ক্ষুব্ধ মেয়র শাহাদাত হোসেন বললেন, ‘ঢাকায় বরাদ্দ দিতে চান, চট্টগ্রামে কেন চান না’
Published: 24th, May 2025 GMT
রাজধানী ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রামের উন্নয়নবৈষম্য নিয়ে সরব হয়েছেন সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন। নগরের জলাবদ্ধতার সমস্যা দীর্ঘদিনের। এই সমস্যা নিরসনে সরকার যে বরাদ্দ দিয়েছে তা নিয়েই মূলত ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানালেন তিনি।
আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের টাইগার পাসে সিটি করপোরেশনের অস্থায়ী কার্যালয়ে জলাবদ্ধতা নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘ঢাকার জন্য যে বাজেট দেওয়া হয়, ৭০-৮০ লাখের মানুষের শহর চট্টগ্রামের জন্য তার কতটুকু দেওয়া হয়? ৫ কোটি টাকা করে খাল আর নালা পরিষ্কারের জন্য এবং আড়াই কোটি টাকা একটা বক্স কালভার্ট পরিষ্কারের দিয়েছে সরকার। এই ৮-১০ কোটি টাকাই ৭০-৮০ লাখ মানুষের জন্য বরাদ্দ?’
‘চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এই সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মেয়র শাহাদাত হোসেন। বাংলাদেশ জনসংযোগ সমিতি আয়োজিত এই সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দেশ রূপান্তর পত্রিকার চট্টগ্রামের ব্যুরোপ্রধান ভূঁইয়া নজরুল।
সেমিনারে ঢাকার তুলনায় বাজেটে কম বরাদ্দ রাখা এবং জলাবদ্ধতা নিরসন কাজের জন্য যন্ত্রপাতি কেনার প্রকল্প অনুমোদন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত। তিনি বলেন, ২০২২ সালে ৩৯৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প জমা দেওয়া হয়। সেটা যেভাবে আছে, ওভাবে ওখানে পড়ে আছে। মন্ত্রণালয়ে কয়েকবার যাওয়ার পর এখন একটা জায়গায় এসেছে। চূড়ান্তভাবে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ১০০ কোটি টাকা কমিয়ে ২৯৮ কোটি টাকা করা হয়েছে। এ নিয়ে তিনি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করার কথাও জানান সেমিনারে। তবু কাজ হয়নি বলে দাবি তাঁর।
জলাবদ্ধতা নিরসন কাজের জন্য সিটি করপোরেশনের যন্ত্রপাতি দরকার উল্লেখ করে মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘এখন যেগুলো আছে সেগুলো ১৫-২০ বছরের পুরোনো। এ যন্ত্রগুলো দিয়ে যখনই কাজ করতে যাই, তখনই নষ্ট হচ্ছে, ভেঙে যাচ্ছে। দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়কে বলেছি। আর কোথায় যাব?’
চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকায় বৃষ্টিতে ডুবে যাওয়া রাস্তার এই ছবি নগরবাসী কাছে খুবই পরিচিত। গত বছরের ২১ আগস্ট তোলা হয় ছবিটি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য বর দ দ ন রসন
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে
এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?
দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’
প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।
আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’
তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’
মুশফিকুর রহিম