বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএলে) বিভিন্ন অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি।

তদন্ত প্রতিবেদনটি রাইজিংবিডি ডটকমের হাতে এসেছে। এতে দেখা যায়, বিপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজি নির্বাচন ও ব্যবস্থাপনা, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, ই-টিকিটিং অ্যাপ তৈরির টেন্ডারসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে যথাযথ নিয়ম বা সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি।

ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত তদন্তে বলা হয়েছে, বিসিবি সভাপতি এনলিস্টেড কোম্পানিগুলোকে সুযোগ না দিয়ে নিয়ম লঙ্ঘন করে একক সিদ্ধান্তে যথেষ্ট সক্ষমতা না থাকা সত্ত্বেও একটি অনিবন্ধিত কোম্পানিকে কাজ প্রদান করেন।

আরো পড়ুন:

ফারুকের বিরুদ্ধে ৮ পরিচালকের অনাস্থা, থাকছে না পদ

পদত্যাগ করব না আমি, কোনো কারণ নেই: রাইজিংবিডিকে ফারুক

সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে, বোর্ড সভাপতি সংশ্লিষ্ট কাউন্সিল মেম্বার ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের মতামতের গুরুত্ব না দিয়ে নিজের নির্বাহী ক্ষমতায় এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে সমন্বয়হীনতা ছিল। সিদ্ধান্ত গ্রহণে তিনি অন্য পরিচালকদের মতামত নিতেন না। এমনকি দল নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে নীতিমালা প্রণয়ন বা সংশোধনের সময় অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। সকল সিদ্ধান্ত বোর্ডের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে হবে।

উল্লেখ্য, বিপিএলে সততার বিষয়টি অনুসন্ধানে তিন সদস্যের একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আপিল বিভাগের সাবেক বিচারক মির্জা হায়দার আলীকে আহ্বায়ক করে এ কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন—সাবেক ক্রিকেটার শাকিল কাসেম ও আন্তর্জাতিক আইনজীবী ড.

খালেদ এইচ চৌধুরী।

এই তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বিসিবি সভাপতির পদ থেকে ফারুক আহমেদকে সরে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন। তবে ফারুক রাইজিংবিডি ডটকমকে জানিয়েছেন, তিনি পদত্যাগ করবেন না। কারণ, পদত্যাগ করার মতো কোনো পরিস্থিতি নেই।

গত বছরের ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক ক্ষমতার পরিবর্তনের পর বিসিবি সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ান নাজমুল হাসান পাপন। ক্ষমতাসীন দলের সমর্থনে আরও কয়েকজন পরিচালক নির্বাচিত হন।

পরবর্তীতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ফারুক আহমেদ ও নাজমুল আবেদীন ফাহিমকে বিসিবির পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়। এরপর ফারুক বিসিবির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান।

তবে শুরু থেকেই তার কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা হচ্ছিল। তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি মাঠের পারফরম্যান্সেও নেই কোনো উল্লেখযোগ্য সাফল্য। এসব কারণে বিসিবি সভাপতি হিসেবে তিনি প্রবলভাবে সমালোচিত হচ্ছেন।

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর তদন ত ক ষমত

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে দুই ট্রেনের সময় বদলে যাচ্ছে

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলা সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে নতুন করে নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। নতুন সময়সূচি আগামী ১০ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস (৮২১ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি এখন সকাল সোয়া ৬টায় চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যায়। নতুন সূচি অনুযায়ী, পরীক্ষামূলকভাবে এ ট্রেন চলাচল করবে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে।

আর কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী প্রবাল এক্সপ্রেস (৮২২ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি কক্সবাজার স্টেশন ছাড়বে সকাল ১০টায়। এখন এ ট্রেন ছাড়ে ১০টা ২০ মিনিটে। গত মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচলরত সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেসের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের উপপ্রধান পরিচালন কর্মকর্তা তারেক মুহাম্মদ ইমরান।

রেলওয়ের সহকারী প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকীকের সই করা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, যাত্রীদের চাহিদা ও সময়ানুবর্তিতা রক্ষায় সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনার জন্য কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস এবং চট্টগ্রামমুখী প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রুটে এখন দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলাচল করে আরও দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন।

কক্সবাজার রেললাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর। প্রথমে ঢাকা থেকে কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামে আন্তনগর বিরতিহীন ট্রেন দেওয়া হয়। এরপর গত বছরের জানুয়ারিতে চলাচল শুরু করে পর্যটক এক্সপ্রেস। এটাও দেওয়া হয় ঢাকা থেকে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন না দেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।

গত বছরের ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়। দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই ট্রেন। এরপর ইঞ্জিন ও কোচের সংকটের কথা বলে গত বছরের ৩০ মে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপে সেই অবস্থান থেকে সরে আসে রেলওয়ে। গত বছরের ১২ জুন থেকে আবার চালু হয় ট্রেন। আর নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু হয় চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে।

সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রী ওঠানামার জন্য ষোলশহর, জানালী হাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা ও রামু স্টেশনে থামবে।

আর প্রবাল এক্সপ্রেস যাত্রাপথে থামবে ষোলশহর, গোমদণ্ডী, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলহাজারা, ইসলামাবাদ ও রামু স্টেশনে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ