খুলনায় গুলি ও ছুরিকাঘাতে দুই যুবক খুন
Published: 26th, May 2025 GMT
খুলনায় আলাদা ঘটনায় গুলি ও ছুরিকাঘাতে দুই যুবককে হত্যা করা হয়েছে।
রবিবার (২৬ মে) মধ্যরাতে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা ও রুপসা উপজেলার মোসাব্বরপুর গ্রামে এ দুই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
সোনাডাঙ্গায় মো. গোলামকে (২৫) ছুরিকাঘাত করা হয় এবং রূপসায় রনি ওরফে কালা রনিকে (৩৬) গুলি করা হয়। পুলিশ এ দুই ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা সোনাডাঙ্গায় ২২ তলা ভবনের পাশের গলিতে গোলামের ওপর হামলা চালায়। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে গোলামের পেটে আঘাত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন গোলাম। তিনি হরিণটানা থানাধীন ময়ুর আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মো.
সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, তিন-চার জন যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গোলামের ওপর হামলা চালায়। তবে, কী কারণে তার ওপর এ হামলা, তা প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি। রাত দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়। দুর্বৃত্তদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে।
অপরদিকে, রবিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে রূপসা উপজেলার মোছাব্বরপুর গ্রামে রনিকে গুলি করা হয়। তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা মো. আনোয়ার হাওলাদারের ছেলে।
রনির মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আছে। তাকে হত্যার পর থেকে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেনে, রাত সাড়ে ১১টার দিকে রনি মোবাইল ফোনে কল পেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে কিছু দূরে যাওয়ামাত্রই কয়েকটি গুলির শব্দ শুনা যায়। স্থানীয়রা মাঠের মধ্যে তার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। নিহত যুবক ওই এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে।
রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান বলেছেন, রনি খুলনার ‘বি’ কোম্পানির গ্রেনেড বাবুর সহযোগী ছিলেন। দুর্বৃত্তরা তার মাথা লক্ষ্য করে একটি গুলি ছোড়ে। সেটি মাথা ভেদ করে বের হয়ে যায়।
ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
এর আগে ২০১৭ সালে দুর্বৃত্তরা রনির ছোট ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করে বলে জানিয়েছেন ওসি মোহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান।
ঢাকা/নূরুজ্জামান/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে ছাত্রদল-শিবিরের হাতাহাতি, রাতে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার নগরীর আগ্রাবাদে কলেজের মূল ফটকের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটেছে। রাতে ছাত্রশিবির সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছে, ছাত্রদলের হামলায় তাদের তিনকর্মী আহত হয়েছেন।
পরে ছাত্রদল বিজ্ঞপ্তি দিয়ে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছিল। বরং শিবির ছাত্রদলের ওপর হামলা চালিয়েছে।
ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক জাহিদুল আলম জয় জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতার জন্য ছাত্রশিবির কলেজের সামনে একটি হেল্পডেস্ক স্থাপন করে। সেখানে পরীক্ষার্থীদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা এবং অভিভাবকদের জন্য পানি পান ও বসার ব্যবস্থা ছিল। সকালে ছাত্রদলের কয়েকজন কর্মী এসে হেল্পডেস্ক বন্ধ করতে বলে এবং হুমকি দেন। এরপর শিবিরের কর্মীরা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকলে ছাত্রদল হঠাৎ হামলা চালায়। এতে তিনজন আহত হন। আহতরা হলেন- শিবির মহানগর দক্ষিণ কলেজ শাখার সম্পাদক মোজাহেরুল ইসলাম, কামরুজ্জামান জীবন ও আব্দুল হাদী রাহি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলম বলেন, শিক্ষার্থীদের হেল্প করতে গিয়ে ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের মধ্যে শুধু কথা কাটাকাটি হয়েছে। হামলা-মারামারি কিছুই হয়নি। পরে আবার তারা নিজেরাই মীমাংসা করে নিয়েছে।
নগরের ডবলমুরিং থানার ওসি কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, সামান্য কথা কাটাকাটি হয়। একটু ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। কেউ আহত হয়েছে, এমন তথ্য নেই। কেউ লিখিত অভিযোগও করেনি।