোড়াও হতে পারে।
শ্বাসকষ্ট এবং মাথা ঘোরা
লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা কম হলে সারা শরীরে অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতা প্রভাবিত হয়। এর ফলে শ্বাসকষ্ট এবং হালকা মাথাব্যথা হয়, বিশেষ করে শারীরিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সময় এই সমস্যা দেখা দেয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ভ ট ম ন ব ১২ র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
বাপ্পা মজুমদারের বাসায় আগুন, স্ত্রী–সন্তানসহ প্রাণে বাঁচলেন
সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদারের বাসায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর বনানীর বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
বাপ্পা মজুমদার জানান, ভবনের নিচতলা থেকে আগুনের সূত্রপাত। ইন্টারকমে কল পেয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে চারদিকে ধোঁয়ায় অন্ধকার দেখেন। এতে ঘাবড়ে যান। আগুনের আঁচ এসে মুখে লাগে। কিছুক্ষণ পরিবার নিয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। কী করবেন, তখন বুঝে ওঠতে পারেননি।
এমন অবস্থায় পাশেই থাকা গীতিকার শাহান কবন্ধের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। এরপর অভিনয়শিল্পী স্ত্রী তানিয়া হোসাইন ও দুই কন্যাসন্তান নিয়ে বাসা থেকে বের হন বাপ্পা।
বাপ্পা মজুমদার এক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমাদের বিল্ডিংয়ে আগুন লাগার ঘটনা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছি, আমরা সবাই নিরাপদে আছি। বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে অশেষ ধন্যবাদ, তারা দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে কী যে হয়ে যেত, ভাবতেই শিউরে উঠছি! একটি বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতা, এখনো ভাবতে কষ্ট হচ্ছে।’
বাপ্পা মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে বড় ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছি। ভোরে রাস্তায় মানুষ কম ছিল বিধায় ফায়ার সার্ভিস দ্রুত আসতে পেরেছিল। নইলে কী যে হতো, ভাবতেই পারছি না। আমি এখনো মানসিক ট্রমা থেকে বের হতে পারেনি। এই ট্রমা থেকে বের হতে সময় লাগবে।’