রূপগঞ্জে হত্যাসহ প্রায় ডজন খানেক মামলার আসামি নাজমুল ওরফে ইয়াবা নাজমুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৪ মে) ভোর রাতে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় নাজমুলের সঙ্গে থাকা একটি রামদা ও বল্লম উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত নাজমুল নাওড়া এলাকার আহামুদুল্লাহর ছেলে।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলি জানান, ২০২৪ সালের ৬ জুন নাওড়া এলাকার বিল্লাল হোসেনের ছেলে দ্বীন ইসলাম হত্যা মামলার আসামি নাজমুল। 

একই সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নাওড়া এলাকায় ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী নাওর এলাকায় গুলি বর্ষন হামলা ভাঙচুর লুটপাট ও গুলিবিদ্ধসহ আহত ঘটনার নাওর এলাকার আবুল হোসেনের স্ত্রী নার্গিস বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। 

ওই মামলার আসামীও ইয়াবা নাজমুল। এছাড়া ২৬ মার্চ নাওড়া এলাকায় মুস্তাফিজুর রহমানের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ ভাঙচুর লুটপাট ও কুপিয়ে জখমের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি নাজমুল। 

নাজমুল ওরফে ইয়াবা নাজমুল এর বিরুদ্ধে হত্যা, মাদক, চুরি, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধে প্রায় দুজন খানেক মামলা রয়েছে বলে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে। পুলিশ মামলাগুলো খতিয়ে দেখছেন। দীর্ঘদিন ধরে নাজমুল পলাতক ছিল।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার নিজ এলাকা থেকে শনিবার ভোরে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় নাজমুলের সঙ্গে থাকা একটি রামদা ও বল্লম উদ্ধার করা হয়। দুপুরে আসামি নাজমুলকে দশদিনের রিমান্ড চেয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র পগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

মানুষের ‘দ্বিতীয় ঘুম’এর যুগ সম্পর্কে কতটা জানেন

তেলের বাতি, গ্যাসের বাতি এবং বৈদ্যুতিক বাতি ক্রমে সভ্যতায় যোগ হয়েছে। এর আগে মানুষ প্রাকৃতিক আলোর সঙ্গে মানিয়ে জীবন যাপন করতো। প্রাক-শিল্প যুগের সমাজে ‘দ্বিতীয় ঘুম’-এর অভ্যাস ছিলো মানুষের। 

দ্বিতীয় ঘুম বলতে ঐতিহাসিকভাবে প্রচলিত এমন এক ধরনের ঘুমের ধরণকে বোঝায়, যেখানে মানুষ রাতে একটানা আট ঘণ্টা না ঘুমিয়ে ঘুমকে দুটি ভাগে ভাগ করে নিত। একে দ্বি-পর্যায়ের ঘুম বা খণ্ডিত ঘুম বলা হয়। দেখা যেত যে— সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পর মানুষজন বিছানায় যেত এবং প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ঘুমাত। 

আরো পড়ুন:

রক্তস্বল্পতা দূর করতে এই শাক খেতে পারেন

টানা ৬ মাস রাতের খাবার দেরিতে খেলে যা হয়

প্রথম ঘুমের পর তারা প্রায় এক ঘণ্টা জেগে থাকত। এই সময়ে বাড়ির হালকা কাজ করা, প্রার্থনা করা, পড়াশোনা করা, প্রতিবেশীদের সাথে গল্প করা বা অন্তরঙ্গ কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার মতো কাজগুলো করতো।

তারা আবার বিছানায় ফিরে যেত এবং ভোরের আলো ফোটা পর্যন্ত আরও ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ঘুমাত, যাকে ‘দ্বিতীয় ঘুম’ বা ‘ভোরের ঘুম’ বলা হত।

গত দুই শতাব্দী ধরে সামাজিক জীবনে আসা পরিবর্তনের কারণে মানুষের দ্বিতীয় ঘুমের অদৃশ্য হয়ে গেছে। যেসব কারণে মানুষ দ্বিতীয় ঘুমের অভ্যাস হারিয়ে ফেলেছে, তার একটি হলো ‘কৃত্রিম আলো ব্যবহার।’
১৭০০ এবং ১৮০০ এর দশকে, প্রথমে তেলের বাতি, তারপর গ্যাসের আলো এবং অবশেষে বৈদ্যুতিক আলো রাতকে আরও ব্যবহারযোগ্য করে তুলেছে। ফলে রাতও মানুষের কাছে জাগ্রত সময়ে পরিণত হতে শুরু করে। 

সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পরে ঘুমাতে যাওয়ার পরিবর্তে, মানুষ প্রদীপের আলোতে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেগে থাকতে শুরু করে। জৈবিকভাবে, রাতে উজ্জ্বল আলো আমাদের অভ্যন্তরীণ ঘড়িগুলোকে (আমাদের সার্কাডিয়ান ছন্দ) পরিবর্তন করে এবং কয়েক ঘণ্টা ঘুমের পরে আমাদের শরীরকে জাগ্রত করার প্রবণতা কমিয়ে দেয়। 

ঘুমানোর আগে সাধারণ ‘ঘরের’ আলো মেলাটোনিনকে দমন করে এবং বিলম্বিত করে। শিল্প বিপ্লব কেবল মানুষের কাজ করার পদ্ধতিই নয় বরং তারা কীভাবে ঘুমায় তাও বদলে দিয়েছে। 

২০১৭ সালে বিদ্যুৎবিহীন মাদাগাস্কান কৃষি সম্প্রদায়ের ওপর করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে লোকেরা এখনও বেশিরভাগ সময় দুই ভাগে ঘুমায়, প্রায় মধ্যরাতে ঘুম থেকে ওঠে।

সূত্র: ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস অবলম্বনে

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ