ইরানের ব্যাপারে ইসরায়েলকেও একই অবস্থানে দেখতে চান ট্রাম্প
Published: 27th, May 2025 GMT
মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোম জানিয়েছেন ইরানের ব্যাপারে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে একই অবস্থানে দেখতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই বার্তাটি তিনি নেতানিয়াহুকে পৌঁছে দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোম জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে একটি বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন— ইরান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের নীতিমালা যেন একই অবস্থানে থাকে।
সোমবার ইসরায়েল সফর শেষে ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নোম একথা বলেন। তিনি জানান, নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার আলোচনা ছিল “খোলামেলা ও সরাসরি”। মার্কিন গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রীর কাছ থেকে এই মন্তব্য এমন সময় এলো যখন ইতালির রোমে পরমাণু আলোচনার পঞ্চম দফা শেষ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান।
নোম বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমাকে বিশেষভাবে পাঠিয়েছেন যেন আমি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে এই আলোচনার অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করি এবং কীভাবে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরি।”
এর আগে গত রোববার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা ইরানের সঙ্গে খুবই ইতিবাচক কিছু আলোচনা করেছি। এখনই কিছু বলা না গেলেও আমার ধারণা, শিগগিরই আমি আপনাদের ভালো কিছু জানাতে পারব।”
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?