বাংলাদেশকে দুইশ’ ছাড়ানো লক্ষ্য দিল পাকিস্তান
Published: 28th, May 2025 GMT
বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজের প্রথমটিতে পাকিস্তান ৭ উইকেট হারিয়ে ২০১ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে। স্বাগতিক দলের অধিনায়ক সালমান আঘা ফিফটি পেয়েছেন। শাদাব খান ও হাসান নওয়াজ ফিফটি ছোঁয়া ইনিংস খেলেছেন।
অধিনায়ক সালমান আঘা ৩৪ বলে ৫৬ রান করেন। আটটি চার ও একটি ছক্কা মারেন। মোহাম্মদ হারিস ১৮ বলে ৩১ রান যোগ করেন। হাসান নওয়াজ ২২ বলে চারটি ছক্কা ও দুই চারে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন। এর আগে ওপেনার সাঈম আইয়ূব শূন্য ও ফখর জামান ১ রান করে আউট হন।
বাংলাদেশ একাদশে আছেন তিন পেসার তানজিম সাকিব, হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম। স্পিন আক্রমণে রিশাদ হোসেন ও শেখ মাহেদীকে রাখা হয়েছে। ব্যাটিংয়ে নাজমুল শান্তকে একাদশে রাখা হয়নি।
পাকিস্তান দুই পেসার হাসান আলী ও হারিস রউফের সঙ্গে পেস অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফকে একাদশে নিয়েছে। স্পিন সামলাবেন দুই লেগি শাদাব খান ও আবরার আহমেদ। ব্যাটিংয়ে হাসান নওয়াজ জায়গা পেয়েছেন। পিএসএলে দারুণ খেলেছেন তিনি। সাঈব আইয়ূব ফিরেছেন পাকিস্তানের একাদশে।
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ তামিম, পারভেজ ইমন, লিটন দাস, তাওহীদ হৃদয়, শেখ মাহেদী, জাকের আলী, শামীম হোসেন, রিশাদ হোসেন, তানজিম সাকিব, হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম।
পাকিস্তান একাদশ: ফখর জামান, সাঈম আইয়ূব, মোহাম্মদ হারিস, সালমান আঘা, হাসান নওয়াজ, শাদাব খান, খুলদীল শাহ, ফাহিম আশরাফ, হাসান আলী, হারিস রউফ, আবরার আহমেদ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হ স ন নওয় জ
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে দুই ট্রেনের সময় বদলে যাচ্ছে
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলা সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে নতুন করে নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। নতুন সময়সূচি আগামী ১০ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস (৮২১ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি এখন সকাল সোয়া ৬টায় চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যায়। নতুন সূচি অনুযায়ী, পরীক্ষামূলকভাবে এ ট্রেন চলাচল করবে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে।
আর কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী প্রবাল এক্সপ্রেস (৮২২ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি কক্সবাজার স্টেশন ছাড়বে সকাল ১০টায়। এখন এ ট্রেন ছাড়ে ১০টা ২০ মিনিটে। গত মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচলরত সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেসের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের উপপ্রধান পরিচালন কর্মকর্তা তারেক মুহাম্মদ ইমরান।
রেলওয়ের সহকারী প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকীকের সই করা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, যাত্রীদের চাহিদা ও সময়ানুবর্তিতা রক্ষায় সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনার জন্য কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস এবং চট্টগ্রামমুখী প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রুটে এখন দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলাচল করে আরও দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন।
কক্সবাজার রেললাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর। প্রথমে ঢাকা থেকে কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামে আন্তনগর বিরতিহীন ট্রেন দেওয়া হয়। এরপর গত বছরের জানুয়ারিতে চলাচল শুরু করে পর্যটক এক্সপ্রেস। এটাও দেওয়া হয় ঢাকা থেকে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন না দেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।
গত বছরের ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়। দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই ট্রেন। এরপর ইঞ্জিন ও কোচের সংকটের কথা বলে গত বছরের ৩০ মে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপে সেই অবস্থান থেকে সরে আসে রেলওয়ে। গত বছরের ১২ জুন থেকে আবার চালু হয় ট্রেন। আর নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু হয় চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে।
সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রী ওঠানামার জন্য ষোলশহর, জানালী হাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা ও রামু স্টেশনে থামবে।
আর প্রবাল এক্সপ্রেস যাত্রাপথে থামবে ষোলশহর, গোমদণ্ডী, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলহাজারা, ইসলামাবাদ ও রামু স্টেশনে।