ঢালিউডের সবচেয়ে আলোচিত ও সফল জুটি ওমর সানী ও মৌসুমী। সিনেমায় একসঙ্গে প্রেম, ঝগড়া, চোখের জল, আবার গানের দৃশ্যে ফুলের বাগানে ঘোরাঘুরি— সবই করেছেন তারা। তবে জানেন কি, এই রোমান্টিক জুটির প্রেম শুরু হয়েছিল চাবুক খেতে খেতে?

সম্প্রতি ফেসবুক রিলসে ঘুরে বেড়াচ্ছে পুরোনো একটি দৃশ্য। যেখানে দেখা যায়, নায়ক ওমর সানীর পিঠে চাবুক মারছেন প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী! ব্যস, মুহূর্তেই ভাইরাল! দর্শকের কৌতূহলে ফেটে পড়া অবস্থা। তাদের জিজ্ঞাসা, “আচ্ছা, এতে করে কি বাস্তবে ব্যথা লেগেছিল?”

এমন প্রশ্নের জবাব দিলেন ওমর সানী নিজেই। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, “প্রথম দিনের শুটিংয়ে চাবুকের মার খেয়েই আমার জ্বর উঠে গেল! রাতে বাসায় গিয়ে দেখি পিঠ লাল হয়ে ফুলে গেছে। মা তো একরকম হুলস্থুল করে ফেললেন!”

আরো পড়ুন:

জন্মদিনে নেই উৎসব, মায়ের শোকে বিষণ্ন ওমর সানী

মৌসুমী কাউকে ফাঁসিয়ে যায়নি: ওমর সানী

পরের ঘটনা আরো মজার। ওমর সানীর ভাষায়, “মৌসুমী তখন নতুন, মাত্র কয়েকটা সিনেমা করেছে। আমি কিছু পুরোনো হলেও আমাদের দুজনেই তখন নিজেদের প্রমাণ করার তাগিদ ছিল। তাই চাবুকের দৃশ্যটা রিয়েল করতে মার খেতে হলো। ব্যথা তো পেয়েছি ঠিকই, তবে সেই ব্যথার আনন্দটা আজও মনে পড়ে। সেই ব্যথার মধ্যেই প্রেম, সেই প্রেমই নিয়ে গেছে বিয়েতে।”

১৯৯৬ সালের ২ আগস্ট, এই চাবুক-মারার সিনেমার পর্দা ভেদ করে বাস্তবে ঘর বাঁধেন সানী-মৌসুমী। এরপর সিনেমার মতোই বাস্তব জীবনে চলছে তাদের রোমান্টিক গল্প।

এখন আর অভিনয়ে নিয়মিত নন ওমর সানী। এখন পুরোপুরি ব্যবসায়ী। রেস্টুরেন্ট, রিয়েল এস্টেট ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র ওমর স ন

এছাড়াও পড়ুন:

প্রাক্তন স্ত্রী দেবশ্রীর সঙ্গে প্রেমের সিনেমা করতে চান প্রসেনজিৎ

ভারতীয় বাংলা সিনেমার তারকা জুটি প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি ও দেবশ্রী রায়। পর্দায় এ জুটির রোমান্স দেখে মুগ্ধ হয়েছেন অসংখ্য ভক্ত। রুপালি পর্দার রোমান্স ব্যক্তিগত জীবনেও গড়ায়। ভালোবেসে দেবশ্রী রায়কে বিয়ে করেন প্রসেনজিৎ। কিন্তু কয়েক বছর পরই এ বিয়ে ভেঙে যায়। তারপর দুজনের পথ আলাদা হয়ে যায়। 

সংসার ভাঙার পাশাপাশি দর্শক হারান রুপালি পর্দার জনপ্রিয় এই জুটিকে। এরপর আর কোনো সিনেমায় একসঙ্গে দেখা যায়নি তাদের। অবশেষে দূরত্ব কমিয়ে দেবশ্রীর সঙ্গে সিনেমা করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করলেন প্রসেনজিৎ।  

আরো পড়ুন:

নিজেকে তৈরি করে খোলামেলা দৃশ্যে অভিনয় করব: স্বস্তিকা

ছেলের বন্ধুরা ‘দিদি’ বলে ডাকে: শ্রাবন্তী

কিছুদিন আগে ‘আমি যখন হেমা মালিনী’ সিনেমার প্রচারে চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেছিলেন—“দেব-শুভশ্রী জুটির পর আমি চাই আবার প্রসেনজিৎ-দেবশ্রী জুটি ফিরুক, এই জুটিটা ফেরার অত্যন্ত প্রয়োজন।” ‘দেবী চৌধুরানী’ সিনেমার প্রচারে চিরঞ্জিতের এই বক্তব্য প্রসেনজিৎকে জানানো হয়। 

এ বিষয়ে প্রসেনজিৎ বলেন, “আমি তো চাই দীপকদা একটা স্ক্রিপ্ট লিখুক আমাদের জন্য, আমার বহুদিনের ইচ্ছা ছিল এবং আমি অনেকবার দীপকদাকে বলেছি যে, আমি তোমার পরিচালনায় একটা কাজ করতে চাই। দীপকদা, আমাদের জন্য যদি পরিচালনা করেন তাহলে অবশ্যই আমি সিনেমা করতে চাই। আর আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে দেবশ্রীর সঙ্গে আবারো একটা পরিণত প্রেমের সিনেমা করতে চাই।” 

তাহলে কী পুরোনো তিক্ততা ভুলে গেছেন প্রসেনজিৎ? জবাবে এই নায়ক বলেন, “আমার কারো সঙ্গে কোনো তিক্ততা নেই। যে আমার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলবে, আমি সব সময় তাদের জন্য আছি। আর কোনো তিক্ততা নিয়ে বাঁচতে চাই না, যে কটা দিন আছি সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক নিয়েই থাকতে চাই।” 

এক সময় দেবশ্রীকে নিয়ে কথা বলতে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ বোধ করতেন না প্রসেনজিৎ। তবে অভিমান ভুলে কাজের ক্ষেত্রে আবার এক হওয়ার কথা বললেন তিনি। বর্তমানকে ভালোবেসে যেমন এগিয়ে যান, ঠিক তেমনই কি অতীতকেও আঁকড়ে বাঁচেন?  

এ প্রশ্নের জবাবে প্রসেনজিৎ বলেন, “নিজের অতীতকে কখনো উপেক্ষা করা যায় না। মাঝেমাঝেই আমি আমার অতীতে ফিরে যাই; সেই সময়গুলোর জন্যই আজকের আমি। অতীত আমাকে অনেক ভালোবাসা, রাগ-দুঃখ-ক্ষোভ দিয়েছে। আমার ক্ষেত্রে যেটা অল্প কিন্তু তবু আছে সেটা হলো—ঘৃণা। সেটাও পেয়েছি, তবে অতীত যেমনই হোক না কেন, তাকে কখনো ফেলে দেওয়া যায় না। আমরা সবাই মাঝে মাঝে অতীতে ফিরে যাই।” 

সময়ের সঙ্গে অনেক কিছু বদলে গেছে। বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতেও দ্বিধাবোধ করেন না প্রসেনজিৎ।তার ভাষায়—“এই বদলগুলোকে মেনে না নিলে আমাকে পিছিয়ে পড়তে হবে। আমি প্রচুর বদল দেখেছি, তবে যেই সময় যেটা এসেছে, তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছি, এটাই তো করা উচিত। না হলে বর্তমান প্রজন্ম থেকে দূরে সরে যেতে হবে।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ