মাইক্রোসফট অফিস স্পেশালিস্ট বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন (এমওএস) তিন শিক্ষার্থী যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রে। জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের অরল্যান্ডো অঙ্গরাজ্যের ফ্লোরিডায় সার্টিপোর্ট আয়োজিত মাইক্রোসফট ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন এই তিনজন।

ভিটিউটর জাতীয় পর্যায়ে দেশের ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাসব্যাপী এই আয়োজনে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ক্যাটাগরিতে ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম, এক্সেল ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি প্রফেশনালসের শিক্ষার্থী সামিন আল ফাত্তাহ এবং পাওয়ার পয়েন্টে আমেরিকার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী তাসিন আহমেদ।

গত শনিবার রাজধানীর আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের দেওয়া হয় একটি করে ল্যাপটপ এবং প্রতিযোগিতার মোট পুরস্কার মূল্য যুক্তরাষ্ট্র সফরসহ ২০ লাখ টাকার ডামি চেক তুলে দেওয়া হয় বিজয়ীদের হাতে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম স্থানের জন্য ৮ হাজার ডলার, দ্বিতীয় স্থান ৪ হাজার ডলার এবং তৃতীয় স্থান ২ হাজার ডলারের ডামি চেক গ্রহণ করেন।

বিজয়ীদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কাজী মোশতাক জহির। এসময় এআইইউবি ভিসি অধ্যাপক ড.

সাইফুল ইসলাম, বিউপি চেয়ারম্যান উইং কমান্ডার ড. মাহমুদুল হাসান, দৈনিক যায়যায়দিন যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামান; বারাকা শিকল বাহার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাঈম আহমেদ চৌধুরী; এআই সিস্টেমের সিইও আরিফুল ইসলাম; ভিটিউটরের কো-ফাউন্ডার ও চিফ লার্নিং অফিসার কাজী শামীম এবং কো-ফাউন্ডার ও চিফ অ্যাকাডেমিক অফিসার মুত্তাকী ফারুক।

এর আগে অলিম্পিয়াডের আদলে প্রথমবারের মতো গত ১০ মে থেকে রাজধানীর বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত হয় মাইক্রোসফট অফিস স্পেশালিস্ট বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ (এমওএস) প্রতিযোগিতা। জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস প্রফেশনালস, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি এবং ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে। 

প্রতিযোগিতায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ৩০০ জন অংশ নেওয়ার সুযোগ পান। প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ইউনিভার্সিটি রাউন্ড এবং জাতীয় পর্যায়ের বিজয়ী মোট ৫৫ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। ভিটিউটর ব্যবস্থাপক শাহরিয়ার সিফাতের সঞ্চালনায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিযোগিতায় আজকের বিজয়ীরাই বিশ্ব মঞ্চে লাল-সবুজের পতাকা মেলে ধরবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কাজী মোশতাক জহির। 

তিনি বলেন, একসময় সময় জনসংখ্যাকে বোঝা মনে করা হতো। তবে আজকের বাস্তবাতায় জনসংখ্যাই জনশক্তি। তরুণদের জনশক্তিতে পরিণত করতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় দেশজুড়ে দক্ষতা উন্নয়নের বিভিন্ন আয়োজনে শরিক থাকছে।

ভিটিউটরের কো-ফাউন্ডার ও চিফ লার্নিং অফিসার কাজী শামীম বলেন, এই প্রতিযোগিতা কেবল একটি সাধারণ পরীক্ষা নয়। এটি বাংলাদেশের আগামীর কাণ্ডারি তরুণদের হাত ধরে দেশকে প্রযুক্তির শীর্ষে নিয়ে যাওয়ার অব্যাহত প্রচেষ্টা। 

প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় রাউন্ডে সারাদেশের মোট ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী ঢাকার ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেন্যুতে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এতে প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ ৯৭ জনের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় হয়েছে। সেখান থেকে ৮৯ জন বিজয়ী পেয়েছেন মাইক্রোসফট অফিস স্পেশালিস্ট সনদ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি—

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র ভ ট উটর অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

মানুষের ‘দ্বিতীয় ঘুম’এর যুগ সম্পর্কে কতটা জানেন

তেলের বাতি, গ্যাসের বাতি এবং বৈদ্যুতিক বাতি ক্রমে সভ্যতায় যোগ হয়েছে। এর আগে মানুষ প্রাকৃতিক আলোর সঙ্গে মানিয়ে জীবন যাপন করতো। প্রাক-শিল্প যুগের সমাজে ‘দ্বিতীয় ঘুম’-এর অভ্যাস ছিলো মানুষের। 

দ্বিতীয় ঘুম বলতে ঐতিহাসিকভাবে প্রচলিত এমন এক ধরনের ঘুমের ধরণকে বোঝায়, যেখানে মানুষ রাতে একটানা আট ঘণ্টা না ঘুমিয়ে ঘুমকে দুটি ভাগে ভাগ করে নিত। একে দ্বি-পর্যায়ের ঘুম বা খণ্ডিত ঘুম বলা হয়। দেখা যেত যে— সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পর মানুষজন বিছানায় যেত এবং প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ঘুমাত। 

আরো পড়ুন:

রক্তস্বল্পতা দূর করতে এই শাক খেতে পারেন

টানা ৬ মাস রাতের খাবার দেরিতে খেলে যা হয়

প্রথম ঘুমের পর তারা প্রায় এক ঘণ্টা জেগে থাকত। এই সময়ে বাড়ির হালকা কাজ করা, প্রার্থনা করা, পড়াশোনা করা, প্রতিবেশীদের সাথে গল্প করা বা অন্তরঙ্গ কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার মতো কাজগুলো করতো।

তারা আবার বিছানায় ফিরে যেত এবং ভোরের আলো ফোটা পর্যন্ত আরও ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ঘুমাত, যাকে ‘দ্বিতীয় ঘুম’ বা ‘ভোরের ঘুম’ বলা হত।

গত দুই শতাব্দী ধরে সামাজিক জীবনে আসা পরিবর্তনের কারণে মানুষের দ্বিতীয় ঘুমের অদৃশ্য হয়ে গেছে। যেসব কারণে মানুষ দ্বিতীয় ঘুমের অভ্যাস হারিয়ে ফেলেছে, তার একটি হলো ‘কৃত্রিম আলো ব্যবহার।’
১৭০০ এবং ১৮০০ এর দশকে, প্রথমে তেলের বাতি, তারপর গ্যাসের আলো এবং অবশেষে বৈদ্যুতিক আলো রাতকে আরও ব্যবহারযোগ্য করে তুলেছে। ফলে রাতও মানুষের কাছে জাগ্রত সময়ে পরিণত হতে শুরু করে। 

সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পরে ঘুমাতে যাওয়ার পরিবর্তে, মানুষ প্রদীপের আলোতে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেগে থাকতে শুরু করে। জৈবিকভাবে, রাতে উজ্জ্বল আলো আমাদের অভ্যন্তরীণ ঘড়িগুলোকে (আমাদের সার্কাডিয়ান ছন্দ) পরিবর্তন করে এবং কয়েক ঘণ্টা ঘুমের পরে আমাদের শরীরকে জাগ্রত করার প্রবণতা কমিয়ে দেয়। 

ঘুমানোর আগে সাধারণ ‘ঘরের’ আলো মেলাটোনিনকে দমন করে এবং বিলম্বিত করে। শিল্প বিপ্লব কেবল মানুষের কাজ করার পদ্ধতিই নয় বরং তারা কীভাবে ঘুমায় তাও বদলে দিয়েছে। 

২০১৭ সালে বিদ্যুৎবিহীন মাদাগাস্কান কৃষি সম্প্রদায়ের ওপর করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে লোকেরা এখনও বেশিরভাগ সময় দুই ভাগে ঘুমায়, প্রায় মধ্যরাতে ঘুম থেকে ওঠে।

সূত্র: ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস অবলম্বনে

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ