কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অবহিতকরণ ও বাজার পরিস্থিতি’ বিষয়ক সেমিনার বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্টিজের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ক্যাব, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি মাজাহার হোসেন মাজুমের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক বিল্লাল হোসেন রবিনের সঞ্চালনায় সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বনিক, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের কৃষি বিপণন কর্মকর্তা ইবনুল ইসলাম, ক্যাব, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী দলিল উদ্দিন দুলাল, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাষ্টিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান, নিতাইগঞ্জ পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ি মালিক সমিতির সভাপতি শংকর সাহা, নারায়ণগঞ্জ জেলা চাউল আড়ৎদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: শফিকুল ইসলাম লিটন, এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক আব্দুর রহমান গাফ্ফারী, দিগুবাজার মুদি দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো: শাহাদাৎ হোসেন, নারায়ণগঞ্জ বেকারী মালিক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি রুহুল আমিন, সহসভাপতি মাহমুদুল হাসান আহাদ, ক্যাব জেলা কমিটির প্রচার সম্পাদক আবু সাঈদ পাটোয়ারী রাসেল, ক্যাব সদর উপজেলার সভাপতি ডা.

গাজীখায়রুজ্জামান, সফুরা খাতুন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: রফিকুল ইসলাম, বি এম জালাল উদ্দিন স্কুলের পরিচালক মো: আল মামুন, আদমজী উম্মুল ক্বোরা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হাকীম জয়নুল আবেদীন, বিজয় হাইস্কুলের পরিচালক এস এম বিজয়, নারী কল্যান সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ক্যাব সদস্য রাহিমা আক্তার লিজা, ব্যবসায়ি শাহিন মিয়া, ক্যাব সদস্য মো: সফিকুল ইসলাম, ক্যাব সদস্য দিদার এলাহী ইকবাল, নারী কল্যান সংস্থার সদস্য জুলী সিকদার প্রমুখ।

সেমিনারে ব্যবস্যায়িদের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এবং কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর কার্যক্রম অবহিত করা হয়।

ব্যবসায়িরা তাদের বক্তব্যে বলেন, নিজে খেতে পারবো না এমন খাদ্য পণ্য তৈরী করবো না। আমরা সচেতন হলে ভোক্তা প্রতারিত হবে না। যদিও জরিমানা কোন সমাধান নয়। তবে অসৎ ব্যবসায়িদের একাধিকবার সতর্ক ও জরিমানার পর সংশোধন না হলে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে।

প্রয়োজেনে জেল দিতে হবে। তাতেও সংশোধন না হলে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে হবে। তবে আইন প্রয়োগ সবার জন্য সমান হতে হবে।

তারা আরও বলেন, ব্যবসায়ি ও ক্রেতাদের ভোক্তা অধিকার আইন সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। মাঝে মধ্যে ব্যবসায়িদের নিয়ে মতবিনিয় সভা করতে হবে। কারণ ব্যবসায়িদেরও নানা সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কর্পোরেট ব্যবসায়িদের কাছে মাঠ পর্যায়ের ব্যবসায়িরা নানাভাবে হয়রানীর শিকার হয়।

উদাহরণ দিয়ে তারা বলেন, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের মিল থেকে এক দামে পন্য দেয়, আর রশিদ দেয় আরেক দাম উল্লেখ করে। যেমন সরকারের কাছ থেকে তারা নিরাপদ থাকার জন্য এক রেট দেয়। আর আমাদের কাছ থেকে আরেক রেট (বেশি দাম) নেয়। 

ভোক্তা অধিকার ও ক্যাব তাদের বক্তব্যে বলেন, দোকানীদের দৃশ্যমান জায়গায় পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন, ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ সংরক্ষণ এবং ব্যবসার বৈধ কাগজপত্র সংরক্ষণ করতে হবে। ভোক্তার টিম দেখে দোকান-পাট বন্ধ করে চলে যাওয়া কোন সমাধান নয়। কোন ত্রুটি থাকলে আলোচনার মাধ্যমে তা সংশোধন করা যেতে পারে।

ভোক্তা অধিকার শুধু ব্যবসায়িদের জরিমানা আর হয়রানী করার জন্য অভিযান পরিচালনা করে না। ব্যবসায়িদের সঠিক উপায়ে ব্যবসা করার পথ দেখাতে যায়। সচেতন করে, সতর্ক করে। যারা সঠিক উপায়ে ব্যবসায়িক নিয়ম-নীতি মেনে ব্যবসা করবে তাদের কোন সমস্যা নাই।

যারা নকল, ভেজাল, ওজনে কম, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি, পঁচা বাসি খাবার সরবরাহ করবে তারা তো জেল জরিমানায় পড়বে। এটাই স্বাভাবিক। আমরা চাই ভোক্তা ন্যায্য মূল্যে কোন প্রকার প্রতারিত না হয়ে পণ্যে ক্রয় করবে।

ভোক্তা অধিকার আইন সম্পর্কে ব্যবসায়িদের সচেতন করতে ক্যাব তাদের ক্যাম্পেই আরও জোরদার করবে বলে সেমিনারে জানানো হয়। 

সেমিনারে ভোক্তার অধিকার ও আইন সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতন করার পাশাপাশি পাঠ্য পুস্তকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন সংযোজন করার প্রস্তাব করা হয়।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ জ ল ব যবস য় দ র ল ইসল ম আইন স সদস য র আইন

এছাড়াও পড়ুন:

তেল চোর দেলোয়ারকে ধরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করবেন : টিপু

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেছেন, আওয়ামীলীগের তৃণমূল থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত খুন, গুম ও নির্যাতন এটা ছিল ওই শেখ হাসিনার নিত্যদিনের খোরাক। বাংলাদেশের মানুষকে বন্দুকের নল দেখিয়ে একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে চেয়েছিল।

আয়না ঘর বানিয়ে মানুষকে গুম করে তার ক্ষমতার মাস্কটে টিকিয়ে রাখতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। যেমনি ভাবে ব্যর্থ হয়েছিল খুনি শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ মুজিবুর রহমান ৭৫ এর আগে গণতন্ত্রকে হত্যা করে চেয়েছিল একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ সেদিন রুখে দিয়েছিল। 

বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেল ৪টায় কলাগাছিয়া ইউনিয়নের আলতাফ কমিউনিটি সেন্টারে ইউনিয়ন বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার  বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে সে সকল সম্পদ সকল টাকা-পয়সা ওই আওয়ামী লীগের সকল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তাদের মন্ত্রী-এমপি তাদের নেতাকর্মীরাসহ তারা লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে। এখন বিদেশে বসে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। 

কিভাবে বাংলাদেশের মানুষকে অশান্তিতে রাখবে, কিভাবে বিএনপিকে ধ্বংস করা যায়। কিন্তু আমরা বিএনপি নেতা কর্মীরা বলে দিতে চাই ওই শেখ স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাসহ যারা এই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তাদেরকে কখনোই আর বাংলাদেশের মাটিতে জায়গা দেওয়া অবদান।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গডফাদার ছিল খুনি শেখ হাসিনা, তেমনি ভাবে আমাদের নারায়ণগঞ্জেও গডফাদার ছিল ওসমান পরিবার শামীম ওসমান সহ তাদের পুরো পরিবার, তেমনি ভাবে কলাগাছিয়াও কিন্তু একজন চোর ছিল। তার কি নাম ছিল তেল চোর দেলোয়ার। ওই কিন্তু একজন বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলন হত্যার মামলার আসামি।

ওকি এখনো এলাকায় আছে যদি থাকে তা হলে আপনারা ধরে ওকে প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করে দিবেন। কোন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন হত্যা মামলার আসামি দোসরদের সহযোগী তারা। এই নারায়ণগঞ্জের মাটিতে যাতে চলাফেরা থাকতে না পারে সেজন্য আপনারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সব রুখে দিবেন।

কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহাদুল্লাহ মুকুলের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক এড. সরকার হুমায়ূন কবির, যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী নুরউদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ লিটন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হুমায়ূন কবির, বন্দর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মহি উদ্দিন শিশির, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি এড. মতিউর রহমান মতিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরিদ হোসেন।

এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ পনেজ, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি হুমায়ূন কবির, সহ- সভাপতি দিদার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দ্বীন ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সজিব খন্দকার, বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সোহেল প্রধানসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিআইডিতে বিচারবহির্ভূত হত্যার তদন্ত বিষয়ে আন্তর্জাতিক কর্মশালা
  • মাইলস্টোন স্কুলে হতাহতদের স্মরণে দোয়া মাহফিল ও মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
  •  শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের স্বাধীনতা চান নাই : টিপু 
  • নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাথে গিয়াসউদ্দিনের মতবিনিময় সভা
  • সোনারগাঁয়ে ইসলামী আন্দোলনের পরিচিতি সভা ও শপথ গ্রহণ  
  • বন্দর ২০নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রাথমিক সদস্য ফরম বিতরণ 
  • তেল চোর দেলোয়ারকে ধরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করবেন : টিপু
  • পঞ্চবটি-মুক্তারপুর সড়ক প্রশস্ত করতে ব্যয় বেড়েছে ১৪ কোটি টাকা
  • বিনা মূল্যে হেপাটাইটিস বি এবং সি ভাইরাস শনাক্তকরণ কর্মসুচি
  • ‘পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্তিতে কাজ করছি’