অভিনেতা সুনীল শেঠির মেয়ে আথিয়া শেঠি। বলিউডের উঠতি অভিনেত্রীদের একজন তিনি। ২০১৫ সালে ‘হিরো’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় তার। অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করার আগেই রুপালি জগতকে বিদায় জানালেন আথিয়া।

জুমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুনীল শেঠি বলেন, “আথিয়া বলেছে, ‘বাবা, আমি আর অভিনয় করতে চাই না।’ সে ছেড়ে দিয়েছে। ‘আমি আর আগ্রহী নই। আমি আর সিনেমা করতে চাই না।’— এই কথা বলার জন্য আথিয়াকে স্যালুট। ‘মতিচুর চাকনাচুর’ সিনেমার পর, তার জীবনে অনেক কিছু এসেছিল। সে বলেছে, ‘আমি আর চাই না। আমি ভালো আছি, তা জানো?”

কিছু দিন আগে মা হয়েছেন আথিয়া। মাতৃত্বকে ভীষণ উপভোগ করছেন। তা জানিয়ে সুনীল শেঠি বলেন, “এখন সে তার জীবনের সেরা চরিত্র পেয়েছে। সে সেরা ফিল্মে কাজ করছে। এটাই জীবন। মায়ের এই চরিত্রকে সে ভালোবাসে।”

আরো পড়ুন:

কানের লাল গালিচায় অন্য ঐশ্বরিয়া

‘শাহরুখকে নিয়ে সিনেমা নির্মাণের চেয়ে তাকে জানতে পারাটা সৌভাগ্যের’

২০১৯ সালে ভারতীয় ক্রিকেটার লোকেশ রাহুল ও আথিয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। এ জুটির প্রেম নিয়ে চর্চা কম হয়নি। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৩ জানুয়ারি সাতপাকে বাঁধা পড়েন এই যুগল। গত ২৩ মার্চ কন্যাসন্তানের জন্ম দেন আথিয়া। এ দম্পতির এটি প্রথম সন্তান।

রোমান্টিক সিনেমা ‘হিরো’ দিয়ে রুপালি জগতে যাত্রা শুরু করেন আথিয়া। অভিষেকের পর দুই বছরের বিরতি নিয়ে ‘মুবারাকান’ সিনেমায় অভিনয় করেন। পরের বছর ‘নওয়াবজাদে’ সিনেমার একটি গানে দেখা যায় তাকে। ২০১৯ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত ‘মতিচুর চাকনাচুর’ সিনেমা। এটি তার অভিনীত সর্বশেষ সিনেমা।

এসব সিনেমায় অভিনয় করে খানিকটা পরিচিতি পান আথিয়া। কেবলই যেন জ্বলে উঠতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার আগেই রুপালি জগতকে বিদায় জানালেন বত্রিশের আথিয়া।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

নোবেলের যত কাণ্ড!

আবারও আলোচনায় আলোচিত কণ্ঠশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেল। এবার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সাত মাস ধরে এক কলেজ ছাত্রীকে ডেমরার একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতনের। এ অভিযোগে সোমবার রাতে ডেমরা থানার পুলিশ তাঁকে আটক করে। ওই মেয়ের পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে ডেমরার একটি বাসা থেকে সেই মেয়েকে উদ্ধার করে পুলিশ।

নোবেল ছিলেন সম্ভাবনাময় এক শিল্পী। ভারতের কলকাতার চ্যানেল জি-বাংলার ‘সারেগামাপা’ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে রাতারাতি তারকাখ্যাতি পেয়েছিলেন। তবে ব্যক্তিগত জীবনে মাদক সেবন, স্ত্রীর গায়ে হাত তোলা, কনসার্টে মদ্যপ অবস্থায় ওঠার পাশাপাশি সিনিয়র গায়কদের নিয়ে ফেসবুকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন। জেলও খেটেছেন কয়েকবার।

আরও পড়ুনঅপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় গায়ক নোবেল গ্রেপ্তার২০ মে ২০২৫

গোপালগঞ্জের পরিবহনমালিকের ছেলে মাঈনুল আহসান নোবেল ২০১৯ সালে ‘সারেগামাপা’ অনুষ্ঠানে চ্যাম্পিয়ন হবেন বলে তাঁর ভক্তরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু চূড়ান্ত বিচারে তাঁকে তৃতীয় ঘোষণা করে জি-বাংলা কর্তৃপক্ষ। ওই ঘটনায় মুখ খুলেছিলেন নোবেল। তিনি নাকি প্রতিযোগিতা চলাকালে বলেছিলেন, ‘তার গান বিচার করার ক্ষমতা বিচারকদের নেই।’ ওই ঘটনায় জি-বাংলা চ্যানেল তাঁকে সাসপেন্ড করেছিল। অভিযোগ ছিল, কেবল বিচারকদের সঙ্গেই নয়, অন্য প্রতিযোগীদের সঙ্গেও তিনি নাকি নাক উঁচু ভাব নিতেন। কাউকে খুব একটা পাত্তা দিতেন না।

পশ্চিমবঙ্গের কেমব্রিজ স্কুল ও কলেজ থেকে এ এবং ও লেভেল সম্পন্ন করা নোবেলের বিরুদ্ধে প্রথম ধর্ষণের মামলা হয় ২০১৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর। চট্টগ্রামের এক তরুণী পাঁচলাইশ থানায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেন।

কণ্ঠশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেলকে গ্রেপ্তার করেছে ডেমরা থানা-পুলিশ। ছবি: ডিএমপির সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নোবেলের যত কাণ্ড!