বগুড়ায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ১৫৫ জনের নামে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে। মামলায় জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত মহিলা দলের নেত্রী বিউটি বেগমকেও আসামি করা হয়েছে। গত সোমবার রাতে সদর থানায় মামলাটি করেন নয়ন মিয়া নামে এক যুবক। গত বছরের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে হামলায় আহত হন নয়ন। 

গতকাল বুধবার বগুড়া সদর থানার ওসি হাসান বাশির এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। নয়ন বগুড়া সদরের নিশিন্দারা উত্তরপাড়া এলাকার পলাশ মিয়ার ছেলে। 

মামলায় উল্লেযোগ্য আসামিরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুনজুরুল আলম মোহন, আসাদুর রহমান দুলু, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি রফি নেওয়াজ খান রবিন, জেলা যুবলীগ সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান সফিক, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল ইসলাম রাজ, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ ও তার ছেলে জেলা যুব সংহতির সভাপতি হোসাইন শরিফ সঞ্চয়, জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত মহিলা দলের নেত্রী বিউটি বেগম, শিবগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ রিজু।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট আসামিরা ককটেল, হাতবোমা, লাঠিসোঁটা নিয়ে শান্তিপূর্ণ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করেন। ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এ সময় বাদী নয়ন মিয়ার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলির আঘাতে জখম হয়। পরে ছাত্র জনতা তাদের ধাওয়া করলে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাশির জানান, হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ১৫৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ২৫০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছেন। ওই মামলায় জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে সদর থানা পুলিশ অভিযান শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।

এ নিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বগুড়ায় ১১টি হত্যা ও তিনটি হত্যাচেষ্টার মামলা হলো।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সদর থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে

জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।

আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ‘জরুরি সভায়’ এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।

তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে। এসব সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ