২০০১ সালে মোনাকো গ্রাঁ প্রিঁতে যে ফেরারি চালিয়ে জিতেছিলেন মাইকেল শুমাখার, নিলামে তা ১ কোটি ৫৯ লাখ ৮০ হাজার ইউরোয় (২২০ কোটি ৯০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা) বিক্রি হয়েছে।

ফর্মুলা ওয়ানের সে মৌসুমে ফেরারি এফ২০০১ মডেল চালিয়েছিলেন শুমাখার। এই ফর্মুলা ওয়ান রেসিং কার দিয়ে শুধু মোনাকো গ্রাঁ প্রিঁ নয়, হাঙ্গেরিয়ার গ্রাঁ প্রিঁ–ও জিতেছিলেন সাতবারের এই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ২০০১ সালে ফর্মুলা ওয়ানের চতুর্থ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ জেতেন শুমাখার।

আরও পড়ুনদাবা খেলা নিষিদ্ধ হলো আফগানিস্তানে১২ মে ২০২৫

সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, জার্মানির এই কিংবদন্তি যত ফর্মুলা ওয়ান গাড়ি চালিয়েছেন, তাঁর মধ্যে নিলামে এটাই সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হলো। অর্থাৎ শুমাখারের চালানো ফর্মুলা ওয়ান গাড়িগুলোর মধ্যে নিলামে বিক্রি হওয়া এটাই সবচেয়ে দামি গাড়ি। গত শনিবার মোনাকোর কোয়ালিফাইং শুরুর আগে কানাডার নিলামকারী প্রতিষ্ঠান আরএম সথবি নিলামে এফ২০০১ বিক্রি করেছে। ফর্মুলা ওয়ান প্যাডক ক্লাবে এই নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।

‘দ্য অ্যাথলেটিক’ জানিয়েছে, ৮০ লাখ ইউরো থেকে নিলামে ডাক শুরু হয়। দামাদামিতে মূল লড়াইটি হয়েছে নিলামঘরে উপস্থিত একজন এবং টেলিফোনে অংশ নেওয়া এক ক্রেতার মধ্যে। শেষ পর্যন্ত নিলামঘরে উপস্থিত ব্যক্তিই জিতেছেন। তিনি ১ কোটি ৪২ লাখ ইউরো দাম বলার পর প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সেটা ১ কোটি ৫৯ লাখ ৮০ হাজার ইউরোয় উন্নীত হয় এবং সেই ব্যক্তিই শেষ পর্যন্ত ফেরারি এফ২০০১ পেয়েছেন।

শুমাখারের যেসব ফর্মুলা ওয়ান গাড়ি নিলামে বিক্রি হয়েছে, তার মধ্যে এফ২০০১ দামে পেছনে ফেলেছে ২০০৩ সালে ফেরারির বানানো এফ২০০৩ মডেলকে। ২০২২ সালে জেনেভায় এফ২০০৩ ১ কোটি ১৬ লাখ ইউরোয় বিক্রি করে সথবি। ২০১৭ সালে এফ২০০১ মডেল ৬৫ লাখ ৮৮ হাজার ইউরোয় বিক্রি করেছিল সথবি। এবার তা পুনরায় বিক্রয় করা হলো।

আরও পড়ুনব্রজেন–মোশাররফদের পর ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে যাচ্ছেন দুই বাংলাদেশি২০ মে ২০২৫

ফর্মুলা ওয়ান গাড়ি নিলামের ইতিহাসে এফ২০০১ চতুর্থ সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হওয়া গাড়ি। শীর্ষ তিনের সব কটিই মার্সিডিজ বেঞ্জের। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দামে বিক্রির বিশ্ব রেকর্ডটি এ বছরই হয়েছে। পঞ্চাশ দশকের মাঝামাঝিতে ফর্মুলা ওয়ান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে মার্সিডিজের ডব্লিউ১৯৬ স্ট্রিমলাইনার চালিয়েছেন ফর্মুলা ওয়ান কিংবদন্তি হুয়ান ম্যানুয়েল ফানজিও ও স্টারলিং মস। সেই গাড়ি এ বছর নিলামে ৪ কোটি ৬১ লাখ ২০ হাজার ইউরোয় (৬৪১ কোটি ১২ লাখ টাকা) বিক্রি হয়।

মাইকেল শুমাখার.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ জ র ইউর য় ফর ম ল

এছাড়াও পড়ুন:

রাঙামাটিতে টানা বর্ষণে বেড়েছে পাহাড়ধসের ঝুঁকি, ফাঁকা আশ্রয়কেন্দ্র

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি স্থল গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে বেড়েছে পাহাড় ধসের ঝুঁকি। এরই মধ্যে শুক্রবার (৩০ মে) সকালে রাঙামাটি শহরের যুব উন্নয়ন এলাকার একটি ঘরের ওপর ধসে পড়েছে পাহাড়ের মাটি। অধিকতর ধস এড়াতে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে স্থানটি।

শুধু যুব উন্নয়ন এলাকাই নয়; ছোট ছোট ধস হয়েছে লোকনাথ মন্দির সংলগ্ন ও মোনাদাম এলাকায়। মাটি রক্ষার জন্য দেওয়া বস্তা ধসে ঢুকে গেছে ঘরের ভেতর।

রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে উপজেলা পরিষদের সামনে আর্মি ক্যাম্পের সৌন্দর্য বর্ধনকারী কৃষ্ণচূড়া গাছটি উপড়ে পড়েছে। এতে যান চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের দ্রুত পদক্ষেপের কারণে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। 

আরো পড়ুন:

আর কতদিন থাকবে বৃষ্টি?

রাতে শুরু হওয়া বৃষ্টি বিকেলেও অব্যাহত, জলাবদ্ধতা নেই চট্টগ্রামে

এদিকে, ধস প্রবণ এলাকা থেকে সরেননি বাসিন্দারা। ফলে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পড়ে আছে ফাঁকা। শুধুমাত্র লোকনাথ মন্দির আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন ১৪ পরিবারের ৬২ জন। রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে আসলেও দুপুর পর্যন্ত খাবার না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন তারা।

লোকনাথ মন্দির আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করা মনোয়ারা বেগম বলেন, “রাতে বাসা থেকে খেয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসি। সকাল গড়িয়ে দুপুর হলো এখানো খাবার দেয়নি। বাচ্চাদের নিয়ে আছি। সারা রাত অনেক বৃষ্টি হয়েছে। আমাদের বাড়ির আশপাশের কিছু মাটি সরে গেছে। বাসায় যেতে ভয় পাচ্ছি।”

একই আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করা আইয়ুব খানও খাবার না পাওয়ার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “রাতে এখানে আসি। বিভিন্ন লোকজন খোঁজ নিচ্ছে, তবে কেউ খাবার দেয়নি। জেলা প্রশাসন থেকে সব ব্যবস্থা করবে বলা হলেও কিছুই পাচ্ছি না।”

রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিফাত আসমা বলেন, “রাঙামাটি সদরে ২৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হলেও শুধু লোকনাথ মন্দির আশ্রয় কেন্দ্রে ১৪ পরিবারের ৬২ জন মানুষ অবস্থান করছেন। তালিকা অনুযায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকারীদের দুপুর ও রাতের খাবারের পাশাপাশি শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

স্থানীয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য বলছে, গেল ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত) রাঙামাটি জেলায় ১৪০ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।

ঢাকা/শংকর/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ