ভারতীয় আধিপত্যবাদ নিয়ে সংকটের কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা
Published: 25th, May 2025 GMT
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ভারতীয় আধিপত্যবাদের কারণে দেশ বড় সংকটের মধ্যে রয়েছে। এ জন্য পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকা দরকার বলে প্রধান উপদেষ্টা মনে করছেন।’
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আজ রোববার বিকেল থেকে মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। ওই বৈঠক শেষে যমুনা থেকে বের হয়ে রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘তিনি আলোচনা শুরু করেছেন এই কথা বলে যে আমরা অনেক বড় সংকটের মধ্যে আছি। এই সংকট বলতে উনি ভারতীয় আধিপত্যবাদের ষড়যন্ত্রের কথা বলেছেন। ভারতীয় আধিপত্যবাদ আমাদের এই পরিবর্তনকে একেবারেই স্বীকার করতে চায় না। পারলে আমাদের এক দিনে ধ্বংস করে দিতে চায় এবং সেই জন্য যা যা করবার দরকার, সব তারা করছে। এই ছিল তাঁর কথা।’
মান্না জানান, বৈঠকে তাঁরা প্রধান উপদেষ্টাকে রাজনীতি সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য বলেছেন। সেই সঙ্গে নির্বাচনের তারিখ, নির্বাচনের রূপরেখা এবং কীভাবে নির্বাচন করতে চান, তা প্রধান উপদেষ্টার বলা উচিত বলেও তাঁকে জানিয়েছেন।
মান্না বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা তাঁদের স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, কম সংস্কার হলে ডিসেম্বরে আর বেশি সংস্কার হলে জুনে নির্বাচন হবে। এ সময় প্রয়োজনে প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগপত্রে লিখে দিতে চেয়েছেন কোনোভাবেই নির্বাচন জুনের পরে যাবে না।’
দেশের জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য দিন দিন দুর্বল হচ্ছে উল্লেখ করে মাহমুদুর রহমান বলেন, এ কারণে প্রধান উপদেষ্টা চিন্তিত ও হতাশ। তিনি আরও বলেন, তাঁরা প্রধান উপদেষ্টাকে আশ্বস্ত করেছেন যে জাতীয় ইস্যুগুলোতে তাঁরা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। তাতে প্রধান উপদেষ্টা আশ্বস্ত হয়েছেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তাঁদের জানিয়েছেন, সম্প্রতি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকেও তিনি হতাশ হয়ে পড়েন। সে জন্যই তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে অনেক কিছু হয়েছে তাঁদের (উপদেষ্টাদের) নিজেদের মধ্যে, সেগুলো একটা বিস্তারিত কাহিনি বললেন.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বল ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় এসিসি সভা, আসতে রাজী নয় ভারত
আগামী ২৪ জুলাই ঢাকায় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। তবে, বাংলাদেশে এসে এসিসি সভায় যোগ দিতে রাজি নয় ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারা। এরই মধ্যে তারা এসিসিকে বিষয়টি জানিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে সভা সরিয়ে নিলে কিংবা অনলাইনে করলেই ভারত যোগ দিতে পারবে বলে জানিয়েছে।
ভারতের ‘স্পোর্টস তক’ এক প্রতিবেদনে বলেছে, ‘‘বাংলাদেশে বর্তমানে যে পরিস্থিতি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে, সেই প্রেক্ষাপটে সেখানে ভ্রমণ করা উপযুক্ত নয়। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে এসিসিকে জানিয়ে দিয়েছি যেন পরবর্তী বৈঠকের ভেন্যু সরিয়ে নেওয়া হয়।’’
সম্প্রতি ভারত বাংলাদেশেও দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগস্টে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে তাদের আসার কথা ছিল। কিন্তু, আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে তাদের সফর পিছিয়ে গেছে।
আরো পড়ুন:
শূন্য থেকে শুরু বিপিএলের প্রস্তুতি
লর্ডস টেস্টে টস জিতে ব্যাট করছে ইংল্যান্ড
এসিসির চেয়ারম্যান মহসীন নাকভি এসিসির সদস্যভুক্ত দেশগুলোকে এরই মধ্যে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সভার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ওই সময়ে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজও অনুষ্ঠিত হবে। সব ম্যাচ হবে মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে।
নানা কারণে এসিসির এবারের সভাটি গুরুত্বপূর্ণ। সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ হওয়ার কথা ভারতে। কিন্তু, পাকিস্তান ভারত সফর করবে না; তা আগে থেকেই জানা। ফলে এই টুর্নামেন্ট হতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ৫-২১ সেপ্টেম্বর চলবে এই প্রতিযোগিতা।
ঢাকা/ইয়াসিন