চাবুক খেতে খেতেই মৌসুমীর সঙ্গে প্রেম: ওমর সানী
Published: 26th, May 2025 GMT
ঢালিউডের সবচেয়ে আলোচিত ও সফল জুটি ওমর সানী ও মৌসুমী। সিনেমায় একসঙ্গে প্রেম, ঝগড়া, চোখের জল, আবার গানের দৃশ্যে ফুলের বাগানে ঘোরাঘুরি— সবই করেছেন তারা। তবে জানেন কি, এই রোমান্টিক জুটির প্রেম শুরু হয়েছিল চাবুক খেতে খেতে?
সম্প্রতি ফেসবুক রিলসে ঘুরে বেড়াচ্ছে পুরোনো একটি দৃশ্য। যেখানে দেখা যায়, নায়ক ওমর সানীর পিঠে চাবুক মারছেন প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী! ব্যস, মুহূর্তেই ভাইরাল! দর্শকের কৌতূহলে ফেটে পড়া অবস্থা। তাদের জিজ্ঞাসা, “আচ্ছা, এতে করে কি বাস্তবে ব্যথা লেগেছিল?”
এমন প্রশ্নের জবাব দিলেন ওমর সানী নিজেই। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, “প্রথম দিনের শুটিংয়ে চাবুকের মার খেয়েই আমার জ্বর উঠে গেল! রাতে বাসায় গিয়ে দেখি পিঠ লাল হয়ে ফুলে গেছে। মা তো একরকম হুলস্থুল করে ফেললেন!”
আরো পড়ুন:
জন্মদিনে নেই উৎসব, মায়ের শোকে বিষণ্ন ওমর সানী
মৌসুমী কাউকে ফাঁসিয়ে যায়নি: ওমর সানী
পরের ঘটনা আরো মজার। ওমর সানীর ভাষায়, “মৌসুমী তখন নতুন, মাত্র কয়েকটা সিনেমা করেছে। আমি কিছু পুরোনো হলেও আমাদের দুজনেই তখন নিজেদের প্রমাণ করার তাগিদ ছিল। তাই চাবুকের দৃশ্যটা রিয়েল করতে মার খেতে হলো। ব্যথা তো পেয়েছি ঠিকই, তবে সেই ব্যথার আনন্দটা আজও মনে পড়ে। সেই ব্যথার মধ্যেই প্রেম, সেই প্রেমই নিয়ে গেছে বিয়েতে।”
১৯৯৬ সালের ২ আগস্ট, এই চাবুক-মারার সিনেমার পর্দা ভেদ করে বাস্তবে ঘর বাঁধেন সানী-মৌসুমী। এরপর সিনেমার মতোই বাস্তব জীবনে চলছে তাদের রোমান্টিক গল্প।
এখন আর অভিনয়ে নিয়মিত নন ওমর সানী। এখন পুরোপুরি ব্যবসায়ী। রেস্টুরেন্ট, রিয়েল এস্টেট ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র ওমর স ন
এছাড়াও পড়ুন:
রংপুরে জাপা-এনসিপির পাল্টাপাল্টি মামলা নিল পুলিশ
রংপুরে শহরের সেন পাড়ায় জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বাসভবন স্কাইভিউয়ে হামলার দুই দিন পর জাপা ও এনসিপির দায়ের করা পাল্টাপাল্টি মামলা রেকর্ড করেছে পুলিশ।
রবিবার (১ জুন) বিকেলে রংপুর মহানগরের কোতোয়ালি থানায় এ দুটি মামলা নেওয়া হয়। এর আগে শুক্রবার রাতে জাপা এবং শনিবার রাতে এনসিপির পক্ষ থেকে থানায় লিখিত এজাহার জমা দেওয়া হলেও তাৎক্ষণিকভাবে মামলা নেওয়া হয়নি।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতাউর রহমান মামলা নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, এ মামলা দুটি তদন্তাধীন আছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৮টার দিকে জি এম কাদেরের বাসভবনে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা বাড়ির জানালার কাচ ভাঙচুর করে ও একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় জি এম কাদের বাসায় অবস্থান করছিলেন।
জাপা অভিযোগ করেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপির কর্মীরা এ হামলায় জড়িত। তবে, এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতারা পাল্টা অভিযোগ করেছেন যে, জি এম কাদেরের রংপুর আগমনকে ঘিরে তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে জাপার লোকজন হামলা চালিয়েছে।
জাপার দায়ের করা মামলার বাদী জাতীয় ছাত্র সমাজের নেতা আরিফ। মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগর আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতিসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আরো ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দায়ের করা মামলার বাদী দলটির রংপুরের সংগঠক আলমগীর রহমান নয়ন। এতে জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের, কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, রংপুর মহানগর সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসিরসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। আরো ৮০-৯০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে, ঘটনার পর থেকেই রংপুরে জাপা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মাঠে রয়েছে। রবিবার রাত ৯টার দিকে রংপুর শহরের স্টেডিয়ামের অস্থায়ী আর্মি ক্যাম্পে দুই দলের নেতাদের বৈঠক করেন ৭২ পদাতিক ডিভিশনের ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুম।
এ সময় ঘটনায় জড়িত দুই দলের অভিযুক্ত চার জন হাজির হন। জাপা চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলার প্রসঙ্গে কর্মীদের হয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন বিএনপির মহানগর কমিটির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগরের সমন্বয়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে আইন-শৃঙ্খলায় বিঘ্ন না ঘটানোর অঙ্গীকার করেন দুই দলের স্থানীয় নেতারা। সেনা কর্মকর্তা রংপুরকে শান্তিপূর্ণ রাখতে মব ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথাও জানান সেই বৈঠকে।
সেনাবাহিনীর তৎপরতায় পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও জাপার বাসভবনে হামলাকে কেন্দ্র করে এখনো রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ঢাকা/আমিরুল/রফিক