সড়ক দুর্ঘটনায় যবিপ্রবি শিক্ষার্থী নিহত
Published: 29th, May 2025 GMT
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোল্যা আবির হোসেন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। এতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে।
বুধবার (২৮ মে) রাত সাড়ে ১১টায় খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, আবির ও তার বাবা বুধবার মোটরসাইকেলযোগে খুলনা থেকে বাগেরহাট যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বারাকপুর এলাকায় ট্রাকের ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হন তারা। সেখান থেকে তাদের মুমূর্ষু অবস্থায় বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা।
আরো পড়ুন:
লংগদু-নানিয়ারচর সড়কের দাবিতে রাজপথে উপজেলাবাসী
ট্রাকের ধাক্কায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবিরকে মৃত ঘোষণা করে। তবে আবিরের বাবা এখনো শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় আবিরকে তার নিজ গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের তেঁতুলতলা গ্রামে দাফন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন বলেন, “আবির ১৬তম ব্যাচের, অনেক ভদ্র ও শান্ত স্বভাবের একজন ছেলে ছিল। ওর সঙ্গে দেখা হলেই ভাই ভাই করে ডাকত, কথা বলত। আমরা একসঙ্গে কত মজার মুহূর্ত কাটিয়েছি, হাসিঠাট্টা করেছি। ওকে নিয়ে আমাদের অনেক সুন্দর স্মৃতি রয়েছে। তার এমন হঠাৎ চলে যাওয়া আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। এটা আমাদের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।”
তিনি বলেন, “আজ আমরা বিভাগের অনেকেই আবিরের জানাজায় উপস্থিত ছিলাম। তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছি। আঙ্কেল-আন্টির মুখের দিকে তাকিয়ে আমরা কেউই কিছু বলতে পারছিলাম না। তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার মতো ভাষা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। পুরো পরিবারটা ভেঙে পড়েছে। আপনারা সবাই আবিরের জন্য দোয়া করবেন।”
ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?