বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) শিক্ষার্থীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণে ‘ইনট্রোডাক্টরি কোর্স অন আইইএলটিএস’ শীর্ষক একটি বিশেষ কোর্সের উদ্বোধন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-৩-এর এমআইএস গ্যালারিতে কোর্সটির উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকত আলী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপ সাপোর্ট অফিসের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের ভাষাগত দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের উপযোগী করে তুলতে এই কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

চবিসাসের নেতৃত্বে জানে আলম-মাহফুজ

৩ দাবিতে রাবির ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থীদের অনশন

কোর্সটিতে বাছাই করা প্রতিশ্রুতিশীল শিক্ষার্থীদের আইইএলটিএস পরীক্ষার লিসেনিং, রিডিং, রাইটিং ও স্পিকিং- এই চারটি বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। থাকবে নিয়মিত ক্লাস, মক টেস্ট ও ব্যক্তিগত দিকনির্দেশনার সুবিধা।

আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা জিআইজেট ও জার্মান বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান কেআইকে এর কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কেবল ভাষাগত দক্ষতা অর্জনই নয়, বরং বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন, গবেষণা প্রপোজাল রচনা ও স্কলারশিপ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জ্ঞান লাভ করবে।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, উদ্যোগটির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যেমন উপকৃত হবে, তেমনি এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিং ও পরিচিতি বৃদ্ধিতেও কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক মো.

শওকত আলী বলেন, “আমরা চাই, আমাদের মেধাবী শিক্ষার্থীরা শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও উচ্চশিক্ষা গ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করুক। আইইএলটিএস কোর্স সেই লক্ষ্য পূরণের এক গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মো. ইলিয়াছ প্রামানিক।

ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মঙ্গলবার কুয়াকাটায় রাস উৎসব, গঙ্গা স্নান বুধবার

প্রায় ২০০ বছর ধরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মদনমোহন সেবাশ্রম মন্দির ও কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরে পৃথক আয়োজনে রাস উৎসব পালন করে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এবছরও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে হবে এ উৎসব। রাস উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ায় বসছে ৫ দিনব্যাপী মেলা। 

কলাপাড়ায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শেষ সময়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে মন্দিরের আঙ্গিনাসহ রাধা ও কৃষ্ণের ১৭ জোড়া প্রতিমা।

মঙ্গলবার পূর্ণিমা তিথিতে রাত ৯টা ২২ মিনিটে অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে রাস পূজার আনুষ্ঠানিকতা। পরের দিন বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে এ তিথি শেষ হবে। সেদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটা সৈকতে গঙ্গা স্নান করবেন পুণ্যার্থীরা। এর পর মন্দিরের আঙ্গিনায় রাধা-কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা দর্শন করবেন তারা। তাই, দুই মন্দিরেই ১৭ জোড়া প্রতিমা বানানো হয়েছে। প্যান্ডেল সাজানোর কাজ শেষ। চলছে লাইটিং ও সাজসজ্জার কাজ। 

এ উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ার মন্দির প্রাঙ্গণ, কুয়াকাটার মন্দির প্রাঙ্গণ ও সৈকতে অস্থায়ীভাবে বসছে শতাধিক পোশাক, প্রসাধনী, খেলনা ও গৃহস্থালী সামগ্রীর দোকান। কুয়াকাটায় তিন দিনব্যাপী উৎসব হলেও কলাপাড়ায় এ উৎসব চলবে পাঁচ দিন। এসব দোকানে অন্তত ৩০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রির আশা করছেন আয়োজকরা। 

কলাপাড়ার শ্রী শ্রী মদনমোহন সেবাশ্রমের রাস উদযাপন কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার হাওলাদার বলেছেন, আজকের মধ্যেই আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। হিন্দু ধর্মালম্বীদের এ উৎসব হলেও এখানে ৫ দিনব্যাপী মেলায় সব ধর্মের মানুষের আগমন ঘটে। আমাদের মন্দির প্রাঙ্গণে অন্তত ৭০টি দোকান বসেছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে রাস উৎসব সম্পন্ন হবে। 

কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন মন্ডল বলেছেন, আগামীকাল রাতভর মন্দির প্রাঙ্গণে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলবে। পরদিন সকালে গঙ্গা স্নান হবে। লাখো পুণ্যার্থীর আগমনের আশা করছি আমরা। বুধবারও গঙ্গা স্নান হবে। উৎসব উপলক্ষে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউসার হামিদ বলেছেন, রাস উৎসব উপলক্ষে কুয়াকাটায় ১ লাখ পুণ্যার্থী সমাগমের আশা করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। 

ঢাকা/ইমরান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ