ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার সাভারের আশরাফুল
Published: 26th, May 2025 GMT
সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের রেফ্রিজারেটর কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন আরো এক সৌভাগ্যবান ক্রেতা। তিনি হলেন সাভারের ফার্মেসি ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম বুলু। ওয়ালটনের চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২২ এর আওতায় ফ্রিজ কিনে ওই সুবিধা পেয়েছেন তিনি।
এর আগে চলতি সিজনে ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন ফরিদপুরের কলেজ শিক্ষার্থী রাসেল ফকির, নেত্রকোনার খোকন মিয়া, রাজধানীর শনির আখড়ার আলী মর্তুজা এবং সিলেটের কানাইঘাটের কাওসার আহমেদ। এছাড়া, ওয়ালটনের এসি কিনে ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন খুলনার মিঠুন দত্ত।সম্প্র
তি সাভারের আশুলিয়ার নিরিবিলি এলাকায় আয়োজিত জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে আশরাফুলের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান এবং ওয়ালটনের চিফ মার্কেটিং অফিসার জোহেব আহমেদ।
আসন্ন ঈদ উৎসবকে সামনে রেখে ‘দেশজুড়ে তোলপাড়, ওয়ালটন পণ্য কিনে হতে পারেন আবারো মিলিয়নিয়ার’ স্লোগানে সারা দেশে চলছে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের সিজন-২২। এর আওতায় চলতি বছরের ঈদুল আজহা পর্যন্ত দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা ও পরিবেশক শোরুম থেকে ফ্রিজ, এসি, ওয়াশিং মেশিন অথবা বিএলডিসি ফ্যান কিনে ক্রেতারা পাচ্ছেন ১০ লাখ টাকা পাওয়ার সুযোগ। এছাড়াও আছে লাখ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচারসহ নিশ্চিত উপহার।
আশরাফুল জানান, চলতি মাসের ৩ তারিখে সাভারের আশুলিয়ার নিরিবিলি এলাকার ফাল্গুনী হাউজিংয়ে ওয়ালটনের ফ্র্যাঞ্চাইজি শোরুম থেকে ৮২ হাজার টাকা দিয়ে একটি ফ্রিজ কিনেন তিনি। এলাকার মানুষের কাছে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের প্রশংসা শুনেই ওই ফ্রিজটি কিনেন। কেনার পর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করলে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার মেসেজ যায় তার মোবাইল ফোনে।
তিনি বলেন, প্রথমে বিশ্বাসই হয়নি। একটি ফ্র্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হওয়া যায়, কীভাবে বিশ্বাস করব। কিন্তু, এখন সত্যি আমি ১০ লাখ পেলাম। ওয়ালটনের প্রতি দোয়া ও ভালোবাসা রইল। দেশ-বিদেশে এই প্রতিষ্ঠান আরো সুনাম অর্জন করবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন—ওয়ালটনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শহীদুজ্জামান রানা, ফ্র্যাঞ্চাইজি সেলস নেটওয়ার্কের ব্র্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইনচার্জ মাহাবুবুল হাসান মিলটন, ফ্র্যাঞ্চাইজি শোরুমের স্বত্বাধিকারী খন্দকার আলাউদ্দিন প্রমুখ।
ঢাকা/সাহেল/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ১০ ল খ ট ক আশর ফ ল
এছাড়াও পড়ুন:
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে
জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।
আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ‘জরুরি সভায়’ এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।
তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে। এসব সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল